মুখের ঘায়ে খাবার খেতে, কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে? রইল ৫টি অব্যর্থ সমাধান

এই কষ্টকর পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেতে জেনে নিন ৫টি অব্যর্থ টোটকা...

Updated By: May 8, 2019, 12:06 PM IST
মুখের ঘায়ে খাবার খেতে, কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে? রইল ৫টি অব্যর্থ সমাধান
--প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন: সাধারণত, মুখে ঘা হয় কোনও ভাবে গালের ভেতরের অংশে বা জিভে কেটে ছড়ে গেলে বা কামড় লেগে। খুব গরম খাবার বা তরল কিছু খেতে গিয়েও পুড়ে গিয়ে বা ফোসকা পড়ে মুখে ঘা হতে পারে। অনেক সময় শক্ত ব্রাশ দিয়ে দাঁত মাজার সময় খোঁচা লেগেও মুখে ঘা হতে পারে। মুখের ভিতরে কোনও ভাবে ক্ষতর সৃষ্টি হলে কিছু খেতে গেলেই ব্যথা করতে থাকে বা জ্বালা করে। এই কষ্টকর পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেতে জেনে নিন ৫টি অব্যর্থ টোটকা...

১) কয়েকটি তুলসি জলে ঘণ্টা খানেক ভিজিয়ে রাখুন। তুলসি পাতা-সমেত ওই জল দিনে অন্তত তিন থেকে চারবার খেতে পারলে মুখের ঘা দ্রুত সেরে যাবে এবং একই সঙ্গে মুখের ঘা হওয়ার প্রবণতাও কমিয়ে দেবে।

২) এক চামচ নারকেলের দুধের সঙ্গে সম পরিমাণ মধু মিশিয়ে এই মিশ্রণ দিনে অন্তত ৩-৪ চারবার মুখের ক্ষত স্থানে লাগান। মধু ছাড়া শুধু নারকেলের দুধ দিয়েও ক্ষত স্থানে আলতো করে মালিশ করতে পারেন। দেখবেন মুখের ঘা বা ক্ষত দ্রুত সেরে যাবে।

৩) যষ্টিমধু মুখের ঘা দূর করতে অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। ১ চামচ যষ্টিমধু, ২ কাপ জলে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর এই যষ্টিমধু ভেজানো জল দিয়ে দিনের মধ্যে ৪-৫ বার কুলকুচি করুন। দ্রুত উপকার পাবেন।

৪) দ্রুত ব্যথা এবং জ্বালা কমাতে টি-ব্যাগ অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। একটি টি-ব্যাগ ঠান্ডা জলে কিছু ক্ষণ ভিজিয়ে নিয়ে সেটিকে ঘায়ের জায়গায় লাগান। দেখবেন ব্যথা-বেদনা আর মুখের ক্ষত— দুই সেরে যাবে।

আরও পড়ুন: শ্বাসকষ্টে ভুগছেন? হাতের কাছে কালো জিরে থাকতে চিন্তা কীসের!

৫) অ্যালোভেরা জেল বা অ্যালোভেরার রস মুখের ঘা দ্রুত কমিয়ে দিতে সক্ষম। অ্যালোভেরা জেল বা অ্যালোভেরার রস হল প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপ্টিক, যার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফিংগাল, অ্যান্টিভাইরাল উপাদান দ্রুত ক্ষত সারিয়ে দিতে পারে।

৬) মুখের ঘায়ে ব্যথা কমাতে নুন-জল দিয়ে কুলকুচি করতে পারেন, এটি মুখের ভিতরে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

উল্লেখিত উপায়গুলি ঘরোয়া টোটকামাত্র যেগুলি দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আধুনিক চিকিত্সায় এই পদ্ধতিগুলি তেমন ভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। তাই মুখের ঘা যদি দীর্ঘদিন ধরে না কমে, সে ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিত্সকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

.