ডিসেম্বরের মধ্যেই বাজারে মিলতে পারে অক্সফোর্ডের করোনার টিকা Covishield!
সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালা জানান, এ বছরের মধ্যেই Covishield-এর প্রায় ৪০ কোটি ডোজ তৈরি করে ফেলবে তাঁর সংস্থা।
![](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/styles/zm_98x58/public/2019/01/24/171263-sudip2.jpg?itok=f8x2KbO2)
![ডিসেম্বরের মধ্যেই বাজারে মিলতে পারে অক্সফোর্ডের করোনার টিকা Covishield! ডিসেম্বরের মধ্যেই বাজারে মিলতে পারে অক্সফোর্ডের করোনার টিকা Covishield!](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2020/07/23/263850-covishield.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি প্রতিষেধকটির তৃতীয় তথা শেষ পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। ভারতেও শীঘ্রই এই প্রতিষেধকটির ট্রায়াল শুরু করতে চায় এর উৎপাদনের দায়িত্বে থাকা বিশ্বের বৃহত্তম টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট (Serum Institute of India)। কিন্তু কবে নাগাদ পাওয়া যাবে অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনার টিকা Covishield?
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালা (Adar Poonawalla) জানান, এ বছরের মধ্যেই Covishield-এর প্রায় ৪০ কোটি ডোজ তৈরি করে ফেলবে তাঁর সংস্থা। জানা গিয়েছে, সম্ভবত, ডিসেম্বরের মধ্যেই বাজারে মিলতে পারে অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনার টিকা Covishield।
ওই সাক্ষাৎকারে সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও জানান, ভারতে করোনা পরীক্ষার জন্যই ২,৫০০ টাকা খরচ হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি প্রতিষেধকটির দাম ১,০০০ টাকা বা তারও কম রাখা হতে পারে। সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও বলেন, “Gavi-র (ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স) তালিকাভূক্ত দুর্বল অর্থনীতির দেশগুলিতে Covishield-এর দাম ২-৩ ডলারের মধ্যেই রাখা হবে (ভারতীয় মূদ্রায় যা ৩০০ টাকারও কম)। আর আমার মনে হয়, কোনও ভারতীয়কেই অক্সফোর্ডের প্রতিষেধকের জন্য টাকা খরচ করতে হবে। কারণ, ভরতে সরকারের মাধ্যমেই বিনামূল্যে এই প্রতিষেধক জনসাধারণকে দেওয়া হতে পারে।”
আরও পড়ুন: কবে মিলবে করোনার প্রতিষেধক? সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে স্পষ্ট জানাল WHO!
প্রসঙ্গত, প্রতিষেধক তৈরি করে ভবিষ্যত প্রজন্মকে সুরক্ষিত করার জন্য একটি তহবিল গড়ে অর্থ সংগ্রহ করছে Gavi-র (ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স)। লক্ষ্য, কমপক্ষে ৭.৪ বিলিয়ন ডলার অর্থ সংগ্রহ করা। উদ্দেশ্য, আগামী পাঁচ বছরে বিশ্বের দুর্বল অর্থনীতির দেশগুলির প্রায় ৩০ কোটি শিশুকে অত্যন্ত সুলভে প্রতিষেধক দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহ করছে এই ভ্যাক্সিন অ্যালায়েন্স Gavi। ২০১৪ সালে ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স Gavi-এর গ্রাহক থেকে দাতা (ডোনার) হয়েছে ভারত। এ পর্যন্ত এই তহবিলে ভারতের অবদান ১২ মিলিয়ন ডলারের। তাই ভারতেও অত্যন্ত সুলভ মূল্যেই মিলবে করোনার প্রতিষেধক, যা হয়তো কেন্দ্রীয় সরকার বিনামূল্যেই জনসাধারণকে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারে। অন্তত এমনই ইঙ্গিত মিলেছে সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালার কথায়।