টলিউড পেতে চলেছে নতুন সুরকার
ভেঙ্কটেশ ফিল্মেসের ব্যানারে ছবি মানেই জিত গাঙ্গুলির মিউজিক। বা বড়জোর ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত। এই বাঁধাধরা ছকেই প্রায় এক দশক ধরে অভ্যস্ত হয়ে গেছে দর্শক।
ভেঙ্কটেশ ফিল্মেসের ব্যানারে ছবি মানেই জিত গাঙ্গুলির মিউজিক। বা বড়জোর ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত। এই বাঁধাধরা ছকেই প্রায় এক দশক ধরে অভ্যস্ত হয়ে গেছে দর্শক। জিত গাঙ্গুলির হাত ধরেই বাংলা ছবির মিউজিক প্রাণ পেয়েছিল। কিন্তু একটানা সব জিনিসেই একঘেয়েমি আসে। এবার বোধহয় দর্শকদের ফের স্বাদ বদলের পালা। বাংলা ছবি পেতে চলেছে নতুন কম্পোজার। রাজ চক্রবর্তীর আগামী ছবি `প্রেম আমার টু`তে মিউজিক দেবেন নবাগত সুরকার অরিন্দম চ্যাটার্জি।
আপাতত মালদায় জোরকদমে চলছে ছবির শুটিংয়ের কাজ। শুটিংয়ের ব্যস্ততার ফাঁকেই উচ্ছ্বসিত রাজ বলেন, "যদিও অরিন্দমের এটা প্রথম ছবি, ইন্ডাস্ট্রিতে ও কিন্তু নতুন নয়। টেলিভিশনে কাজ করার সময় ওর সঙ্গে অনেক বার কাজ করেছি আমি। আমার এখনও মনে পড়ে অরিন্দম একটা গিটার হাতে স্টুডিও চত্বরে ঘুরে বেড়াত আর আমাকে বলত, `রাজদা একটা গান শুনবে`? `প্রেম আমার টু`তে জিতদারই মিউজিক দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জিতদা সময় দিতে না পারায় আমার প্রথমেই অরিন্দমের কথা মাথায় আসে। আমার মনে হয়েছিল অরিন্দমকে দিয়ে কাজ করানোর এটাই সেরা সুযোগ। কাজ করতে গিয়ে বুঝলাম ও কতটা প্রতিভাবান। ছবির ৪টে গানই আমরা লোকাল লোকেশনে শুট করার কথা ভাবছি"।
রাজ চক্রবর্তীর মতই উচ্ছ্বাস ধরা পড়ল অরিন্দমের গলাতেও। "রাজদা আর শ্রীকান্ত স্যরের(শ্রীকান্ত মোহতা) জন্যই আমি টলিউডে সুযোগ পেলাম। রাজদা আমাকে কিছু লিমিটেশন দিয়েছিলেন বলে আমি বেশি এক্সপেরিমেন্ট করতে পারিনি। আমাকে বলা হয়েছিল মাত্র একটা গানই লিপসিঙ্কড হবে। বাকি ৩টে ব্যাকগ্রাউন্ড। সেই অনুযায়ী মিউডিক দিয়েছি আমি। সবকটা গানই লিখেছে প্রসেন। শ্রেয়া ঘোষাল ও অরিজিত সিংয়ের গলায় দুটো গান রয়েছে। দুটো ডুয়েটের একটা গেয়েছে সেমলতা আর তিমির। অন্যটা অ্যাশ কিং ও শালমলি খোলগাড়ে। শালমলি এর আগে `ইশকজাদে` ছবিত `পরেশান` ও `ককটেল` ছবি `দারু দেশি` গান দুটো গেয়েছে"। জানালেন বাংলা ছবির সঙ্গীতের নতুন সম্ভাবনা।