মঞ্চের লড়াকুদের প্রতিভূ `তবু-O`

বিশ্বনাট্য দিবসের পঞ্চাশতম বর্ষে অঘ্রাণের নবান্ন পরিবেশন করল শুভাশীষ খামারুর 'তবু-O'। নির্দেশনায় চন্দ্র গুপ্ত। সম্প্রতি ১০ বছরে পা দেওয়া দলটির তরুণ শিল্পীদের নিয়ে অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং সাহসী একটি নাটক মঞ্চস্থ হল। গ্রুপ থিয়েটারের অন্তরলীণ সত্য লুকিয়ে আছে এই নাটকের হৃদয়ে। নাট্যকর্মীদের জীবনের দূর্বিসহ মুহূর্তের ঘটনাপঞ্জি এখানে উচ্চারিত হয়েছে।

Updated By: Sep 28, 2012, 10:23 PM IST

বিশ্বনাট্য দিবসের পঞ্চাশতম বর্ষে অঘ্রাণের নবান্ন পরিবেশন করল শুভাশীষ খামারুর 'তবু-O'। নির্দেশনায় চন্দ্র গুপ্ত। সম্প্রতি ১০ বছরে পা দেওয়া দলটির তরুণ শিল্পীদের নিয়ে অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং সাহসী একটি নাটক মঞ্চস্থ হল। গ্রুপ থিয়েটারের অন্তরলীণ সত্য লুকিয়ে আছে এই নাটকের হৃদয়ে। নাট্যকর্মীদের জীবনের দূর্বিসহ মুহূর্তের ঘটনাপঞ্জি এখানে উচ্চারিত হয়েছে। অনেক বাধা, বিঘ্ন, ঝঞ্ঝা পেরিয়ে থিয়েটার করতে আসা এবং থিয়েটারকে ভালবেসে থিয়েটারে লীণ হয়ে যাওয়া নাট্যকর্মীদের সামাজিক অবস্থান যে কী অবর্ণনীয় হতে পারে বা হয়- তারই প্রেক্ষিতে গ্রথিত এই নাটকের ঘটনাবলী। সমসাময়িক রাজনীতি যথার্থ ভাবে আলোয় এসেছে এই নাটকে।
এই প্রচেষ্টার জন্য সাধুবাদ দিতেই হয় নির্দেশককে। তাঁর পরিচালনায় বর্তমান রাজনীতির বেশ কিছু রূঢ় রূপ উঠে এসেছে। নাটকের শেষে দর্শক ভাবতে বাধ্য হয়- বাস্তবে এমনটা ঘটে! একেবারে অন্য আঙ্গিকে, বিভিন্ন পরীক্ষামূলক প্রয়োগের সাক্ষী হয়ে রইলেন দর্শকেরা। কম্পোজিশন, ব্লকিং, আলো, আবহ, কোরিওগ্রাফি সবেতেই নতুনত্বের ছোঁয়া। কিন্তু কখনই তা উচ্চকিত নয়। বোঝা যায় আধুনিক নাট্যভাষার সন্ধানে ব্রতী হয়েছেন এই দলের সকলে। অত্যন্ত নিপূণতার সঙ্গে মূল নাটকে রবীন্দ্রনাথের রক্তকরবীর রঞ্জনকে জীবন্ত করে তোলা হয়েছে। নিসঃসন্দেহে নির্দেশক চন্দ্র গুপ্ত মুন্সীয়ানার পরিচয় রেখেছেন। এই নাটকে আমরা দেখতে পাই- কীভাবে একজন প্রকৃত নাট্যকর্মী স্বার্থান্বেষী মানুষের ষড়যন্ত্রে, বিষাক্ত রাজানীতির আবর্তে, আত্মকেন্দ্রিক সমাজব্যবস্থার জাঁতাকলে ক্রমাগত হারিয়ে যেতে থাকে। তবু-O থিয়েটার বেঁচে থাকে। বেঁচে আছে। বেঁচে থাকবে। 

.