Tarun Majumdar Death: মরণোত্তর দেহদান, রবীন্দ্র সদন বা নন্দনে যেতে চাননি প্রয়াত তরুণ
অন্যদিকে রবীন্দ্রসদন কিংবা নন্দন কোথাও তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হোক তা তিনি চাননি। ফলত রাজ্য সরকার চাইলেও পরিবারের তরফে সব রকম রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। তাঁর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী কোনও ফুল আনতেও বারণ করা হয়েছে তাঁর অনুরাগীদের।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গিকারকে সম্মান জানিয়ে প্রয়াত পরিচালক তরুণ মজুমদারের দেহ দান করা হবে এসএসকেএম হাসপাতালে।
সোমবার সকালে এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু হয় চিত্র পরিচালক তরুন মজুমদারের। তাঁর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী মৃত্যুর পরে কোনও আড়ম্বর চাননি তিনি। সেই ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালেই দেহদান করা হবে বলে জানা গিয়েছে। হাসপাতালের অ্যানাটমি বিভাগ এই বিষয় প্রস্তুতি শুরু করেছে বলেও জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে রবীন্দ্রসদন কিংবা নন্দন কোথাও তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হোক তা তিনি চাননি। ফলত রাজ্য সরকার চাইলেও পরিবারের তরফে সব রকম রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে হাসপাতাল থেকে তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হবে এনটিওয়ান স্টুডিয়োয় তাঁর অফিসে। সেখানে মানুষ তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। যদিও তাঁর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী কোনও ফুল আনতে বারণ করা হয়েছে তাঁর অনুরাগীদের। এরপরে ফের এসএসকেএম হাসপাতালেই দান করা হবে তাঁর দেহ।
সোমবার সকাল ১১টা ১৭ মিনিটে মৃত্যু হয় বর্ষীয়ান পরিচালক তরুণ মজুমদারের। গত ১৪ জুন থেকে কিডনি ও ফুসফুসের সমস্যা নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। দীর্ঘ দু-দশক ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন পরিচালক।
কিডনির সমস্যা নিয়েই তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন পরে ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ে তাঁর। রবিরার মধ্যরাত থেকে অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে তাঁর। ডায়ালিসিসের প্রয়োজন থাকলেও, তা নেওয়ার মত শারীরিক অবস্থায় তিনি ছিলেন না তিনি। ১০০ শতাংশ ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়েছিল তাঁকে। মৃত্যুকালে পরিচালকের বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।