Aryan Khan Drug Case: আরিয়ানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রমাণ নেই, জামিনের নির্দেশনামায় বলল আদালত
আদালতের তরফে আরও বলা হয়েছে, নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরোর নেওয়া অভিযুক্তদের জবানবন্দির কোনও আইনি মূল্য নেই
নিজস্ব প্রতিবেদন: আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধমোচার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কোনও প্রমাণ নেই। পাশাপাশি, আরিয়ানের হোয়াটসঅ্যাপ চ্য়াটে নেই আপত্তিকর কিছু । মাদক মামলার জামিনের নির্দেশনামায় এমনটাই জানাল বম্বে হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের ওই নির্দেশনামায় বলা হয়েছে, অভিয়ুক্তরা যে কোনও বেআইনি কাজ করার চেষ্টা করছিল তার কোনও প্রমাণ আদালতে নেই। ঘটনাচক্রে আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্ট, মুনমুন ধামোচারা একটি মার্চেন্ট ক্রুজে সফর করছিলেন। তার মানে এই নয় তারা কোনও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন-IPL 2022: কোথায় শেষ টি-টোয়েন্টি খেলতে চান? জানিয়ে দিলেন Mahendra Singh Dhoni
আদালতের তরফে আরও বলা হয়েছে, নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরোর নেওয়া অভিযুক্তদের জবানবন্দির কোনও আইনি মূল্য নেই। অভিযুক্তদের কাছ থেকে বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহারের মতো মাদক পাওয়া গেলেও তা যে অপরাধের উদ্দেশ্য ব্যবহারের ইচ্ছে ছিল তা বলা যায় না। আরিয়ান খানের হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাটে এমনকিছু আপত্তিকর বিষয় পাওয়া যায়নি যাতে বলা যেতে পারে অভিযুক্ত অন্য দুজনের সঙ্গে আরিয়ান ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন।
জামিনের নির্দেশনামায় আরিয়ানের সঙ্গে অন্য দুই অভিযুক্তের দেখা হওয়ার বিষয়টিকেও পরিকল্পিত নয় বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনামায় বলা হয়েছে, এখনপর্যন্ত যতদূর তদন্ত হয়েছে তাতে আরিয়ান ও আরবাজ নিজেদের মতে করে ক্রুজে উঠেছিলেন। তাদের সঙ্গে মুনমুনের দেখা হওয়া পূর্ব পরিকল্পিত নয়। এছাড়াও এমন কোনও প্রমাণ এখনও আদালতে জমা পড়েনি যে হলফ করে বলা যেতে পারে অভিযুক্তদের সবার অপরাধ করার মতো একই উদ্দেশ্য ছিল।
উল্লেখ্য, গত ২ অক্টোবর মুম্বই থেকে গোয়াগামী এক ক্রুজ থেকে শাহরুখ-পুত্র আরিয়ান খানকে গ্রেফতার করে নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো। বিশেষ আদালতে জামিনের আবেদন করলেও গত ২০ অক্টোবর তা বাতিল হয়ে যায়। এর পরই জামিনের জন্য বম্বে হাইকোর্টে আবেদন করেন আরিয়ান খান। সেই আবেদনের ভিত্তিতে গত ২৮ অক্টোবর জামিন পান আরিয়ান।