বছর শেষে ‘TONIC’ খাইয়ে আসলে ওয়ার্ল্ডকাপটা জিতে নিলেন Dev
হলে দর্শক ফেরাতে পেরেছি, অন্য ভাষার ছবির কাছে বাংলা ছবির মান রাখতে পেরেছি, এটাই শ্রেষ্ঠ পাওয়া: দেব
নিজস্ব প্রতিবেদন: বছর শেষে বাংলা ছবির জয়জয়কার। হ্যাঁ এমনই আবহাওয়া টলিপাড়ায়। টনিক (Tonic) খাইয়ে মন জিতে নিচ্ছে পুরো টিম। জন্মদিনে দর্শকের উপহার দিয়েছেন নতুন ছবি ‘টনিক’। লড়াইটা নেহাতই সহজ ছিল না। দক্ষিণী ছবি ‘পুষ্পা’, হলিউড ছবি ‘স্পাইডারম্যান’, বলিউড ছবি ‘এইট্টিথ্রি’, টক্কর দিতে হয়েছে দেবকে। সকলকে পিছনে ফেলে দিয়েছে ‘টনিক’। এত ছবির ভিড়ে প্রথমে হল পান নি ছবির সহ প্রযোজক দেব (Dev)। মুক্তির তিন দিন পর থেকে মাল্টিপ্লেক্স এবং সিঙ্গল স্ক্রিন ভরিয়ে দিয়েছেন দর্শক। বাংলা ছবির মান রাখাই ছিল উদ্যেশ্য মত দেবের।
বছরের শেষ দিন জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল যোগাযোগ করেছিল দেবের সঙ্গে। তাঁর মতে নতুন বছর বাড়িতেই কাটাবেন তিনি। হল ভিসিটে গিয়ে দর্শককে সারপ্রাইজও দিতে পারেন আচমকাই, এও জানিয়েছেন সুপারস্টার। তাঁর কাছে এ বছরের সেরা উপহার টনিকের সাফল্য। নায়কের মতে ‘ আমি খুব খুশি। ছবির প্রয়োজক অতনু রায়চৌধুরিও খুশি, আমরা প্রচুর আলোচনা করেছি ছবি মুক্তির আগে। তবে পুরোটাই টিম ওয়ার্ক। আমি এই ছবির অংশ ছিলাম তা আনন্দের তো বটেই। প্রযোজক হিসাবেও খুশি। এই ছবিকে কেউ পাত্তা দেন নি, তাই শো সংখ্যাও কম পেয়েছিলাম। তবে পরে সিঙ্গল স্ক্রিন এবং মাস্টিপ্লেক্সে শো বেড়েছে, প্রতিদিন হাউজফুল যাচ্ছে, দু দিন আগে থেকে হাউজফুল হয়ে যাচ্ছে, এর থেকে বড় পাওয়া আর কী হতে পারে? ছবিতে চ্যালেঞ্জও ছিল, পরিচালক (Avijit Sen)অভিজিৎ সেন এই ছবির মাধ্যমে ডেবিউ করলেন, ছবিতে কোনও হিরোইন নেই,পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Paran Bandopadhyay) এবং আমার রসায়ন কতটা কাজ করবে সেটা নিয়েও চিন্তা ছিল, তবে যেদিন উত্তম-সুচিত্রার রসায়নের সঙ্গে আমাদের রসায়নের তুলনা করা হল, সেই কথাতেই মন ভরে গিয়েছে। সকলে ভেবেছিল দর্শক প্রেক্ষাগৃহে যেতে ভয় পাচ্ছেন। তাই আবার কবে প্রেক্ষাগৃহ পরিপূর্ণ হবে তা নিয়ে বিস্তর জল্পনা ছিল, হলে দর্শক ফেরাতে পেরেছি এটাই শ্রেষ্ঠ পাওয়া। বাংলা ছবির মান রাখতে পেরেছি অন্যান্য ভাষার ছবির কাছে।’
কেমন হল বক্স অফিস কালেকশন? চলচ্চিত্র বিশেষজ্ঞ এবং ডিস্ট্রিবিউটার পঙ্কজ লাডিয়ার মতে করোনা কালে সর্বোচ্চ কালেকশন টনিকের। ছবি মুক্তির সপ্তাহেই প্রায় এক কোটির ব্যবসা করে ফেলেছিল ছবি। শো বেড়েছে, কালেকশনও বেড়েছে, এখনও বাড়ছে। প্রচুর শো বাড়াতে হয়েছে, আগামি সপ্তাহেও বাড়বে। পঁচাত্তর থেকে আশি শতাংশ অক্যুপেন্সি থাকছে ছবি যা সত্যিই অনেক বেশি। ৭০ শতাংশ দর্শক সংখ্য়ায় এই ফল, ১০০ শতাংশ হলে তা আরও বাড়ত মত পঙ্কজের।
টনিক চেখে দেখতে প্রেক্ষাগৃহ ভরাচ্ছেন দর্শক, ছবি দেখে কারও চোখে জল, কারও আবার মুখে হাসি । নিজের জীবনের সঙ্গে মিল পেয়ে চোখের কোণা চিকচিক করে উঠছে অনেকেরই, কারোর আবার ভেঙ্গে যাওয়া সম্পর্ক ফের জোরা লাগছে। ছবির সাফল্য বোধহয় এটাই। সমাজে যে ছবি দাগ কাটতে পারে, মানুষের মনের অন্দরে ঢুকে কড়া নাড়ে, একজনের কথা শুনে অন্যজনও সেই ছবি দেখতে যায়, সাফল্য তখনই। তাই অনেকদিন পর বাংলা ছবি নিয়ে প্রশংসা শুনে শিশু থেকে প্রবীন, নবীন সব ধরনের দর্শকই মন ভাল করতে ছুটছেন প্রেক্ষাগৃহে। বাংলা ছবির হাল ধরতে মরিয়া সুপারস্টারও খুশি। তাই বছরের শেষ দিন বলাই বাহুল্য এ বছরের ওয়াল্ডকাপটা নিয়েই গেলেন দেব।
(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)