প্রত্যুষাকে টাকা ধার নিতে হয়েছিল কাজের লোকের কাছ থেকে!

অভিনেত্রী প্রত্যুষা ব্যানার্জির আত্মহত্যার রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে। প্রত্যুষা রাহুলের সম্পর্কের কথা যাঁরা যাঁরা জানতেন, যাঁরা ওঁদের কাছ থেকে চিনতেন, তাঁদের বয়ানে উঠে আসছে বিস্ফোরক সমস্ত তথ্য। প্রথমে প্রত্যুষার প্রেমিক রাহুলের আইনজীবী নীরজ গুপ্তার বয়ানে রাহুলের চরিত্র নিয়ে যথেষ্ট সংশয় দেখা দেয়। এবার বিস্ফোরক তথ্য পেশ করলেন প্রত্যুষার পরিচারিকা।

Updated By: Apr 10, 2016, 05:32 PM IST
প্রত্যুষাকে টাকা ধার নিতে হয়েছিল কাজের লোকের কাছ থেকে!

ওয়েব ডেস্ক: অভিনেত্রী প্রত্যুষা ব্যানার্জির আত্মহত্যার রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে। প্রত্যুষা রাহুলের সম্পর্কের কথা যাঁরা যাঁরা জানতেন, যাঁরা ওঁদের কাছ থেকে চিনতেন, তাঁদের বয়ানে উঠে আসছে বিস্ফোরক সমস্ত তথ্য। প্রথমে প্রত্যুষার প্রেমিক রাহুলের আইনজীবী নীরজ গুপ্তার বয়ানে রাহুলের চরিত্র নিয়ে যথেষ্ট সংশয় দেখা দেয়। এবার বিস্ফোরক তথ্য পেশ করলেন প্রত্যুষার পরিচারিকা।

গত ৩ মাস ধরে একই বাড়িতে প্রত্যুষার সঙ্গে থাকতেন তাঁর পরিচারিকা রেণু সিনহা। তাই প্রত্যুষা-রাহুলের সম্পর্কও খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন তিনি। পুলিসের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন যে, প্রত্যুষা যথেষ্ট বড়লোক ছিলেন। তাঁর টাকার কোনও অভাব ছিল না। তবু তিনি ওষুধ কেনার জন্য কিংবা ক্যাব ভাড়া করার জন্য তাঁর কাছ থেকে টাকা ধার করতেন। তাছাড়াও রেণু খুব কাছ থেকে দেখেছেন রাহুলের সঙ্গে ঝগড়া হওয়ার পর মানসিকভাবে কতটা ভেঙে পড়তেন প্রত্যুষা।

এখনও হাসপাতালে চিকিত্‌সাধীন অবস্থায় রয়েছেন অভিনেতা-পরিচালক রাহুল রাজ সিং। চিকিত্‌সকেরা জানিয়েছেন যে তিনি খুবই হতাশায় ভুগছেন। প্রসঙ্গে প্রত্যুষার পরিচারিকা রেণু বলেন, 'প্রত্যুষার মা ফ্ল্যাট থেকে চলে যাওয়ার পর আমি ওর খুবই কাছের হয়ে গিয়েছিলাম। ওর মা ওর সঙ্গে মুম্বইতে থাকুক এটা রাহুল একেবারেই পছন্দ করত না। তাই চলে যাওয়ার আগে ওর মা আমায় ওর দিকে নজর রাখতে বলে গিয়েছিলেন। তখন থেকেই প্রত্যুষা আমায় দিদি বলে ডাকত। একদিন রাতে আমি ওদের ঘর থেকে প্রত্যুষার চিত্‌কার শুনতে পাই। প্রথমে ভেবেছিলাম ওকে ডাকব। তারপর ভাবলাম ওদের ব্যক্তিগত ব্যাপারে বিরক্ত করা ঠিক হবে না। পরে রাহুল চলে যাওয়ার পর আমি প্রত্যুষাকে সব কথা খুলে বলতে বলি। ও বলে, রাহুল ওকে ওর আগের বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে দোষারোপ করছে।'

প্রত্যুষার মা আগেই অভিযোগ জানিয়েছিলেন যে, রাহুল এবং তাঁর বাবা প্রত্যুষার ব্যাঙ্কের পাস বই এবং ডেবিট কার্ড নিজেদের কাছে রেখে দিতেন। একই কথা জানান প্রত্যুষার পরিচারিকা রেণুও। তিনি বলেন, 'প্রত্যুষার ডেবিট কার্ড সবসময় রাহুলের কাছে থাকত। ও প্রত্যুষাকে একটুও স্বাধীনতা দিত না। আমি প্রত্যুষাকে বলেছিলাম রাহুলের থেকে ডেবিট কার্ড চেয়ে নেওয়ার জন্য। কিন্তু ও জানায়, কোনও কারণে ও সেটা চাইতে পারবে না। রাহুলের আগের প্রেমিকাও এই ফ্ল্যাটে আসত। এবং প্রত্যুষাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করত। ও রাহুলের আগের সমস্ত অ্যাফেয়ার্স এবং আগের বিয়ে নিয়ে মন খারাপ করেই থাকত। ওকে সারাক্ষণ ভয় দেখিয়ে শাসন করে রাখত রাহুল। বারবার বিয়ের দিন পিছতে থাকে রাহুল।'

প্রত্যুষা ব্যানার্জি নিজের ঘরে সিলিং ফ্যানে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এই প্রসঙ্গেই সবচেয়ে বিস্ফোরক তথ্যটি দেন রেণু। বলেন, 'প্রত্যুষাকে কেউ গলায় দড়ি দিতে সাহায্য করেছিল। কারণ, ফ্ল্যাটে কোনও টুল ছিল না। আর টুল ছাড়া সিলিং ফ্যান পর্যন্ত প্রত্যুষা পৌঁছতেই পারবে না। তাই ওর আত্মহত্যার সময় আর কেউ অবশ্যই ফ্ল্যাটে উপস্থিত ছিল।'

.