জাঙ্ক ফুড খাচ্ছেন? জানেন পেটে কী যাচ্ছে?
স্কুলের ১০০ মিটারের মধ্যে জাঙ্কফুড নিষিদ্ধ করেছে CBSE বোর্ড। চিকিত্সকরা বলছেন, শিশুকে সুস্থ জীবন দিতে হলে কড়া হতেই হবে বাবা-মাকে। কারণ লোভনীয় খাবারের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে কঠিন ব্যাধির বিষ। কড়াইয়ে তেলের ছ্যাঁক। কানে শব্দ, নাকে গন্ধ আর জিভে জল। বেশ লাগে খেতে। আপনি খাচ্ছেন। বাচ্চাও খাচ্ছে। জানেন কি, পেটে কী যাচ্ছে?
ওয়েব ডেস্ক: স্কুলের ১০০ মিটারের মধ্যে জাঙ্কফুড নিষিদ্ধ করেছে CBSE বোর্ড। চিকিত্সকরা বলছেন, শিশুকে সুস্থ জীবন দিতে হলে কড়া হতেই হবে বাবা-মাকে। কারণ লোভনীয় খাবারের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে কঠিন ব্যাধির বিষ। কড়াইয়ে তেলের ছ্যাঁক। কানে শব্দ, নাকে গন্ধ আর জিভে জল। বেশ লাগে খেতে। আপনি খাচ্ছেন। বাচ্চাও খাচ্ছে। জানেন কি, পেটে কী যাচ্ছে?
চিপস: প্রায় সব শিশুরই পছন্দ। এতে রয়েছে কেমিক্যাল প্রিজারভেটিভস, স্যাচুরেটেড ফ্যাট।
ফুচকা: প্রচুর স্যাচুরেটেড ফ্যাট। ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল বাড়ায়।
পকোড়া: স্যাচুরেটেড ফ্যাটে ভর্তি। শরীরে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়।
সিঙারা: একটি সমোসায় থাকে ২৫ গ্রাম ফ্যাট। যা এক স্ল্যাব মাখনের সমান।
চানা-বাটোরা: একপ্লেটে ১২০০ ক্যালোরি। সঙ্গে ৫০ গ্রাম ফ্যাট। যা দুই স্ল্যাব মাখনের সমান।
প্যাটিস: কড়া করে ভাজা। প্রচুর কার্বহাইড্রেড ও স্টার্চ।
বড়া-দোসা: অন্য তেলেভাজার মতো এই খাবারটিও ফ্যাটের ভাণ্ডার।
প্রায় সব স্কুলের বাইরেই এই খাবারগুলির ছোটবড় দোকান চোখে পড়বে। পেশার চাপ। তাই বাচ্চাদের হাতে টিফিনের টাকা গুঁজে দিচ্ছেন বাবা-মায়েরা। বাড়ি থেকে টিফিন দেন? তাতেও রক্ষা নেই। না জেনে বাচ্চাদের টিফিন বক্সে বিষই ভরে দিচ্ছেন বাবা-মায়েরা।
স্যান্ডউইচ: চিজ, মেয়োনিজ বা মাখন চুবানো স্যান্ডউইচ ফ্যাটে ভর্তি। সঙ্গে বেকন বা সালামির টপিং থাকলে তো কথাই নেই।
বার্গার: স্যাচুরেটেড ফ্যাটের ভাণ্ডার। ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বাড়ায়।
পিত্জা: ফ্রায়েড ব্রেড, চিজ, চিকেন টপিংস...আর কি চাই।
ক্রঁশো: দোকানে রেডিমেট মেলে। প্রচুর অ্যাডেড সুগার ও ফ্যাট।
এই খেয়ে আপনার বাচ্চার শরীরে কী প্রভাব পড়ছে? শুনে নিন তার বৃত্তান্ত।
জাঙ্কফুড শরীরে চর্বির পরিমাণ বাড়ায়, পেশি তৈরি হয় না। প্রভাব পড়ে শিশুর বৃদ্ধিতে। স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও অ্যাডেড সুগারের কারণে শিশু শরীরেই বাসা বাঁধছে ডায়বেটিস কিংবা হার্টের অসুখ। জাঙ্কফুড প্রভাব ফেলতে পারে বাচ্চাদের দাঁতের গঠনে। শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয় জাঙ্কফুড। ঘনঘন অসুস্থ হয় বাচ্চা। পেটের রোগের আশঙ্কা বাড়ে। জাঙ্কফুড প্রভাব ফেলতে পারে স্মৃতিশক্তি ও দৃষ্টিতেও। যার প্রভাব পড়বে মনসংযোগ ও পড়াশোনায়। শৈববে জাঙ্কফুডের আধিক্য তরুণ বয়সে হৃদরোগ, প্রস্টেট ও ব্রেস্ট ক্যানসার ঘটাতে পারে
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৬ থেকে ১২ বছরই হচ্ছে শরীর গঠনের সময়। এই সময় বাচ্চাদের খাবার দাবারের দিকে কড়া নজর রাখা জরুরি। ক্ষেত্র বিশেষে কঠোরও হতে হবে। সেই পথেই হেঁটেছে CBSE বোর্ড। স্কুলগুলির ১০০ মিটারের মধ্যে জাঙ্কফুডের দোকান নিষিদ্ধ করেছে তারা। তবে স্কুল নয় বুঝতে হবে অভিভাবকদেরও।