Adenovirus spike in West Bengal: বসন্তের মরসুমে বাংলায় বাড়ছে অ্যাডিনো-প্রকোপ! কোন উপসর্গে বুঝবেন আপনিও আক্রান্ত কি না?
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, করোনার মতো এই ভাইরাস শিশুদের ক্ষেত্রে কার্যত মহামারীর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। প্রতি বারই শীতের শেষে বা বসন্তের শুরুতে সংক্রমণ বৃদ্ধি পায় এই সংক্রমণ। হাওয়া বদলের মরসুমে ঠান্ডা লাগে বেশিরভাগেরই। কিন্তু এ বছর যেন অনেক বেশি অ্যাডিনোভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কলকাতার শহর থেকে জেলা, সর্বত্রই হাসপাতাল ভরে যাচ্ছে জ্বর-সর্দি-কাশিতে আক্রান্তের সংখ্যা যেন ক্রমেই বাড়ছে। আচমকা কেন এতটা মারাত্মক হয়ে উঠেছে সাধারণ রোগগুলিই। নেপথ্যে রয়েছে চেনা-পরিচিত নাম, অ্যাডিনোভাইরাস। গত কয়েকবছর আগে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে চিন্তা না থাকলেও চরিত্র বদলের কারণে অ্যাডিনোভাইরাস এবার কিছুটা শক্তিবৃদ্ধি করেছে। যার জেরে এই ভাইরাসে এসেছে মারণ ক্ষমতা।
আরও পড়ুন, Adenovirus: শিশুদের মধ্যে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ, চরিত্র বদলে ভয়াল হয়ে উঠছে অ্যাডিনোভাইরাস!
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, করোনার মতো এই ভাইরাস শিশুদের ক্ষেত্রে কার্যত মহামারীর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। প্রতি বারই শীতের শেষে বা বসন্তের শুরুতে সংক্রমণ বৃদ্ধি পায় এই সংক্রমণ। হাওয়া বদলের মরসুমে ঠান্ডা লাগে বেশিরভাগেরই। কিন্তু এ বছর যেন অনেক বেশি অ্যাডিনোভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত যে পরিসংখ্যান তা থেকে বোঝা যাচ্ছে, এই রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বাচ্চারা। তবে বয়স্ক কিংবা মধ্যবয়সিরাও আক্রান্ত হচ্ছেন।
কী উপসর্গ দেখে প্রাথমিকভাবে বোঝা সম্ভব? বাচ্চার খাওয়ার পরিমাণ আচমকা কমে যাওয়া, প্রসাব কম হওয়া, বমি হওয়া, খিঁচুনি হওয়া , শ্বাসকষ্ট - এই উপসর্গগুলি দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে।বেশির ভাগ ক্ষেত্রে উপসর্গ কিন্তু সাধারণ জ্বরের মতোই। জ্বরের সঙ্গে সর্দিকাশি, গলাব্যথা তো আছেই। সেইসঙ্গে দেখা দিতে পারে পেটের সমস্যাও। পাশাপাশি বমি, ডায়রিয়াও হতে পারে। তুলনামূলকভাবে কম হলেও এই সংক্রমণে দেখা দিতে পারে ইউটিআই বা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন।
তাছাড়াও, সংক্রমণ জটিল হলে শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়ার মতো উপসর্গও দেখা দিতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উপসর্গ মৃদুই থাকছে। কিছু ক্ষেত্রে জটিল আকার ধারণ করছে। যদি আক্রান্ত ব্যক্তির কোনও জটিল ক্রনিক ও জটিল অসুখ থাকে তাহলে কিন্তু অ্যাডিনো ভাইরাস জটিল হয়ে যেতে পারে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি পাওয়ারও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
এদিকে, বছর দুয়েক পরে ফিরে আসা অ্যাডিনোভাইরাসের মিউটেশনের মাধ্যমে জিনগত কোনো পরিবর্তন ঘটেছে কি না, তা জানার চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে অ্যাডিনোভাইরাসে শিশুমৃত্যু হয়েছে। সেই মতো স্বাস্থ্য দফতর শিশুদের জন্য বিশেষ নির্দেশিকাও জারি করেছে। জানা যাচ্ছে, ডিসেম্বরে অ্যাডিনোভাইরাস ছিল ২২ শতাংশের মতো। জানুয়ারিতে ছিল ৩০ শতাংশ এবং ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পরীক্ষায় দেখা গেছে, অ্যাডিনোভাইরাস রয়েছে ৩০ শতাংশের বেশি। পরিস্থিতি বিচার করে বি সি রায় শিশু হাসপাতালেও রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। খোলা হয়েছে ফিভার ক্লিনিক।