Anand Movie Remake: আনন্দ রিমেক হওয়া উচিত কি না বিতর্কে টলিউড সেলেবরা, জিতল কোন পক্ষ, পডুন জি ২৪ ঘণ্টায়

৭১-এর ছবি Anand এবার রিমেক(Anand Movie Remake) হতে চলেছে। এন সি সিপ্পির(NC Sippi) নাতি সমীর রাজ সিপ্পি(Sameer Raj Sippi) ইতিমধ্যেই রিমেকের কথা ঘোষণা করতেই আলোড়ন সিনে ইন্ডাস্ট্রিতে। 

Updated By: May 19, 2022, 11:36 PM IST
Anand Movie Remake: আনন্দ রিমেক হওয়া উচিত কি না বিতর্কে টলিউড সেলেবরা, জিতল কোন পক্ষ, পডুন জি ২৪ ঘণ্টায়

দেবপ্রিয় দত্ত মজুমদার

'আনন্দ' (Anand) ছবির রিমেক ঘোষণা হতেই চলচ্চিত্র জগতে আলোড়ন। কী বলছেন টলি সেলেবরা? 

প্রশ্ন উঠছে আনন্দের রিমেক কি হওয়া উচিত?

এই প্রশ্ন নিয়ে জি ২৪ ঘণ্টা (Zee 24 Ghanta) নেটিজেনদের কাছে গিয়েছিল। সেখানেও প্রায় ৭৯ শতাংশ মানুষ বলেছেন তারা এই ছবির রিমেক চাইছেন না। রাজেশ খান্না-অমিতাভ বচ্চন অভিনীত ছবি যেভাবে তাদের মনের মণিকোঠায় রয়েছে তাই যেন থাকে, এমনই মত নেটিজেনদের।

প্রভাত রায়: রিমেক করলে ক্ষতি নেই। তবে রিমেক করতে গিয়ে যেন আসল গল্পের বিকৃতি না হয়। ঋষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের (Hrishikesh Mukherjee) অন্যতম সেরা ছবি আনন্দ (Anand)। তবে, রিমেক হলে আনন্দ-এর সেই ম্যাজিক পাওয়া সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন প্রভাত রায়। এতবড় ছবিতে আমি হাত দিতে সাহস পেতাম না। অমিতাভ বচ্চন তখনও সুপারস্টার হননি। তবে রাজেশ খান্না কিন্তু তখন সুপারস্টার। সেই চরিত্র কেউ ফুটিয়ে তুলতে পারবেন বলে মনে হয় না।

পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়: আনন্দ নিঃসন্দেহে একটা ক্ল্যাসিক সিনেমা (Classic Cinema)। সেই সময়ের নিরিখে কিছু মানুষের গল্প। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই গল্পগুলোর প্রেক্ষাপটও বদলেছে। এত বছরে অনেক কিছুর আমূল পরিবর্তন ঘটে গেছে। একজন মৃত্যু পথযাত্রী জীবনটাকে এক ভাবে বাঁচার চেষ্টা করছে। এই দর্শনটাকে যদি বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে কেউ ঘুরে দেখার চেষ্টা করেন, সেটাতে আমি কোনও সমস্যা দেখি না। তা হলে তো, শেক্সপিয়ারের নাটক অবলম্বনে যে সমস্ত ছবি তৈরি হয়েছে তা নিয়ে তো আর কোনওদিন ছবি করা যাবে না। প্রত্যেক যুগে প্রত্যেক গল্পকে মানুষের নতুন নতুন করে দেখার অধিকার আছে। তৈরি হওযার পর না হয় মানুষ বিচার করবেন সেটা ভালো না খারাপ! ছবি বানানোর আগেই হইচই করার কোনও অর্থ হয় না। ক্ল্যাসিক তো সবার। করা যাবে না এই অধিকারই বা কে দিয়েছে? পরিবর্তিত পৃথিবীতে সেই গল্পকে রিভিজিট করার অধিকার আছে। দর্শকেরও অধিকার আছে তাকে ভাল বা খারাপ বলার।

অন্তরা চৌধুরী: আমি এই খবর শুনে চমকে উঠলাম! আনন্দ চলচ্চিত্র জগতে একটি ল্যান্ডমার্ক ছবি। পুরো বিষয়টি পরিচালনা, গান ও অভিনয়ের ওপর নির্ভরশীল। ওই যে মন কে ছুঁয়ে যাওয়া, ওই ব্যাপারটা পাব না। ওই গান আর কোথায় হবে? আমার মনে হয় এই ধরনের ছবিকে ছোঁওয়া উচিত নয়। বাবা (সলিল চৌধুরি)-র সুর, গুলজার জি, যোগেশ জি-র লেখা গানের কথা আর তৈরি হওয়া সম্ভব নয়। লতা জি, মুকেশ জি বা মান্না কাকার গান কি আর রিমেক হয় কখনও? আনন্দ নিয়ে আমার মজার স্মৃতি আছে। আনন্দের মুক্তির সময় আমি ছোট ছিলাম। পরে যখন টিভিতে দেখানো হত, শেষদৃশ্য় চলার সময় বাবাকে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়তে দেখতাম। বাবার চোখে জল এসে যেত, কান্না চেপে আড়ালে চলে যেতেন।  

আরও পড়ুন- Belashuru: ৩০ হাজার ফুট উচ্চতায় সৌমিত্র-স্বাতীলেখাকে অভিনব সম্মান, বিমান সংস্থার উদ্যোগে মুগ্ধ শিবপ্রসাদ

আরও পড়ুন- Pallavi Dey-Dagar Tudu: ডগররা যদি জিততে পারে, পল্লবীরা কেন হাল ছেড়ে দেয়?

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)

.