সাইনোসাইটিসে ভুগছেন? রইল কয়েকটি কার্যকরী ঘরোয়া টোটকা

জেনে নেওয়া যাক সাইনোসাইটিসের কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়ার কয়েকটি ঘরোয়া উপায়...

Updated By: Jan 8, 2019, 10:18 PM IST
সাইনোসাইটিসে ভুগছেন? রইল কয়েকটি কার্যকরী ঘরোয়া টোটকা

নিজস্ব প্রতিবেদন: সাইনোসাইটিসের (সাইনাসের সমস্যা) সমস্যায় অনেককেই ভুগতে হয়। সারাক্ষণ নাক-মাথা ভার লাগা, মাথায় অস্বস্তি, কপালে অস্বস্তি-সহ নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় এই সাইনোসাইটিসের ফলে। এ বার জেনে নেওয়া যাক কেন হয় এই সাইনোসাইটিসের সমস্যা।

সাইনোসাইটিসের সমস্যা হওয়ার কারণ:

মুখের হাড়ের ভিতরে চার জোড়া ফাঁপা বায়ুপূর্ন জায়গা আছে যেগুলিকে সাইনাস বলা হয়। যদি কোনও কারণে সাইনাসের ভেতরের ঝিল্লির মধ্যে জ্বালা করতে থাকে তখন তাকে সাইনোসাইটিস বলে। এ বার জেনে নেওয়া যাক সাইনোসাইটিসের কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়ার কয়েকটি ঘরোয়া উপায়...

সাইনোসাইটিসের সমস্যা থেকে মুক্তির উপায়:

১) সাইনোসাইটিসের সমস্যা থেকে বাঁচতে হলে প্রচুর জল পান করুন। প্রচুর পরিমাণে জল খেলে শ্লেষ্মা পাতলা হয়ে তা ধীরে ধীরে শরীর থেকে সহজেই বেরিয়ে যায়। তাই সাইনোসাইটিসের সমস্যা শুরু হলে সারাদিন প্রচুর জল খাওয়ার চেষ্টা করুন।

আরও পড়ুন: কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণ ও লক্ষণগুলি সম্পর্কে জেনে নিন

২) রসুনের মধ্যে রয়েছে একাধিক রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা। রসুন শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিকের মতোই কাজ করে। তাই প্রতিদিন অন্তত এক কোয়া রসুন খেতে পারলে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণজনিত সমস্যা বা সাইনোসাইটিসের সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এ ছাড়াও প্রতিদিন ২ কোয়া রসুন ২ চামচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে দিনে দু’বার খেলে সাইনোসাইটিস সমস্যায় উপকার পাওয়া যায়।

৩) প্রতিদিন এক চামচ পেঁয়াজের রস এক চামচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে সাইনোসাইটিসের সমস্যা অনেকটা কমে যাবে। এ ছাড়াও, এক চামচ আদা কুচির সঙ্গে এক চামচ মধু খেলে সাইনোসাইটিসের কারণে হওয়া মাথাব্যথা থেকে কিছুটা রেহাই মিলবে।

৪) কম জলীয় বাষ্পযুক্ত স্থানে সাইনোসাইটিসের সমস্যা বেড়ে যায়। তাই যেখানে বাতাসে জলীয় বাষ্প বা আদ্রতার পরিমাণ স্বাভাবিক, তেমন জায়গায় থাকতে চেষ্টা করুন। স্যাঁতসেঁতে বা অতিরিক্ত শুষ্ক আবহাওয়া এড়িয়ে চলুন। পর্যাপ্ত আলো-বাতাস আছে এমন জায়গায় থাকার চেষ্টা করুন।

৫) সাইনোসাইটিস সমস্যায় গরম জলের ভাপ বা সেঁক (Vapour) নিতে পারলে দ্রুত উপকার মেলে। সাইনোসাইটিস সমস্যায় এটি একটি অত্যন্ত কার্যকর পদ্ধতি। গরম জলের ভাপ বা সেঁক নিলে আমাদের নাসিকা-পথ ভেজা থাকবে এবং সহজেই শ্লেষ্মা পাতলা হয়ে বেরিয়ে আসবে। তাই গরম জলেতে নুন মিশিয়ে নিয়ে দিনে ২ বার করে সেঁক (Vapour) নিন।

৬) সিগারেটের ধোয়া, ধুলোবালি, হেয়ার স্প্রে, বডি স্প্রে ইত্যাদি জিনিসগুলো থেকে দূরে থাকুন। এ ধরণের জিনিসগুলো নাসিকা পথে ঢুকে যায় এবং সাইনোসাইটিস সমস্যা বাড়ায়। রাস্তায় বের হলে নাকে কাপড় দিয়ে রাখুন বা মাস্ক পড়ে নিন। তাহলে ধুলোর সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে এবং সাইনোসাইটিসের সমস্যার আরামও পাওয়া যাবে।

৭) যখন বাইরে বের হবেন তখন তো আর গরম জলর ভাপ বা সেঁক নেয়া সম্ভব না। তাই বাড়ির বাইরে যতক্ষণ থাকবেন, চেষ্টা করবেন কিছুক্ষণ পর পর চিনি ছাড়া গরম চা, কফি বা স্যুপ খাওয়ার। গরম তরল খাবারগুলো খেলে শ্লেষ্মা পাতলা হয়ে আসে এবং সহজে পরিষ্কার হয়ে যায়।

৮) সাইনোসাইটিসের কারণে নাকে, মাথায় বা কপালে অস্বস্তি হলে গরম জলেতে একটি তোয়ালে ভিজিয়ে ভাল করে নিংড়ে নিন। এর পর এই তোয়ালেটা মুখের উপর দিয়ে কিছু ক্ষণ শুয়ে থাকুন। এই পদ্ধতিতে সাময়িক ভাবে অনেকটা আরাম পাওয়া যায়।

.