করোনা আগের তুলনায় এখন অনেক বেশি ছোঁয়াচে, তবে সে তুলনায় ততটা প্রাণঘাতী নয়! দাবি সমীক্ষায়
বিশেষজ্ঞদের মত, নতুন করে সংক্রমিত হওয়া এই ভাইরাস আগের চেয়ে অনেক বেশি ছোঁয়াচে বা সংক্রামক। তাই প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন।
![](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/styles/zm_98x58/public/2019/01/24/171263-sudip2.jpg?itok=t-Ed54mI)
![করোনা আগের তুলনায় এখন অনেক বেশি ছোঁয়াচে, তবে সে তুলনায় ততটা প্রাণঘাতী নয়! দাবি সমীক্ষায় করোনা আগের তুলনায় এখন অনেক বেশি ছোঁয়াচে, তবে সে তুলনায় ততটা প্রাণঘাতী নয়! দাবি সমীক্ষায়](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2020/07/22/263503-covid19.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সারা বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই দেড় কোটি ছাড়িয়েছে। এই ভাইরাসে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬ লক্ষ ১৯ হাজার ৬১৪ জনের। ভারতেও করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ উদ্বেগজনক হচ্ছে। প্রতিদিনই ৩০-৩৫ হাজার মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন করোনায়। এই পরিস্থিতিতে এই ভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষমতা সম্পর্কে সতর্ক করে দিলেন বিশেষজ্ঞরা।
সম্প্রতি ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (National Centre for Disease Control বা NCDC) ২৭ জুন থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত দিল্লিতে ২১ হাজার ৩৮৭ জনকে নিয়ে সমীক্ষা চালায়। এঁদের মধ্যে ২৩.৪৮ শতাংশের রক্তে করোনা-রোধী অ্যান্টিবডির উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে। এই সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের ২২.৮৬ শতাংশের মধ্যে করোনার উপসর্গ ছিল।
বিশেষজ্ঞরা দিল্লিতে করোনা আক্রান্তদের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, এখানে মোট আক্রান্তের ৯.৭ শতাংশের মধ্যে মারাত্মক শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই ৯.৭ শতাংশের মধ্যে SARS-এর লক্ষণ, ৩৪ শতাংশের মধ্যে MARS (middle eastern respiratory syndrome)-এর লক্ষণ, ২.৫ শতাংশ আক্রান্তের মধ্যে স্প্যানিশ ফ্লু-এর লক্ষণ এবং ১.৩ শতাংশ আক্রান্তের মধ্যে সোয়াই ফ্লু-এর উপসর্গ লক্ষ্য করেছেন তাঁরা। বিশেষজ্ঞরা জানান, দিল্লিতে করোনা আক্রান্ত্রের সংখ্যা প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়লেও এই ভাইরাসে মৃত্যুর হার এই রাজ্যে এখনও ০.০৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন: অক্সফোর্ডের প্রতিষেধক বিনামূল্যেই পেতে পারেন ভারতীয়রা! ইঙ্গিত সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইওর
এই তথ্যের উপর ভিত্তি করে বিশেষজ্ঞদের মত, নতুন করে সংক্রমিত হওয়া এই করোনাভাইরাস আগের চেয়ে অনেক বেশি ছোঁয়াচে বা সংক্রামক। তাই প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে এই ভাইরাস আগের মতো ততটা প্রাণঘাতী নয়! তাই দিল্লির মৃদু উপসর্গ যুক্ত বা উপসর্গহীন প্রায় ৯৯.৬ শতাংশ করোনা আক্রান্ত দ্রুত সেরে উঠছেন।