ভোট আসে যায়, বদলায় না ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত অঞ্চলের বাসিন্দাদের জীবন

ভোট আসে ভোট যায়। কিন্তু বদলায় না দক্ষিণ দিনাজপুরের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত অঞ্চলের বাসিন্দাদের জীবনের চালচিত্র। ভারতের নাগরিক হয়েও বেশির ভাগ সুবিধা থেকেই বঞ্চিত তাঁরা। সন্ধ্যার পর কাটাতে হয় বন্দি জীবন। পানীয় জলের অভাব। নেই বিদ্যুত্ বা রাস্তা। ভোট এলে প্রতিবারই মেলে প্রতিশ্রুতি। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি আর বাস্তবায়িত হয় না।

Updated By: Apr 14, 2014, 10:28 PM IST

ভোট আসে ভোট যায়। কিন্তু বদলায় না দক্ষিণ দিনাজপুরের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত অঞ্চলের বাসিন্দাদের জীবনের চালচিত্র। ভারতের নাগরিক হয়েও বেশির ভাগ সুবিধা থেকেই বঞ্চিত তাঁরা। সন্ধ্যার পর কাটাতে হয় বন্দি জীবন। পানীয় জলের অভাব। নেই বিদ্যুত্ বা রাস্তা। ভোট এলে প্রতিবারই মেলে প্রতিশ্রুতি। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি আর বাস্তবায়িত হয় না।

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত অঞ্চল। ২১৪ কিলোমিটার সীমান্তের প্রায় সিংহভাগেই রয়েছে কাঁটাতারের বেড়া। আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে এই বেড়া দেওয়া হয়েছে মূল সীমান্ত থেকে ১৫০ মিটার ভিতরে। আর এর ফলে গোবিন্দপুর, গয়েশপুর, হারিপুকুরের মত কুড়িটিরও বেশি গ্রাম থেকে গেছে বেড়ার ওপারে। ভারতীয় এলাকা হলেও কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে ঘর গেরস্থালি থাকায় রয়েছে হাজারো সমস্যা। সন্ধ্যার পর কার্যত বন্দি জীবন কাটাতে হয় তাঁদের। তার ওপর রয়েছে নিরাপত্তারক্ষীদের চোখরাঙানি। একটি মাত্র পানীয় জলের কলও খারাপ। নেই বিদ্যুত্ বা পাকা রাস্তা। প্রতিবারই ভোট আসে। আবার চলেও যায়। কিন্তু এইসব গ্রামে বসবাসকারী মানুষগুলোর দুর্দশা ঘোচে না।

অবস্থা এমন যে কখনও কখনও প্রার্থীকেও বেড়ার এপার থেকেই জনসংযোগ সারতে হয় ওপারে দাঁড়িয়ে থাকা বাসিন্দাদের সঙ্গে। ভোট চাইতে এসে প্রার্থীরা অবস্থা বদলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু ভোট গেলে শেষ পর্যন্ত উপেক্ষিতই থেকে যান ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত অঞ্চলের বাসিন্দারা।

.