Japanese Encephalitis: করোনাভাইরাসের পরে চিন্তা বাড়াচ্ছে এই জাপানি ভাইরাস! কীভাবে বাঁচবেন এর হাত থেকে?

Japanese Encephalitis Symptoms: জাপানি এনসেফালাইটিস ভাইরাস মশার কামড়ে ছড়ায় এবং এতে আক্রান্ত হওয়ার পর রোগীর মস্তিষ্ক ফুলে যেতে পারে, যার কারণে মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে। জাপানি এনসেফালাইটিস ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের স্নায়বিক রোগ হয়, তবে এর হার এক শতাংশেরও কম। এই ভাইরাসে আক্রান্ত ২০ থেকে ৩০ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হতে পারে। 

Updated By: Dec 6, 2022, 12:42 PM IST
Japanese Encephalitis: করোনাভাইরাসের পরে চিন্তা বাড়াচ্ছে এই জাপানি ভাইরাস! কীভাবে বাঁচবেন এর হাত থেকে?

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পৃথিবী জুড়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি। কিন্তু এর মধ্যেই চিন্তার ভাঁজ মানুষের কপালে। এই সংক্রমণের মাঝেই জাপানে বাড়তে শুরু করেছে জাপানি এনসেফালাইটিসের ঘটনা। সরকারের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে এই ভাইরাস। মিডিয়া রিপোর্টে জানা গিয়েছে, পুনেতে এনসেফালাইটিস ভাইরাসের একটি কেস সামনে এসেছে। একটি চার বছরের শিশুর শরীরে এই রোগের সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে।

এই ভাইরাস মশার কামড়ে ছড়ায়

জাপানি এনসেফালাইটিস ভাইরাস একটি মশাবাহিত ফ্ল্যাভিভাইরাস এবং এটি মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। এই কারণে সব বয়সের মানুষেরই এনসেফালাইটিস ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। এটি ডেঙ্গু, হলুদ জ্বর এবং ওয়েস্ট নাইল ভাইরাসের মতো একই বংশের অন্তর্গত।

প্রথম সংক্রমণ ১৮৭১ সালে জাপানে দেখা যায়

১৮৭১ সালে জাপানে এনসেফালাইটিস ভাইরাসের সংক্রমণের প্রথম ঘটনাটি সামনে আসে। এই কারণে একে জাপানি এনসেফালাইটিস ভাইরাসও বলা হয়। এনসেফালাইটিস ভাইরাসের সংক্রমণের হার খুবই কম, তবে এনসেফালাইটিসের কারণে মৃত্যুর হার ৩০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।

জাপানি এনসেফালাইটিসের লক্ষণ

সেন্ট্রাল ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) বিভাগের মতে, অনেক সময় জাপানি এনসেফালাইটিস ভাইরাসের কোনও লক্ষণ দেখা যায় না এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শুরুতে কোনও লক্ষণ দেখা যায় না। এনসেফালাইটিস ভাইরাসের সাধারণ উপসর্গ সম্পর্কে বলতে গেলে, সংক্রমিত ব্যক্তিদের জ্বর, মাথাব্যথা, বমি, মানসিক অবস্থার পরিবর্তন, স্নায়বিক লক্ষণ, দুর্বলতা, মুভমেন্ট ডিসঅর্ডার এবং শিশুদের ক্ষেত্রে খিঁচুনি দেখা যায়।

জাপানি এনসেফালাইটিসের বিপদ কি?

জাপানি এনসেফালাইটিস ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের স্নায়বিক রোগ হয়, তবে এর হার এক শতাংশেরও কম। এই ভাইরাসে আক্রান্ত ২০ থেকে ৩০ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হতে পারে। এছাড়াও, গুরুতর সংক্রমণ থেকে আরোগ্যলাভ করা ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ মানুষের মধ্যে স্নায়বিক এবং মানসিক লক্ষণগুলি অব্যাহত থাকতে পারে।

আরও পড়ুন: High blood sugar control: চোখ রাঙাচ্ছে ডায়াবেটিস? ৫টি খাবার বাদ দিলেই নিয়ন্ত্রণে রোগ!

লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত পরীক্ষা করুন

জাপানি এনসেফালাইটিস প্রতিরোধ করার জন্য, সময়মতো পরীক্ষা করা প্রয়োজন। কেউ যদি এমন কোনও এলাকায় থাকেন যেখানে জাপানি এনসেফালাইটিস ভাইরাস ছড়িয়েছে তাহলে তাঁর পরীক্ষা করানো উচিত। এর পাশাপাশি, তিনি যদি জাপানি এনসেফালাইটিসের কোনও উপসর্গ দেখতে পান, তাহলে তাকে একজন ডাক্তারের কাছে গিয়ে নিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো উচিত। এর পাশাপাশি নিজে কিছু না করে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।

আরও পড়ুন: যুগান্তকারী! ইকো নয়, এবার থেকে এক্স-রে করেই বুঝতে পারবেন হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা আছে কি না...

জাপানি এনসেফালাইটিসের চিকিৎসা

জাপানি এনসেফালাইটিসে আক্রান্ত রোগীর কোনও নিশ্চিত চিকিৎসা নেই। সংক্রমণের পরে যে লক্ষণগুলি দেখা দেয় তার উপর ভিত্তি করে, ডাক্তাররা তাদের চিকিৎসা করেন এবং তাদের পর্যবেক্ষণে রাখেন। বিশ্রামের পাশাপাশি চিকিৎসক আক্রান্ত ব্যক্তিকে বেশি পরিমাণে তরল গ্রহণের পরামর্শ দেন।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

 

.