হেপাটাইটিস-বি-এর চিকিত্সা সময় মতো না হলে হতে পারে লিভার ক্যান্সার!
এমনটাই দাবি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার ‘হেপাটাইটিস বি ফাউন্ডেশন’-এর!
নিজস্ব প্রতিবেদন: হেপাটাইটিস-বি-এর সংক্রমণ লিভার ক্যান্সারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ঝুঁকির কারণ! আর এই বিষয়ে আমরা অনেকেরই তেমন কোনও ধারণা নেই। এমনটাই দাবি, মার্কিন গবেষকদের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার ‘হেপাটাইটিস বি ফাউন্ডেশন’-এর দাবি, হেপাটাইটিস-বি-এর সঠিক চিকিত্সা সময় মতো করা না গেলে তা লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।
প্রতি বছর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে সারা বিশ্বে লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। প্রতিনিয়ত বাড়ছে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এমন বেশ কিছু ক্যান্সার রয়েছে যেগুলি প্রাথমিক পর্যায় শনাক্ত করা প্রায় অসম্ভব! যেমন, লিভার বা যকৃতের ক্যান্সার। একেবারে শেষের দিকে এর উপসর্গ বোঝা যায় বলে লিভার বা যকৃতের ক্যান্সার শনাক্ত করা খুবই কঠিন। কারণ, লিভারের বেশিরভাগ অংশই পাঁজরের নীচে ঢাকা থাকে। যাঁদের মদ্যপানের অভ্যাস রয়েছে বা লিভার সিরোসিস রয়েছে, তাঁদের লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি। এর সঙ্গেই হেপাটাইটিস-বি থেকে হওয়া সংক্রমণের ফলে বহুগুণ বেড়ে যায় লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি।
#Liver #Cancer is the 2nd most common cancer in the world, with infection with hepatitis B the most common risk factor. Early detection saves lives. Learn more. #hepB #HBV #hepatitisB #livercancer https://t.co/Nw7U7Lbk5g pic.twitter.com/GNH1aLDzHa
— Hep B Foundation (@HepBFoundation) October 16, 2019
‘হেপাটাইটিস বি ফাউন্ডেশন’-এর তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর ৭ লক্ষ ৮৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় লিভার ক্যান্সারে। আফ্রিকা এবং পূর্ব এশিয়ায় অবস্থিত দেশগুলিতে আক্রান্তের হার ৮০ শতাংশ। তাই মার্কিন গবেষকদের দাবি, লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে হেপাটাইটিস-বি-এর চিকিত্সা সময় মতো শুরু করা জরুরি। পরিসংখ্যান বলছে, পৃথিবীর প্রায় ৩ কোটি মানুষ প্রতি বছর হেপাটাইটিস বি-তে আক্রান্ত হচ্ছেন। চলুন চিনে নেওয়া যাক হেপাটাইটিস বি-এর প্রাথমিক লক্ষণগুলিকে...
হেপাটাইটিস বি-এর প্রাথমিক লক্ষণ:
১) সব সময় অবসন্ন বোধ করা।
২) বেশীরভাগ সময়েই মাথা ব্যথা করা।
৩) হঠাত্ হঠাত্ গা চুলকাতে থাকা।
৪) হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা থাকা, বিশেষ করে ডান দিকের উপরিভাগের জয়েন্টে ব্যথা অনুভব করা।
৫) সারাক্ষণ বমি বমি ভাব থাকা এবং যখন তখন বমি হওয়া।
৬) সারাক্ষণ জ্বর জ্বর ভাব অনুভূত হওয়া বা শরীরে ম্যাজমেজে অনুভূতি হওয়া।
৭) চোখ ও প্রস্রাবের রঙ হলুদ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।