হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অচৈতন্য বৃদ্ধ, স্থায়ী পেসমেকার বসিয়ে নতুন জীবন দিলেন ডাক্তার
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, পেসমেকার হয়ত বসানো হয় অনেক জায়গায়, কিন্তু যে রোগির জ্ঞান নেই, কার্ডিয়াক এ্যারেস্ট হয়েছে সেই রোগীকে আগে লাইফ সাপোর্ট দিতে হয়। এক্ষেত্রে হাসপাতালের টিম এবং ডাক্তারবাবুরা চেষ্টা করেছেন এবং তারা সফল হয়েছেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অচৈতন্য থাকা অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া এক বৃদ্ধের বুকে স্থায়ী প্রেসমেকার বসিয়ে নতুন জীবন দিলেন চিকিৎসক ভবতোষ বিশ্বাস। শহরতলীর বেসরকারি হাসপাতালে পরিকাঠামোর অভাব থাকা সত্ত্বেও এই ধরনের চিকিৎসা ভরসা যোগাবে সাধারন মানুষকে, এমনটাই মনে করছেন চিকিৎসক। সুস্থ হয়ে ওই বৃদ্ধ জানিয়েছেন, ‘নতুন জীবন পেলাম’।
কোন্নগরের বাসিন্দা আটাত্তর বছর বয়স্ক মনোজ চক্রবর্তীকে গত ২৮ নভেম্বর কোন্নগরের মা সারদা হাসপাতালে নিয়ে যায় তাঁর পরিবার। বুকে ব্যাথা থেকে অচৈতন্য হয়ে পড়েন মনোজ চক্রবর্তি। তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। অনিয়মিত রক্তচাপ,অক্সিজেনের ঘাটতি এবং ইসিজিতে আট্রিয়াল ফ্লাটার পাওয়া যায়। পালস রেট কমতে কমতে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়ে যায় তাঁর। সঙ্গে সঙ্গে ভেন্টিলেশানে দেওয়া হয় ওই বৃদ্ধকে। চিকিৎসক ভবতোষ বিশ্বাস রোগীর পরিবরারের সঙ্গে কথা বলে জানান ব্রেন ডেথ হয়নি কিন্তু হার্ট কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। তখনই প্রেসমেকার বসাতে হবে।
পরিবার অনুমতি দিতেই ভেন্টিলেশানে থাকা কালীন অস্ত্রপচার করে প্রেসমেকার বসিয়ে দেন তিনি। এটি ছিল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ন কাজ। চিকিৎসক বিশ্বাস বলেন, বড় হাসপাতালে এই ধরনের চিকিৎসা হয়। কিন্তু শহরতলীতে, যেখানে পরিকাঠামোর অভাব আছে, সেখানে এই ধরনের অস্ত্রপচার খুব বেশি হয়না। রোগির বয়স এখানে একটা সমস্যা ছিল বলেও জানা গিয়েছে। হার্ট এ্যাটাক হওয়ার পরে পরীক্ষা করে তিনি দেখেন ব্রেন ঠিক আছে। তখনই তিনি সিদ্ধান্ত নেন অস্ত্রপচার করার।
আরও পড়ুন: High blood sugar control: চোখ রাঙাচ্ছে ডায়াবেটিস? ৫টি খাবার বাদ দিলেই নিয়ন্ত্রণে রোগ!
এই ধরনের রোগীর ক্ষেত্রে দূরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় থাকে না। কাছাকাছি হাসপাতালে সেই চিকিৎসা পাওয়া গেলে রোগির উপকার হয়। বৃদ্ধ মনোজ চক্রবর্তী বলেন, ‘আমার অবস্থা খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল। কোনও জ্ঞান ছিল না। হাসপাতালের ভর্তির পরে ভেন্টিলেশানে ছিলাম। পেসমেকার বসানোর পর এখন সুস্থ আছি’।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, পেসমেকার হয়ত বসানো হয় অনেক জায়গায়, কিন্তু যে রোগির জ্ঞান নেই, কার্ডিয়াক এ্যারেস্ট হয়েছে সেই রোগীকে আগে লাইফ সাপোর্ট দিতে হয়। এক্ষেত্রে হাসপাতালের টিম এবং ডাক্তারবাবুরা চেষ্টা করেছেন এবং তারা সফল হয়েছেন।