অসুস্থতাকে বাই-বাই বলার অভিনব ৯টি উপায়

শীতকালে শরীর সব থেকে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। ঠান্ডাতে সর্দি-কাশি প্রায় লেগেই থাকে। সর্দি-কাশি যেহেতু ছোঁয়াচে রোগ, তাই এই জীবাণু অন্য কারোর শরীর থেকে আপনার শরীরে অনায়াসেই চলে আসে। আর শীত শুরু হওয়ার সময় যদি একবার জীবাণু আপনার শরীরে ঢুকে যায়, তাহলে আর রক্ষে নেই। সমস্ত শীতকালটাই আপনাকে কাবু করে রেখে দেবে।

Updated By: Dec 29, 2015, 05:29 PM IST
অসুস্থতাকে বাই-বাই বলার অভিনব ৯টি উপায়

ওয়েব ডেস্ক: শীতকালে শরীর সব থেকে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। ঠান্ডাতে সর্দি-কাশি প্রায় লেগেই থাকে। সর্দি-কাশি যেহেতু ছোঁয়াচে রোগ, তাই এই জীবাণু অন্য কারোর শরীর থেকে আপনার শরীরে অনায়াসেই চলে আসে। আর শীত শুরু হওয়ার সময় যদি একবার জীবাণু আপনার শরীরে ঢুকে যায়, তাহলে আর রক্ষে নেই। সমস্ত শীতকালটাই আপনাকে কাবু করে রেখে দেবে।

তাই শীতকালে যাতে রোগ-জীবাণু আপনাকে এবং আপনার বাচ্চাকে ছুঁতে না পারে তার জন্য মেনে চলুন কিছু নিয়ম...

১. প্রচুর পেন কিনে নিন
এটা শুনতে কিছুটা অদ্ভুত লাগলেও সত্যি। অনেকের মধ্যে পেন হারিয়ে ফেলার একটা প্রবণতা দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়া অনেকেই দোকান, ব্যাঙ্ক ইত্যাদি স্থানে অন্যের পেন নেয় সই করার জন্য। এই পেনের মাধ্যমেই রোগ-জীবাণু চলে আসে আপনার শরীরে। ধরুন আপনি যার থেকে পেন নিচ্ছেন অথয়াব যাকে পেন দিচ্ছেন, সেই ব্যক্তি কিছুক্ষণ আগে মুখে হাত দিয়ে নিজের হাঁচি অথবা কাশি চেপেছেন। সেই জীবাণুই পেনের মাধ্যমে আপনার শরীরে চলে যায়। তাই কারোর পেন একেবারেই ব্যবহার করবেন না। আগে থেকেই নিজের ব্যাগে একটা পেন ফেলে রাখুন। যদি কোনও কারণে নিয়ে যেতে ভুলে যান তাহলেও ব্যাগ থেকেই পেয়ে যাবেন।

২. স্যানিটাইজার
ব্যাগে সব সময় স্যানিটাইজার রেখে দিন। শীতকালে বাতাসে জীবানুর পরিমাণ খুব বেড়ে যায়। তাই বাইরে খাবার খাওয়ার সময় অবশ্যই স্যনিটাইজার লাগিয়ে নিন হাতে। এতে যদি আপনি হাত নাও ধুতে পারেন তাহলেও কোনও সমস্যা হবে না। এমনকি আপনার বাচ্চার স্কুল ব্যাগেও রেখে দিন স্যানিটাইজার। বাচ্চারা খুব বেশি স্বাস্থ্য সচেতন হয়না। তাই প্রাত্যহিক রুটিনের মধ্যেই খাবার আগে হাতে স্যানিটাইজার মাখার কথা তাকে শিখিয়ে দিন।

৩. বন্ধু বাড়ান
স্যানিটাইজার এবং পেনের মতোই এটাও খুব সত্যি কথা। একটি পরীক্ষা থেকে দেখতে পাওয়া গেছে যাঁদের যত বেশি বন্ধু তাঁরা রোগ সংক্রমণে ভোগেন অনেক কম। আপনি যত বেশি একা থাকবেন আপনার মাথায় শরীর খারাপের কথা সব সময় ঘুরবে। কিন্তু আপনি যদি অনেক মানুষের মধ্যে থাকেন তাহলে হিউম্যান সাইকোলজি মতে, আপনার শরীর মন দুটোই ভালো থাকবে। শরীর খারাপের কথা মাথা থেকে বেরিয়ে যাবে।

৪. ঝগড়া করুন
ঝগড়া করুন শরীর ভালো থাকবে। আপনার নিজের রাগ শরীরের মধ্যে পুষে রাখবেন না। রাগ বের দেওয়াই সব থেকে ভালো। রাগ পুষে রেখে দিলে ব্লাড প্রেসার হাই হয়ে যেতে পারে। তাই রাগ পুষে না রেখে যার ওপর মাথা গরম হয়েছে তার সঙ্গেই ঝগড়া করে নিতে পারেন। এর জন্যই বিবাহিত দম্পতিদের শরীর বেশ ভালোই থাকে। তবে আপনার বসের ওপর রাগ হলে তাঁর সঙ্গে যেন ঝগড়া করতে যাবেন না। কাজের মানুষের ওপর অবলীলায় সেই রাগ বের করে দিতে পারেন।

৫. ম্যাসেজ করুন
শীতকালে ঠান্ডার ফলে আমাদের পেশি শক্ত হয়ে যায়। তাই পেশির মধ্যে রক্ত চলাচল যাতে ঠিক থাকে তার জন্য সপ্তাহে এক বার ম্যাসেজ করাতেই পারেন। এর ফলে আপনার গায়ে ব্যথাও কমে যাবে।

৬. ভিটামিন
ডাক্তারি পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন ওষুধ খেতে পারেন। যেমন ধরুন ভিটামিন A, B-6, B-12, C এবং D খেতেই পারেন। খাবারে সঙ্গে যদি এই সব খাবার আপনার শরীরে না যায় তাহলে ভিটামিন ওষুধ খেতেই পারেন।

৭. হাত ধুয়ে নিন
বাইরে থেকে বাড়িতে ঢুকেই আগে হাত-পা-মুখ ভালো করে সাবান দিয়ে ধুয়ে নিন। এমনকি বাইরের জামা-কাপড় পড়ে ঘরে এসে না বসাই ভালো। কারণ আপনার জামার ধুলো ময়লা বিছানে বা সোফাতে লেগে যেতে পারে। যার ফলে আপনার পরিবারের অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।

৮. ভালো করে ঘুমান
ব্যস্ত জীবনে ঘুমের ব্যঘাত ঘটেই থাকে। তাই বাড়িতে এসে অফিসের কোনও কাজ না করে তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়ুন। এছাড়া ছুটির দিনে প্রায় ৭থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমান। তারপর বাড়তি কাজ করুন। নয়ত কোনও কাজ করতেই ভালো লাগবে না।

৯. এড়িয়ে চলুন
ধরুন আপনার গ্রুপের মধ্যে কারোর সর্দি-কাশি হয়েছে। তাহলে সেখান থেকে নিজেকে গুটিয়ে রাখুন। একই ভাবে যদি আপনিও সর্দি-কাশিতে ভোগেন তাহলে গ্রুপের মধ্যে না যাওয়াই ভালো।   

.