প্রথমবার করোনা আক্রান্ত রোগীর ফুসফুস প্রতিস্থাপন করলেন চিকিত্সকরা

দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট-এর একটি প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ওই যুবককে বেশ কয়েকদিন ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। কিন্তু একটা সময় পর তাঁর শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করা বন্ধ করে দেয়। 

Updated By: Jun 13, 2020, 12:43 AM IST
প্রথমবার করোনা আক্রান্ত রোগীর ফুসফুস প্রতিস্থাপন করলেন চিকিত্সকরা

নিজস্ব প্রতিনিধি - করোনায় আক্রান্ত রোগীর ফুসফুস প্রতিস্থাপন করলেন চিকিত্সকরা। এরা আগে করোনা আক্রান্ত রোগীকে বাঁচাতে এত বড় পদক্ষেপ নেননি কোনও চিকিত্সক। ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন চিকিৎসক অঙ্কিত ভারতের নেতৃত্বে চিকিত্সকদের একটি দল করোনা আক্রান্ত রোগীর ফুসফুস প্রতিস্থাপন করলেন। ২০ বছর বয়সী এক রোগীকে বাঁচাতে ডাক্তাররা এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর ওই যুবকের ফুসফুস ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। রোগীকে বাঁচাতে ফুসফুস প্রতিস্থাপন ছাড়া আর কোনও রাস্তা ছিল না বলে জানিয়েছেন চিকিত্সক অঙ্কিত ভারত। রোগীর ফুসফুস সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট-এর একটি প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ওই যুবককে বেশ কয়েকদিন ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। কিন্তু একটা সময় পর তাঁর শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করা বন্ধ করে দেয়। সেই যুবকের জন্য কৃত্রিমভাবে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁর ফুসফুসে ইনফেকশন দেখা দেয়। তখনই ডাক্তাররা সিদ্ধান্ত নেন তাঁর ফুসফুস প্রতিস্থাপন করা হবে। শিকাগোর নর্থওয়েস্টার্ন মেডিসিন হাসপাতাল জানিয়েছে, কঠিন অস্ত্রোপচারের পর এখন ওই যুবক বিপন্মুক্ত। থোরাসিস সার্জারির প্রধান ও নর্থ ওয়েস্টার্ন হাসপাতালের ফুসফুস প্রতিস্থাপন প্রোগ্রাম-এর সার্জিকাল ডিরেক্টর অঙ্কিত ভারত বলেছেন, এটি তাঁর জীবনের সব থেকে কঠিন অস্ত্রোপচার ছিল। 

আরও পড়ুন- ভারতে কী করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে? উত্তর দিল ICMR

ড. অঙ্কিত ভারত জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে করোনা সংক্রমণ কিছু রোগীর মধ্যে চূড়ান্ত আকার নিতে পারে। তখন রোগীকে বাঁচাতে আরও বেশি করে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হবে। ফুসফুশ ছাড়াও এই মারণ ভাইরাস কিডনি, হৃৎপিণ্ড, রক্তনালী এবং স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি করছে। তবে করোনার আক্রমণে মানবদেহে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ফুসফুস। এর আগে একজন করোনা রোগীকে বাঁচাতে অস্ট্রিয়ার এক দল চিকিত্সক তাঁর ফুসফুসে অস্ত্রোপচার করেছিলেন। তবে ফুসফুস প্রতিস্থাপন এই প্রথম। ডাক্তার অঙ্কিত ভারত জানিয়েছেন, যে সব রোগীদের চিকিত্সার মাধ্যমে সারিয়ে তোলা সম্ভব নয়, তাঁদের ক্ষেত্রে অঙ্গ প্রতিস্থাপন ছাড়া আর কোনও বিকল্প রাস্তা নেই।

.