একাকীত্ব আর নয়, সুখ-দুঃখের কথা শুনতে বিশিষ্টদের ভাবনায় 'কান পেতে রই'

যাঁরা অসহায়, কথা বলার কেউ নেই, তাঁদের পাশে বিশিষ্টরা

Edited By: অনুসূয়া বন্দ্যোপাধ্যায় | Updated By: May 30, 2021, 11:42 PM IST
একাকীত্ব আর নয়, সুখ-দুঃখের কথা শুনতে বিশিষ্টদের ভাবনায় 'কান পেতে রই'

নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ত্রস্ত দেশ থেকে রাজ্য। যে যার মত করে সাহায্য়র হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। এই কঠিন পরিস্থিতির মাঝেই ইয়াসের হানা আরও সমস্যায় ফেলেছে মানুষকে। রাজ্য জুড়ে লকডাউন চলছে, এরই মাঝে প্রচুর মানুষ নিঃস্ব হয়েছেন। দুবেলা দুমুঠো খাবার দিয়ে সাহায্য় করার কথা ভাবছেন অনেকেই, কিন্তু এই কঠিন পরিস্থিতিতে অনেকেই মানসিকভাবেও বিধ্বস্ত। এবার তাঁদের পাশে থাকার উদ্যোগ নিল টলিপাড়া। 

আরও পড়ুন: নীল-তৃণার 'এক মুঠো আশা', একাধিক প্রকল্প নিয়ে মানুষের পাশে পাওয়ার কাপল

এই উদ্যোগের নাম 'কান পেতে রই'। লকডাউনের দিনগুলোতে যদি আপনার মনে হয় কথা বলার কেউ নেই তাহলে তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন বিশিষ্টরা। একলা যাঁরা, বা বৃদ্ধ-বৃদ্ধা যাঁদের সন্তানরা দূরে থাকে তাঁদের সঙ্গে গল্প করবেন চিত্রনাট্যকার পরিচালক প্রেমেন্দুবিকাশ চাকী, পরিচালক সুব্রত সেন, পরিচালক উৎসব মুখার্জি, চিত্রনাট্যকার পদ্মনাভ দাশগুপ্ত, চিত্রনাট্যকার অদিতি মজুমদার ও ক্রিয়েটিভ ডিজাইনার একতা ভট্টাচার্য। এনারা কান পেতে থাকবেন এমন কিছু কথা শোনার জন্য যা হয়ত আপনারা বলতে চেয়েও পারেন নি, অথবা বলেছেন কেউ শোনেন নি। বিকেল ৪ থেকে রাত ৮ পর্যন্ত নাম, ফোন নম্বর ও বয়স লিখে ফেসবুকে ইনবক্স করলেই আসবে ফোন। 

পরিচালক প্রেমেন্দুবিকাশ চাকীর মতে-'মানুষ মানসিকভাবে বড্ড একা হয়ে পড়ছে। তাই তাঁদের পাশে দাঁড়াতে চাই আমরা। বেশিরভাগ বৃদ্ধ-বৃদ্ধা একা, ছেলেমেয়েরা কর্মসূত্রে বিদেশে, আসতে পারছে না তাঁদের জন্য আমরা আছি। প্রশাসন প্রশাসনের কাজ করবে, সেটা আমরা জানি না কীভাবে করতে হয়, কিন্তু অসহায় মানুষের কথা শুনলে তাঁদের মনের বোঝা হালকা হবে, বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলেই এটা ঠিক করেছি।'

পরিচালক সুব্রত সেনের মতে-'এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যাঁদের সাহায্যের কোনও প্রয়োজন নেই কিন্তু অবলম্বন প্রয়োজন। তাঁদের জন্যই এই প্রয়াস। আমরা কথা বলব, বন্ধুত্ব করব। এবং এটা শুধু এই লকডাউনের সময় নয়, এর পরেও চালিয়ে যাওয়ার কথা ভেবেছি। যদি কারোর কেয়ার গিভারের প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে কোনও সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেব। এখন সবচেয়ে দরকার পাশে থাকার মানুষ, আমরা মানসিকভাবে পাশে থাকব, এটাই ইচ্ছে।'

.