কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ভারতে অক্সফোর্ডের করোনা টিকার ট্রায়াল শুরু করবে সিরাম ইনস্টিটিউট!
জানা গেল ভারতীয়দের উপর অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি প্রতিষেধকটির ট্রায়াল শুরুর দিনক্ষণ...
নিজস্ব প্রতিবেদন: অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি প্রতিষেধকটির তৃতীয় তথা শেষ পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। ব্রিটেন, আমেরিকা, ব্রাজিল মিলিয়ে ৪৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের উপর শেষ পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। শীঘ্রই শেষ হবে ট্রায়াল। সোমবার এই টিকার প্রথম পর্বের ট্রায়ালের ফলাফল সামনে আসবে। এরই মধ্যে ভারতীয়দের উপর অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি প্রতিষেধকটির ট্রায়াল শুরুর দিনক্ষণ জানিয়ে দিল এর উৎপাদনের দায়িত্বে থাকা বিশ্বের বৃহত্তম টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট (Serum Institute of India)।
‘টাইমস নাও’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, অগাস্ট মাস থেকেই ভারতে অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনা টিকার হিউম্যান ট্রায়াল শুরু করতে চলেছে সিরাম ইনস্টিটিউট! গত শনিবার অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনা প্রতিষেধক সম্পর্কে বড়সড় সিদ্ধান্তের কথা জানালেন সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালা (Adar Poonawalla)। তিন মাসের মধ্যেই অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনা প্রতিষেধকের লক্ষাধিক ডোজ তৈরি করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোচ্ছে সিরাম ইনস্টিটিউট। তবে সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে টিকা বাজারে ছাড়ার ক্ষেত্রে কোনও রকম তাড়াহুড়ো করা হচ্ছে না বলে জানান আদর পুনাওয়ালা।
অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনা টিকার সম্পর্কে লন্ডনের বার্কশায়ার রিসার্চ এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান ডেভিড কার্পেন্টার (David Carpenter) জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ হবে সমস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা। সেপ্টেম্বরের মধ্যেই মিলতে পারে অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনা প্রতিষেধক (ChAdOx1 nCoV-19 বা AZD1222)। বলে রাখা ভাল, অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনা প্রতিষেধকের ট্রায়ালের অনুমতি দেওয়া বা এর পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব রয়েছে এই বার্কশায়ার রিসার্চ এথিক্স কমিটির উপরেই।
আরও পড়ুন: নির্ধারিত সময়েই শেষ হবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা, সেপ্টেম্বরেই মিলতে পারে অক্সফোর্ডের করোনা টিকা!
অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি প্রতিষেধকটির তৃতীয় তথা শেষ পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। করোনার বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদী প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম তাঁদের তৈরি টিকা, এমনটাই দাবি করেছেন অক্সফোর্ডের প্রতিষেধক গবেষণার প্রধাণ ডঃ সারা গিলবার্ট। ডঃ গিলবার্ট জানান, করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সফল হয়েছে এই টিকা। একাধিক পরীক্ষায় তার প্রমাণও মিলেছে। শুধু তাই নয়, তাঁদের তৈরি এই প্রতিষেধক করোনার বিরুদ্ধে বছর খানেক ধরে প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম, দাবি গিলবার্টের। তাই করোনার বিরুদ্ধে সবচেয়ে ‘নিরাপদ ও কার্যকরী’ প্রতিষেধের অপেক্ষায় রয়েছেন বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষ।