Johnson Baby Powder: বেবি পাউডারে ক্যান্সারের ডাক! মামলার পাহাড়ে বিশ্ববাজারে বিক্রি বন্ধের পথে জনসন
বেবি পাউডারের নামে অ্যাসবেস্টস নামক সিলিকন জাতীয় মিনারেল মিশ্রিত পাউডার বিক্রির অভিযোগ আনা হয় সংস্থার বিরুদ্ধে। গত দু -বছরে অবশ্য জনসনের বিরুদ্ধে উপভোক্তা নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রায় ৪০ হাজার মামলা দায়ের হয়। আইনি লড়াইয়ে হেরে গিয়ে অবশেষে দু'বছর পর নিজের বক্তব্যেই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে দাঁড়াল সংস্থা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিশ্বজুড়ে বেবি পাউডারের বিক্রি বন্ধ করতে চলেছে জনপ্রিয় বহুজাতিক সংস্থা জনসন অ্যান্ড জনসন। লাগাতার বিতর্ক ও আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে ২০২৩ থেকেই বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর করবে সংস্থা। শিশুদের যত্ন নিতে অতি পরিচিত নাম জনসনের বেবি পাউডার। কিন্তু সেই পাউডরের ব্যবহারেই ত্বকে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে, এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ কোম্পানির বিরুদ্ধে। একই কারণে দু'বছর আগেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় বন্ধ হয়েছিল জনপ্রিয় এই বেবি পাউডার। আর এবার বিশ্বজুড়ে তা কার্যকর হতে চলেছে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে জনসনের বেবি পাউডার নিয়ে আমেরিকায় কোম্পানির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হয়। বেবি পাউডারের নামে অ্যাসবেস্টস নামক সিলিকন জাতীয় মিনারেল মিশ্রিত পাউডার বিক্রির অভিযোগ আনা হয় সংস্থার বিরুদ্ধে। ধস নামে পাউডারের চাহিদায়। যদিও তখন কোম্পানি গোটাটাই ভুয়ো ও ভুল তথ্য বলে সাফাই দেয়। গত দু -বছরে অবশ্য জনসনের বিরুদ্ধে উপভোক্তা নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রায় ৪০ হাজার মামলা দায়ের হয়। আইনি লড়াইয়ে হেরে গিয়ে অবশেষে দু'বছর পর নিজের বক্তব্যেই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে দাঁড়াল সংস্থা।
আরও পড়ুন: Cancer Statistics : মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের ক্যানসার বেশি হয়, কেনো?
সেই ১৯৮৪ সাল থেকে শিশুদের যত্নে বিভিন্ন প্রোডাক্ট নিয়ে এসেছে জনসন অ্যান্ড জনসন। এতটাই জনপ্রিয় হয়ে যায় এই সংস্থা যে বাজারে প্রায় একচেটিয়া আধিপত্য কায়েম করে। যদিও গ্রাহকদের রোষের মুখে পড়ে বহুবার আইনি রক্ষাকবচ চায় সংস্থা। ট্যালক ভিত্তিক বেবি পাউডারে ক্যান্সারের জীবাণু নেই, তা প্রমাণ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে। অবশেষে ব্যর্থ হওয়ায়, আগামী বছর থেকেই বেবি পাউডারের বিক্রি বন্ধ করতে চলেছে সংস্থা।