বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে করোনা টিকার হিউম্যান ট্রায়াল শেষ করল রাশিয়া! নজর ফলাফলে

স্বেচ্ছাসেবকের প্রথম দলটিকে ১৫ জুলাই এবং দ্বিতীয় দলটিকে ২০ জুলাই পর্যন্ত পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। তার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হবে।

Edited By: সুদীপ দে | Updated By: Jul 13, 2020, 10:18 AM IST
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে করোনা টিকার হিউম্যান ট্রায়াল শেষ করল রাশিয়া! নজর ফলাফলে
—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বিশ্বজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৩০ লক্ষ ৩৬ হাজার ছাড়িয়েছে, এই ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ৭১ হাজার ৫৭৫ জনের। অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনা প্রতিষেধকের (ChAdOx1 nCoV-19) চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। হায়দরাবাদের ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা ভারত বায়োটেকের (Bharat Biotech) তৈরি COVAXIN এবং আহমেদাবাদের ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা জাইডাস ক্যাডিলার (Zydus Cadila) ZyCov-D— এই দু’টি করোনা প্রতিষেধকের হিউম্যান ট্রায়াল শুরু হতে চলেছে। কিন্তু এ সবের মধ্যেই বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে করোনা প্রতিষেধকের হিউম্যান ট্রায়াল পর্ব শেষ করে ফেলল রাশিয়া!

রবিবার রাশিয়ার সেকেনভ ফার্স্ট মস্কো স্টেট মেডিকেল ইউনিভার্সিটির (Sechenov First Moscow State Medical University) বিজ্ঞানীরা তাঁদের তৈরি করোনা প্রতিষেধকের চূড়ান্ত পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়াল পর্ব শেষ হওয়ার খবর জানান। সেকেনভ ফার্স্ট মস্কো স্টেট মেডিকেল ইউনিভার্সিটির প্রতিষেধক গবেষণা দলের প্রধান ভাদিম তারাসভ (Vadim Tarasov) জানান, স্বেচ্ছাসেবকের প্রথম দলটিকে ১৫ জুলাই এবং দ্বিতীয় দলটিকে ২০ জুলাই পর্যন্ত পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। তার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: বৈশিষ্টে দ্রুত পরিবর্তন ঘটিয়ে আরও ভয়ঙ্কর, সংক্রামক হয়ে উঠছে করোনাভাইরাস! দাবি গবেষকদের

রাশিয়ার গামালেই ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি (Gamalei Institute of Epidemiology and Microbiology) তৈরি করেছে এই প্রতিষেধক। জানা গিয়েছে, উৎপাদনের আগে প্রতিষেধকের শেষ পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল আগামী ১৮ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে। প্রতিষেধক গবেষণা দলের প্রধান ভাদিম তারাসভ pevev, ভ্যাকসিনের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে। এই সব ট্রায়ালের ফলাফল হাতে এলেই প্রতিষেধকের উৎপাদনের কাজ জোর কদমে শুরু কয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে গামালেই ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজির পক্ষ থেকে।

.