কোলেস্টেরল থেকে কোষ্ঠকাঠিন্য, নিয়ন্ত্রণে রাখুন ঘি খেয়ে!
আসুন এ সম্পর্কে কী বলছেন পুষ্টিবিদরা, তা জেনে নেওয়া যাক...
নিজস্ব প্রতিবেদন: আমাদের অনেকেরই এটা ধারণা, ঘি খেলেই বুঝি ওজন বেড়ে যাবে! এ ধারণা একেবারে ভুল না হলেও সম্পূর্ণ সঠিকও নয়। অতিরিক্ত মাত্রায় ঘি খেলে ওজন বাড়ে ঠিকই, কিন্তু নির্দিষ্ট পরিমাণ ঘি, নিয়মিত সঠিক পদ্ধতি মেনে খেতে পারলে তা ওজন কমাতে সাহায্য করে। একাধিক গবেষণায় এই তত্ব প্রমানিত হয়েছে। আসুন এ সম্পর্কে কী বলছেন পুষ্টিবিদরা, তা জেনে নেওয়া যাক...
১) একাধিক গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে যে, ঘি-এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ‘মিডিয়াম চেন ফ্যাটি অ্যাসিড’ যা শরীরে জমে থাকা ফ্যাট সেল দ্রুত গলাতে সাহায্য করে।
২) পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতিদিন খালি পেটে ২ চামচ ঘি খেতে পারলে শরীরে রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।
৩) ২ থেকে ৩ চামচ ঘি গরম ভাত বা রুটির সঙ্গে খেলে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা কেটে গিয়ে বাড়বে হজম ক্ষমতা।
৪) প্রতিদিন পাতে ২ চামচ ঘি খেতে পারলে তা আমাদের পরিপাকতন্ত্রকে দ্রুত চর্বিমুক্ত করতে সাহায্য করে।
৫) প্রতিদিন খালি পেটে ২ চামচ ঘি খেতে পারলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকেও দ্রুত রেহাই পাওয়া যায়।
৬) এ ছাড়াও অ্যালার্জি প্রতিরোধে, সর্দি-কাশির কষ্ট কমাতে ঘি অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান।
৭) ঘি-এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যাসেনশিয়াল ফ্যাট যা মস্তিষ্কের কোষের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। পুষ্টিবিদদের মতে, স্মৃতিশক্তির বৃদ্ধিতে ঘি অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
৮) ঘি রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। খালি পেটে ২-৩ চামচ ঘি খেতে পারলে শরীরে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এই ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: জেনে নিন লালশাকের ৭ আশ্চর্য স্বাস্থ্যগুণ!
৯) ঘি-এ রয়েছে কে-২ আর সিএলএ নামের দু’টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
১০) প্রতিদিন খালি পেটে ২ চামচ ঘি খেলে ত্বকের কোলাজেনের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। ফলে ত্বক হয়ে ওঠে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল, সুন্দর।