জানেন মিষ্টি আমাদের শরীরের কী কী উপকার করে?
মিষ্টির পোকা হাওড়ার সুদেষ্ণা। শেষ পাতে মিষ্টি ছাড়া চলেই না। ছোট থেকেই মায়ের হাতে তৈরি মিষ্টিতে মাত। বিয়ের পরেও বারবার ছুটে আসেন বাপেরবাড়ি। মিষ্টির টানে। সুদেষ্ণা, সহেলি দুই বোন। মিষ্টির পোকা। শেষ পাতে মিষ্টি ছাড়া ওদের চলেই না। অভ্যেসটা ধরিয়েছেন মা শ্যামলী। হাতের গুণে মিষ্টির রেসিপিগুলো হয়ে ওঠে আরও মধুময়।
ওয়েব ডেস্ক: মিষ্টির পোকা হাওড়ার সুদেষ্ণা। শেষ পাতে মিষ্টি ছাড়া চলেই না। ছোট থেকেই মায়ের হাতে তৈরি মিষ্টিতে মাত। বিয়ের পরেও বারবার ছুটে আসেন বাপেরবাড়ি। মিষ্টির টানে। সুদেষ্ণা, সহেলি দুই বোন। মিষ্টির পোকা। শেষ পাতে মিষ্টি ছাড়া ওদের চলেই না। অভ্যেসটা ধরিয়েছেন মা শ্যামলী। হাতের গুণে মিষ্টির রেসিপিগুলো হয়ে ওঠে আরও মধুময়।
দুবছর হল বিয়ে হয়েছে সুদেষ্ণার। বাপেরবাড়ির কাছেই শ্বশুরবাড়ি। স্বামী পেশায় আইনজীবী। বেশিরভাগ সময় বাড়ির বাইরে। অনেকসময় তাই বাপেরবাড়ি চলে আসেন সুদেষ্ণা। তার পিছনে অবশ্য একটা কারণও আছে। মায়ের হাতের মিষ্টি। বোনের সঙ্গে তো রীতিমতো মিষ্টি খাওয়ার কম্পিটিশন হয়। শেষ পাতে ওদের মিষ্টি চাইই চাই।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, প্রতিদিন শেষ পাতে একটু মিষ্টি খেলে কমবে ব্লাড প্রেশার। পাশাপাশি কার্ডিওভাসকুলার রোগের সম্ভাবনা কমে। মিষ্টি খাবার শরীরের ভিতর অ্যাসিড ক্ষরণের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। ফলে, হজম ভাল হয়। শেষ পাতে মিষ্টি খেলে শরীরে সেরিটোনিন নামের হরমোনের ক্ষরণ হয়। ফলে, সুখ ও আনন্দের অনুভূতি তৈরি হয়। শরীরের সার্বিক সুস্থতার জন্য যা জরুরি। ভারী খাবার খাওয়ার পর শরীরে ব্লাড প্রেশার অত্যন্ত কমে যায়। ফলে, কখনও কখনও অস্বস্তি তৈরি হয়। কিন্তু মিষ্টি খেলে শরীরে রক্তচাপের ভারসাম্য তৈরি হয়। ফলে, কোনও অসুস্থতা বা অস্বস্তির সম্ভাবনা থাকে না। ডার্ক চকোলেটের মতো বেশ কিছু ডেজার্টে থাকে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং কোকো। যা স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমায়। ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে।
মিষ্টির প্রতি সুদেষ্ণার ভালবাসায় স্বামীর কপালে মাঝে মাঝে চিন্তার ভাঁজ পড়ে। কিন্তু থোড়াই কেয়ার সুদেষ্ণা। কারণ, তিনি ভালই জানেন, শেষ পাতের ম্যাজিক। শেষ পাতে তাই প্রতিদিন মিষ্টি মাস্ট। মিষ্টি ছাড়ার কথা ভাবতেই পারেন না সুদেষ্ণা।