চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়ে মুখ খুললেন দেব ও রাজ চক্রবর্তী
এমনকি NRS -চিকিৎসকদের আন্দোলনে দেখা গেছে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো আবেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
নিজস্ব প্রতিবেদন: NRS কাণ্ডে উত্তাল রাজ্য থেকে দেশ উত্তাল। চিকিৎসকদের আন্দোলনের জেরে বিপন্ন চিকিৎসা ব্যবস্থা। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বুদ্ধিজীবীরাও। ডাক্তারদের পাশে দাঁড়িয়েছেন অপর্ণা সেন, কৌশিক সেন, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, ঋদ্ধি সেনের মতো ব্যক্তিত্বও। এমনকি তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে চিকিৎসকদের সমর্থনে কথা বলেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিমের মেয়ে ডঃ সাব্বা হাকিম, সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদারের ছেলে। এমনকি NRS -চিকিৎসকদের আন্দোলনে দেখা গেছে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো আবেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
এবার চিকিৎসকদের উপর আক্রমণের প্রতিবাদে মুখ খুললেন ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেতা দেব। শুক্রবার নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে দেব লিখেছেন, ''যারা আমাদের প্রাণ বাঁচান তাঁরা কেন বারবার মার খাবেন? তাঁদের সুরক্ষার দায়িত্ব আমাদের। আবার তারই সঙ্গে লক্ষ লক্ষ অসুস্থ মানুষ ডাক্তারবাবুদের দিকে তাকিয়ে, আপনারা পাশে না দাঁড়ালে তারা অসহায়। সবার শুভবুদ্ধি ফিরে আসুক, সমস্যার সমাধান চাই''
আরও পড়ুন-জুনিয়র ডাক্তারকে আক্রমণ, তীব্র নিন্দা কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় ও ঋদ্ধির
এদিকে চিকিৎসকদের উপর আক্রমণের ঘটনার নিন্দা করেছেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তীও।
— rajchoco (@iamrajchoco) June 13, 2019
প্রসঙ্গত, এর আগেই জুনিয়র ডাক্তার পরিবহ মুখোপাধ্যায়ের মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার ঘটনায় সরব হয়েছিলেন পরিচালক কৌশিক গঙ্গেপাধ্যায়, অভিনেতা ঋদ্ধি সেন।
তোমায় চিনি না, তবু বলছি, দ্রুত ভালো হয়ে ওঠো তুমি l নাগরিক হিসেবে লজ্জিত লাগছে খুব l কার হয়ে জানি না, তবু ক্ষমাপ্রার্থী আমরা l
আজকাল কোথাকার রাগ কোথায় প্রকাশ করছে মানুষ!!! ছিঃ!!! pic.twitter.com/UJeR629Jvm— Kaushik Ganguly (@KGunedited) June 12, 2019
এদিকে শুক্রবার অভিনেত্রী তথা পরিচালক অপর্ণা সেন এবং নাট্যব্যক্তিত্ব কৌশিক সেন NRS-এ পৌঁছোন। সেখানে গিয়ে জুনিয়ার ডাক্তারদের পাশে দাঁড়ান। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অপর্ণা সেন আবেদন করেন, “ডাক্তারদের জীবন বিপন্ন। নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা প্রয়োজন। আমার অনুরোধ, আপনি এসে একবার কথা বলুন। আপনি স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীকে পাঠালেন, কিন্তু উনি তো পূর্ণমন্ত্রী নন। আপনি নিজে এসে একবার কথা বলুন, হাতজোড় করে অনুরোধ করছি। আপনি ওঁদের অভিভাবক, ওঁদের সমস্যাটা বোঝার চেষ্টা করুন। খুব ভালো ছাত্রছাত্রী না হলে, ডাক্তার হওয়া যায় না। ওরা যদি চলে যায়, তাহলে কি পশ্চিমবঙ্গের পক্ষে ভালো হবে?”