Kosk: দেখে নিন, মাস্ক পরেও কী ভাবে খাবার খেতে পারবেন আপনি!
গত দু'বছরে মাস্কের ব্যবহার বেড়েছে বিপুল পরিমাণে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মাস্ক এখন দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ-সূত্রে প্রথম যখন মাস্ক এল তখন তা নিয়ে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া ছিল। একদল সহজে মেনে নিয়েছিলেন। আর একদল বিষয়টিকে মেনে নিতে একেবারেই অনিচ্ছুক ছিলেন। আর একদল ছিলেন যাঁরা বিষয়টি নিয়ে নানা রঙ্গরসিকতা করছিলেন।
এই রসিকদলের মধ্যে অনেকেই মাস্ক পরেও কী ভাবে খাবেন, কীভাবে ধূমপান করবেন, এ নিয়ে নানা মিম, নানা রঙ্গ, নানা কার্টুন সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চিত হচ্ছিল। কিন্তু সেই চর্চিত রসিকতাটাই যে সত্য হবে, তাই-বা কে জানত?
গত দু'বছরে মাস্কের ব্যবহার বেড়েছে বিপুল পরিমাণে। মাস্ক নিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষাও হয়েছে। কিন্তু এবার সেই সব মাস্ককে এবং মাস্ক নিয়ে পরীক্ষাকে পিছনে ফেলে নজর কাড়ল দক্ষিণ কোরিয়ার একটি মাস্ক। আশ্চর্য এই মাস্কের নাম-- কোস্ক! এ মাস্কে নাক-মুখ একসঙ্গে ঢাকা থাকে না। ঢাকা থাকে কেবল নাকটুকু। দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্থা অ্যাটম্যান তৈরি করেছে এই মাস্ক। কোরিয়ান ভাষায় 'কো' মানে নাক। এই 'কো' আর 'মাস্ক' মিলে হয়েছে 'কোস্ক'।
অভিনব এই মাস্কটি কেবল নাকটুকুই ঢেকে রাখে। অন্য মাস্ক পরলে খাওয়াদাওয়া করা যায় না। এই মাস্ক পরে থাকলে দিব্যি খাওয়াদাওয়া করা যাবে। নাকের অংশটি ঢাকা থাকলেও মুখ খোলা থাকে। তবে এর ভেতরে একটি অংশ থাকে, যেটি ভাঁজ করে রাখা থাকে। দরকার হলে সেটি খুলে নিয়ে মুখও ঢেকে রাখা যায়। এই মাস্ক খুব জনপ্রিয় হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়।
অস্ট্রেলিয়ার ডেকিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ ট্রান্সফরমেশনের মহামারিবিদ্যা বিভাগের প্রধান ক্যাথরিন বেনেট এ প্রসঙ্গে বলেছেন, মাস্কগুলি শুধু নাক ঢেকে রাখে। বিষয়টি একটু অদ্ভুত। তবে কোনো কিছু না থাকার চেয়ে তো এটি ভালো। এটি সম্ভবত (চলতি মাস্কের চেয়ে) কিছুটা পার্থক্য করে দেয়।
বিশেষজ্ঞেরা যা-ই বলুন, এই মাস্কের কার্যকারিতা নিয়ে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের প্রশ্ন, এটি কি আদৌ সংক্রমণ রোধে কাজে লাগে? নাকি পুরোটাই স্টাইল? অনেকে বলছেন, এটিতে যেহেতু মুখ ঢেকে রাখার সুযোগ রয়েছে, তাই এটিকে দরকারমতো মুখও ঢেকে ফেলা যায়। ফলে, দুটি কাজই একসঙ্গে হয়। আর খাবার খাওয়ার সময়ে তো নাকটুকু ঢাকা থাকছেই। তাতে কিছুটা হলেও অতিরিক্ত সুরক্ষা তো পাওয়া যাচ্ছে, যা অন্য মাস্কে পাওয়া যায় না!