থার্ড ওয়েভের আগে ৫১ শতাংশ শিশুদের শরীরে কোভিড অ্যান্টিবডি, বলছে সেরো সার্ভে
যাদের বয়স ১৮ -র কম তাঁদের মধ্যে ৫০ শতাংশের বেশি জনের শরীরে রয়েছে করোনাকে রোধ করার অ্যান্টিবডি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কমে এসেছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। কিন্তু থার্ড ওয়েভের আশঙ্কাকে এড়িয়ে যাচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা। প্রাথমিক পর্যায়ে বলা হচ্ছিল থার্ড ওয়েভে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু সরকারি প্যানেলে জানানো হয়েছে এমন কোনও তথ্যই প্রমাণিত হয়নি, যেখানে বলা হয়েছে শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হবে। সম্প্রতি সেই মন্তব্যকেই দৃঢ় করল সেরো সার্ভের রিপোর্ট। ১ থেকে ১৫ এপ্রিলের মধ্যে মুম্বইতে সমীক্ষা চালানো হয়। যাতে দেখা যাচ্ছে, ১৮ বছরের কম বয়সীদের ৫১.১৮ শতাংশের মধ্যেই রয়েছে কোভিড অ্যান্টিবডি। এই সমীক্ষা চালাতে ২,১৭৬ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
জানা গিয়েছে, ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের শরীরে রয়েছে ৫৩ শতাংশের বেশি অ্যান্টবডি। এছাড়া যাদের বয়স ১৮ -র কম তাঁদের মধ্যে ৫০ শতাংশের বেশি জনের শরীরে রয়েছে করোনাকে রোধ করার অ্যান্টিবডি। মুম্বই কর্পোরেশন গত মার্চ মাসেও সমীক্ষা চালায়। সেই সমীক্ষাতেও দেখা যায়, বাচ্চাদের শরীরে ক্রমশ বাড়ছে অ্যান্টিবডি। সেই সময়তেই অ্যান্টিবডির হার ছিল ৩৯.৪ শতাংশ। সুতরাং, দ্বিতীয় ঢেউয়ে করোনায় আক্রান্ত শিশুদের সংখ্যা যে বেশি ছিল তা প্রমাণ করছে এই তথ্য।
ICMR থেকে জানান হয়েছে তৃতীয় ঢেউ আসতে এখনও হাতে রয়েছে ৬ থেকে ৮ মাস। তার আগেই শিশুদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হলে আশঙ্কা অনেকটাই এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। পাশাপাশি যদি বাচ্চাদের ভ্যাকসিনেশন পর্ব শুরু হয়ে যায় তাহলেও খানিকটা উদ্বেগ কম হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
আরও পড়ুন: ৫০ পার করেননি, তাঁদের মত্যু সংখ্যাই বেশি করোনায় বলছে AIIMS
এইমস ও হু-র সমীক্ষাতেও দেখা গিয়েছে, তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম। অধিকাংশ শিশুর দেহে করোনাভাইরাসের অ্যান্টবডি দেখা গিয়েছে।