Tv Serial: ‘ফুলশয্যার খাটে মা-ছেলে, বন্ধ হোক নোংরামি!’, তুমুল কটাক্ষের মুখে মানালির ‘কার কাছে কই মনের কথা’...
Kar Kachhe Koi Moner Katha: ফুলশয্যার খাটে মায়ের সঙ্গে শুয়ে সদ্য বিবাহিত ছেলে। নববধূ বসে রয়েছেন চেয়ারে। বাংলা ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথার একটি দৃশ্য ঘিরে তুমুল শোরগোল নেটপাড়ায়। ধারাবাহিকের নির্মাতাদের কার্যত ধুয়ে দিল নেটপাড়া। অনেকেই এই দৃশ্যকে হাস্যকর নয়, নোংরামি বলে দাবি করেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বাংলা ধারাবাহিকের(Tv Serial) গল্প থেকে শুরু করে একাধিক বিষয় নিয়ে প্রায়শই দর্শকের ও নেটিজেনদের(Netizen) কটাক্ষের মুখে পড়ে ধারাবাহিকের নির্মাতারা। তবে এবার আর সমালোচনা নয়, কার্যত রেগে লাল দর্শকেরা। মানালি দে(Manali Dey), বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়(Basabdatta Chatterjee) ও স্নেহা চট্টোপাধ্যায়ের(Sneha Chatterjee) নয়া ধারাবাহিক ‘কার কাছে কই মনের কথা’(Kar Kachhe Koi Moner Katha)। সেই ধারাবাহিকের একটি দৃশ্যে দেখা যায় ধারাবাহিকের অন্যতম মূল চরিত্র শিমূলের ফুলশয্যার খাটে শুয়ে তাঁর স্বামী ও শাশুড়ি। শিমূল অর্থাৎ মানালি বসে আছেন চেয়ারে। সেখান থেকেই শুরু বিতর্ক(Controversy)।
আরও পড়ুন- Pori Moni: 'এতো লোকের মাঝে...' শ্লীলতাহানির বর্ণনা দিতে গিয়ে আদালতে কান্নায় ভেঙে পড়লেন পরীমণি...
ধারাবাহিকের গল্পে দেখা যাচ্ছে, শিমূলের বর পরাগ ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়েছেন, মা-ই তাঁর সব। একদিকে সদ্য বিবাহিতা শিমূল শ্বশুরবাড়িতে আসার পর থেকেই তাঁর শাশুড়ি তাঁকে সহ্য করতে পারছেন না। তাঁকে পদে পদে অপমান করছে। পরাগের ভাইও কথায় কথায় অপমান করে শিমূলকে। অন্যদিকে পরাগের কড়া নির্দেশ, শিমূল তাঁর মায়ের মুখের উপর কোনও কথা বলতে পারবে না। এর মাঝেই ফুলশয্যার রাতের একটি সিন ঘিরে তৈরি হয় শোরগোল।
ফুলশয্যায় শিমূল তাঁর স্বামীর জন্য উপহার আনলেও পরাগ কোনও উপহার আনেনি। এই উপহার বদলের মাঝেই তাঁদের ফুলশয্যার রাতে ঘরে শাশুড়ি চলে আসে। আচমকাই শরীর খারাপের নাটক শুরু করেন তিনি। শেষমেশ দেখা যায়, ফুলশয্যার খাটে ছেলের সঙ্গে শুয়ে পড়ল মা আর নতুন বউ বসে রইল চেয়ারে। চ্যানেলের তরফ থেকে তিনটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘ফুলশয্যার দিন কেন সোফায় শুতে হলো শিমুলকে?’ সেই পোস্টের কমেন্ট বক্সেই ধারাবাহিকের নির্মাতাদের প্রতি ধেয়ে এল কটাক্ষের ঝড়। এই দৃশ্য যে দর্শকদের একেবারেই পছন্দ হয়নি, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
আরও পড়ুন-Ankush Hazra: আদৌ কি যোগ্য? মহানায়ক সম্মান পেয়ে প্রশ্ন তুললেন অঙ্কুশ নিজেই...
কমেন্ট বক্সে অনেকেই এই দৃশ্যকে ‘নোংরামি’ বলে দাবি করেছেন। অনেকেই লেখেন যে এই দৃশ্যটি অন্য ভাবে সাজাতেই পারতেন নির্মাতারা। এক দর্শক লেখেন, ‘এটা কোনো গল্প? মায়ের সাথে ছেলে ফুলশয্যার খাটে? এসব দেখে কি শিখবে সমাজ? কার চিন্তা ভাবনা এত জঘন্য?’ অন্য এক ব্যক্তি লেখেন, ‘কি নোংরা জঘন্য সিরিয়াল ফুলশয্যার রাতে নাকি ছেলে আর মা খাটে একসাথে শুয়ে আছে বউ শুয়ে আছে সোফাতে, এগুলো শুধু হাস্যকরও নয় এগুলো রীতিমতো নোংরামি অসভ্যতামি’। এক দর্শকের অনুরোধ, ‘একটাই রিকোয়েস্ট এই সিনটা দেখানোর কোন মানে হয় না। এটা দেখানো মানে প্রত্যেকটা মায়ের অপমান, প্রত্যেকটা মেয়ের অপমান, এটা দেখানোর জন্য সমাজ যে কতটা নিচে নামতে পারে। নোংরামি দেখানোর ও একটা সীমা আছে। আপনারা টিআরপির জন্য যা ইচ্ছা কেন দেখান?’ আরেক ব্যক্তির মন্তব্য ‘বাড়াবাড়ির একটা সীমা থাকে। সেটাও ছাড়িয়ে গেল’।
অনেকে আবার দর্শকদের কটাক্ষ করেছেন। এক ব্যক্তি লেখেন, ‘ভালো সিরিয়াল অন্য রকম সিরিয়াল কাকিমা মাসিমারা দেখে না, এরকম কুৎসিত নোংরামি মানসিকতা যুক্ত সিরিয়াল দেখাই বাংলার দর্শকদের রুচি, যেখানে চাহিদা আছে সেখানে যোগান আছে। লেখক লেখিকা পরিচালককে দোষ দিয়ে লাভ কি? আমাদের নিম্ন রুচির জন্য সিরিয়ালও নিম্ন মানের হচ্ছে, এগুলো যদি দর্শক না দেখতে চাইতো তাহলে এসব সিরিয়াল হতো না। চ্যানেল আর প্রযোজক সংস্থা ব্যবসা করতে এসেছে ভাই, ভালো মানের সিরিয়াল এখন আর চলে না’।