Rituporno Ghosh: ‘আমার নতুন কাজগুলো নিয়েও নিশ্চয়ই অনেককিছু বলার আছে…’ ঋতুপর্ণ ঘোষকে খোলা চিঠি প্রসেনজিতের...
Prosenjit Chatterjee on Rituporno Ghosh: দেখতে দেখতে ১০ বছর পেরিয়ে গেল। আজও ঋতুহীন টলিউড মেনে নিতে পারেন না তাঁর কাছের বন্ধুরা। তাঁর কাছের বন্ধু বললেই যে নামটা সবার আগে মনে পড়ে তিনি হলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর প্রিয় ঋতুর মৃত্যুদিনে খোলা চিঠি লিখলেন অভিনেতা।
Rituparno Ghosh Death Anniversary, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো ৩০ মে, ২০১৩। সেদিন সকাল থেকেই ছিল আকাশের মুখ ভার। শুধু সিনেপ্রেমীদের মন ভারাক্রান্ত নয়, সেদিন যেন প্রকৃতিও কেঁদেছিল অঝোর নয়নে। কারণ সকালেই সামনে আসে দুঃসংবাদ। অকালেই আমাদের ছেড়ে চলে যান ভারতীয় সিনেমার উজ্জ্বল নক্ষত্র পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ(Rituparno Ghosh)। মাত্র ৪৯ বছর বয়সে ঘুমের মধ্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন তিনি। সেদিন ইন্দ্রানী পার্কের বাড়িতে শেষবারের জন্য হাজির হয়েছিলেন অপর্ণা সেন থেকে শুরু করে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়(Prosenjit Chatterjee)।
আরও পড়ুন- Diljit Dosanjh: ‘মাথায় পাগড়ি নেই কেন?’ ‘চমকিলা’-র ট্রেলারে দিলজিৎকে দেখে তুমুল শোরগোল নেটপাড়ায়...
দেখতে দেখতে ১০ বছর পেরিয়ে গেল। আজও ঋতুহীন টলিউড মেনে নিতে পারেন না তাঁর কাছের বন্ধুরা। মঙ্গলবার সকালেই প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ঋতুপর্ণ ঘোষের একটি ছবি পোস্ট করেছেন। প্রিয় বন্ধুর উদ্দেশে লিখেছেন, ‘ঋতু, তুই নেই এটাই এখনও বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে না। কত আড্ডা, কত আলোচনা এখনও তো বাকি ছিল বন্ধু। আমি জানি এখনও তুই নতুন নতুন গল্প ভেবে যাচ্ছিস, বেশ কিছু স্ক্রিপ্টের খসড়া তৈরি আছে। আমার নতুন কাজগুলো নিয়েও নিশ্চয়ই অনেককিছু বলার আছে... ভালো থাকিস বন্ধু।’
শুধু পর্দায় পরিচালক অভিনেতার সম্পর্ক নয়, তাঁদের ব্যক্তিগত সম্পর্কও ছিল অটুট। সুখে দুঃখে বিপদে আনন্দে তাঁরা ছিলেন একে অপরের পাশে, এমনকী প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বর্তমান বাড়ির নামকরণও করেছিলেন ঋতুপর্ণ। গত বছর এই দিনেই প্রসেনজিৎ লিখেছিলেন ‘কিছু শূন্যস্থান কখনো পূরণ হয় না... ভালো থাকিস ঋতু’।
আরও পড়ুন- Viral Photos: অনুষ্কা আর সাক্ষী কি ছোটবেলার বন্ধু? দেখুন কী বিরল ছবি প্রকাশ্যে এল...
ঋতুপর্ণ ঘোষের চোখের বালি ছবিতে মহেন্দ্র ও বিহারীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও টোটা রায়চৌধুরী। এদিন ঋতুপর্ণ ঘোষের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে অভিনেতা টোটা রায়চৌধুরী লেখেন, ‘মেন্টর, টিচার, অটোর..। আপনার পর জীবন আর চলচ্চিত্র কখনোই এক ছিল না। কখনও হবে না। ১০ বছর হয়ে গেল আপনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন, কিন্তু আপনি সবসময় আমাদের হৃদয়ে থাকবেন। যেখানেই থাকুন না কেন, শান্তিতে থাকুন, প্রেমে থাকুন।’