তখতে মোদী, ইউপিএ-কে হটিয়ে দিল্লির মসনদ দখল করতে চলেছে এনডিএ জোট, বলছে সব বুথ ফেরত সমীক্ষাই

কোন দিকে যাবে দেশের রায়? ভোট মিটতেই শুরু হয়ে গিয়েছে তা নিয়ে চুলচেরা বিচার। বুথফেরত সমীক্ষাগুলির অধিকাংশই ইঙ্গিত দিচ্ছে দিল্লি মসনদ যাচ্ছে এনডিএ-র দখলে। ২৪৯ থেকে ৩৪০টি পর্যন্ত আসন এনডিএ-কে দিয়েছে সমীক্ষাগুলি। অন্যদিকে, ইউপিএ-কে ৭০ থেকে ১৪৮টি আসন দিচ্ছে সমীক্ষাগুলি।পরীক্ষা শেষ।

Updated By: May 13, 2014, 12:00 PM IST

কোন দিকে যাবে দেশের রায়? ভোট মিটতেই শুরু হয়ে গিয়েছে তা নিয়ে চুলচেরা বিচার। বুথফেরত সমীক্ষাগুলির অধিকাংশই ইঙ্গিত দিচ্ছে দিল্লি মসনদ যাচ্ছে এনডিএ-র দখলে। ২৪৯ থেকে ৩৪০টি পর্যন্ত আসন এনডিএ-কে দিয়েছে সমীক্ষাগুলি। অন্যদিকে, ইউপিএ-কে ৭০ থেকে ১৪৮টি আসন দিচ্ছে সমীক্ষাগুলি।পরীক্ষা শেষ।

এখন শুরু দিন গোণা। ১৬ মে রেজাল্ট। আর তার আগেই চলে এসেছে একাধিক বুথফেরত সমীক্ষা। কী বলছে সেই সব সমীক্ষা? প্রায় প্রত্যেকেই ক্ষমতার অলিন্দে এগিয়ে রাখছে এনডিএ-কে।

টাইমস নাওয়ের সমীক্ষা বলছে এনডিএ পাবে ২৪৯ আসন। ইউপিএ-র দখলে আসতে পারে ১৪৮টি আসন।

সিএনএন আইবিএনের বুথফেরত সমীক্ষা তো এনডিএ-কে ২৭০ থেকে ২৮২টি আসন দিচ্ছে। সেখানে ইউপিএ-র ঝুলিতে পড়ছে ৯২ থেকে ১০২টি আসন।

আজ তকের বুথফেরত সমীক্ষায় এনডিএ পাচ্ছে ২৭২টি আসন। ইউপিএকে তারা ১০৫টি আসন দিচ্ছে।

আর ইন্ডিয়া টিভি বেশ কয়েক কদম এগিয়ে তাদের বুথফেরত সমীক্ষায় এনডিএ-কে ২৮৯টি আসন দিচ্ছে। সমীক্ষা অনুযায়ী ইউপিএ-র ঝুলিতে পড়তে পারে ১০১টি আসন।

ফলে অধিকাংশ বুথফেরত সমীক্ষাই বলছে সরকার গঠনের পথে এগিয়ে থাকছে এনডিএ। এইসব বুথফেরত সমীক্ষাকে অবশ্য গুরুত্ব দিতে নারাজ কংগ্রেস। শেষদফার ভোটের পর কোর কমিটির বৈঠকে বসে তারা। সরকার গড়তে যাবতীয় ছুতমার্গ সরিয়ে রাখার ইঙ্গিতটা দিয়েই রেখেছেন নারায়ণস্বামী। বলেছেন, প্রয়োজনে তৃতীয় ফ্রন্টের হাত ধরতেও আপত্তি নেই তাদের। কিন্তু, দিনের শেষে সবথেকে আশাতীত মন্তব্যটি করেছেন শাকিল আহমেদ। বলছেন তৃণমূল, বিএসপি আর AIADMK আর যাই করুক কোনও সাম্প্রদায়িক দলের সঙ্গে হাত মেলায়নি।

মমতা-মায়াবতী-জয়ললিতার প্রতি এতটা সুরবদল কেন? বুথফেরত সমীক্ষা দেখে ঘুম উড়ে যেতেই কি বিভিন্ন স্তরে বার্তা পাঠানোর কাজটা শুরু করে দিল কংগ্রেস? কারণ, তৃণমূল, বিএসপি আর AIADMKকে বাদ দিলে জেডিইউ, বিজেডি-র মতো কয়েকটি দলই পড়ে থাকে প্রয়োজনে যাদের পাশে পাওয়া যেতে পারে।তাই এই দলগুলি কোনদিকে ঝোঁকে সেই জল মাপার কাজটা সোমবার থেকেই শুরু করে দিয়েছে কংগ্রেস।

এদিকে বুথফেরত সমীক্ষা সামনে আসতে শুরু করতেই উচ্ছ্বসিত বিজেপি শিবির।

কংগ্রেস হাইকমান্ড অবশ্য ভোটে ফল খারাপ হবে ধরে নিয়েই রাহুল গান্ধীর পাশে দাঁড়ানোর কাজটা শুরু করে দিয়েছে। রাহুল গান্ধী সরকারের কেউ নন। তিনি দলের দু নম্বর নেতা। ফল যাই হোক, তার দায় সবার। বলতে শুরু করে দিয়েছেন দলের ম্যানেজারেরা।

.