'প্যারোডি হোক, তবে টুম্পার গায়ে যেন রাজনীতির রং না লাগে', মত গানের স্রষ্টার
তাঁদের সাফ বক্তব্য, 'প্যারোডি হোক, তবে টুম্পার গায়ে যেন রাজনীতির রং না লাগে'।
নিজস্ব প্রতিবেদন : পাড়ার প্যান্ডেল থেকে বিয়েবাড়ি। যে দিকেই যাওয়া যায়, স্পিকারে সজোরে বাজছে 'টুম্পা সোনা, দুটো হাম্পি দেনা...'। গানটি যে ব্যাপক হারে ভাইরাল হয়েছে, তা আর নতুন কী! তবে আলোচনার বিষয় হল, যখন বামেদের ব্রিগেডের থিম সং হয়ে উঠল 'টুম্পা' গানের প্যারোডি। ভাইরাল 'টুম্পা'র মতোই বেশ জনপ্রিয় হয়েছে বামেদের বানানো প্যারোডি, 'টুম্পা তোকে নিয়ে ব্রিগেড যাব/ চেন ফ্ল্যাগে মাঠ সাজাবো।' তবে তাঁদের তৈরি গান নিয়ে এভাবে প্যারোডি বানানোয় কী মত 'টুম্পা'র গীতিকার আরব দে চৌধুরী আর পরিচালক অরিজিৎ সরকারের? তাঁদের সাফ বক্তব্য, 'প্যারোডি হোক, তবে টুম্পার গায়ে যেন রাজনীতির রং না লাগে'।
আরব দে চৌধুরী (গীতিকার)- টুম্পা জনপ্রিয় গান। কোনও গান একবার পাবলিক প্ল্যাটফর্মে চলে এলে সেটা সবার গান হয়ে যায়। আমরা অতীতেও দেখেছি, অনেক রাজনৈতিক দলই ভোট প্রচারে বিভিন্ন জনপ্রিয় গান প্যারোডি করে ব্যবহার করছে। এবারও সেটাই হয়েছে। এনিয়ে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। শুধু আমাদের বক্তব্য, আমাদের গায়ে যেন কেউ রাজনীতির রং লাগানোর চেষ্টা না করেন। অনেকেই CPIM-র প্যারোডি জনপ্রিয় হওয়ার পর ভাবছেন, এটা আমরা করেছি বা কেউ ভেবেছেন এতে আমাদের প্রচ্ছন্ন সমর্থন আছে। তবে এটা একেবারেই ভুল। আমরা এর সঙ্গে একেবারেই যুক্ত নই। তবে যে কোনোও দল এই গানটির প্যারোডি করতে পারে, ভোট প্রচার করতে পারে, আমাদের কোনও আপত্তি নেই। গানটি কেউ অফিসিয়ালি কোথাও ব্যবহার করলে, অবশ্যই অনুমতির প্রয়োজন আছে, তবে প্যারোডি তো সবাই করতে পারে।
আরিজিৎ সরকার (পরিচালক)- 'টুম্পা' প্যারোডি নিয়ে আমাদের কোনও অভিযোগ নেই। কথাটা বুঝতে ভুল হয়েছে। আমরা কারোর উপর ক্ষুব্ধ নই। শুধু বামেরা কেন, তৃণমূল, বিজেপি, যে কেউ এই গানের প্যারোডি বানাতে পারে। তবে আমাদের গায়ে বা 'টুম্পা' গানের গায়ে যেন রাজনীতির রং না লাগে। অনেকে ভাবছেন আমরা হয়ত গায়ের কপি রাইট কোনও রাজনৈতিক দলকে বিক্রি করে দিয়েছি। সেটা কিন্তু একেবারেই নয়। তবে প্যারোডি তো হতেই পারে।