বীরভূমে সিপিআইএম কর্মী খুনে প্রশ্নের মুখে পুলিসের ভূমিকা

বীরভূমে সিপিআইএম কর্মী শেখ হীরা খুনের ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পুলিসের ভূমিকা। টাঙি, লাঠি নিয়ে হামলার পরও অভিযুক্ত আট তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে শুধুমাত্র অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিস। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, তিনবছর আগে শেখ জিয়া খুনের মামলায় মূল সাক্ষী লোপাট করতেই পরিকল্পনামাফিক খুন করা হয়েছে শেখ হীরাকে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দুই তৃণমূলকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।ভিও-প্রথমে ময়না তদন্তে রাজি ছিল না সিউড়ি সদর হাসপাতাল। শেষ পর্যন্ত বাসিন্দাদের চাপে ময়না তদন্ত হয়। সেখান থেকে মরদেহ যায় হারাইপুরের বাড়িতে। সেখানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় শেখ হীরার।

Updated By: Apr 19, 2014, 11:15 PM IST

বীরভূমে সিপিআইএম কর্মী শেখ হীরা খুনের ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পুলিসের ভূমিকা। টাঙি, লাঠি নিয়ে হামলার পরও অভিযুক্ত আট তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে শুধুমাত্র অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিস। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, তিনবছর আগে শেখ জিয়া খুনের মামলায় মূল সাক্ষী লোপাট করতেই পরিকল্পনামাফিক খুন করা হয়েছে শেখ হীরাকে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দুই তৃণমূলকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।ভিও-প্রথমে ময়না তদন্তে রাজি ছিল না সিউড়ি সদর হাসপাতাল। শেষ পর্যন্ত বাসিন্দাদের চাপে ময়না তদন্ত হয়। সেখান থেকে মরদেহ যায় হারাইপুরের বাড়িতে। সেখানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় শেখ হীরার।

শুক্রবার বীরভূমের সিউড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর সভার ঠিক আগে সলখানায় উদ্ধার হয় বিস্ফোরক। সভায় তাঁর প্রাণনাশের চক্রান্তের অভিযোগ করেন

বিকেলে মুখ্যমন্ত্রীর সভা শেষ হতেই হারাইপুরে সিপিআইএম কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে হামলা শুরু হয়। টাঙির কোপ মারা হয় সিপিআইএম কর্মী শেখ হীরার মাথায়। রাতেই মৃত্যু হয় তাঁর।

মুখ্যমন্ত্রীর প্ররোচনাতেই খুন বলে অভিযোগ করেছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান।

নিহত সিপিআইএম কর্মীর বাড়ির লোকের আবার অভিযোগ, তিন বছর আগে নিহত সিপিআইএম কর্মী শেখ জিয়ার খুনের সাক্ষ্য প্রমাণ লোপাটের জন্যই পরিকল্পনা মাফিক খুন করা হয়েছে শেখ হীরাকে।

শেখ হীরাকে খুনের অভিযোগে আট তৃণমূল কর্মী শেখ হবিব, শেখ আসিফ, শেখ ইজরাইল, জিয়াউর রহমান, নূর হক , নূর আলম, শেখ মানিক ও শেখ সেন্টুর বিরুদ্ধে সিউড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার। এদের মধ্যে ছজন দুহাজার এগারোয় শেখ জিয়া খুনেও অভিযুক্ত।

শেখ হীরা খুনের মামলাতেও প্রশ্নের মুখে পুলিসের ভূমিকা। টাঙি, লাঠি নিয়ে হামলার পরও পুলিস কেন তিনশো দুই ধারায় খুনের অভিযোগের বদলে তিনশো চার ধারায় অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

জেলা পুলিস কর্তারা এব্যাপারে মুখে কুলুপ আঁটলেও পুলিস সূত্রেই জানা গেছে, ৩০২-এর বদলে ৩০৪ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে ওপরতলার নির্দেশেই।

.