Naseeruddin Shah on Gadar 2: ‘গদর ২-এর মতো উগ্র দেশপ্রেমের ছবি আদতে ক্ষতিকারক’, বিস্ফোরক নাসিরুদ্দীন শাহ!
Naseeruddin Shah on Gadar 2: ছবি হিট করানোর জন্য উগ্র দেশপ্রেমের গল্প বলা হচ্ছে যা আদতে সমাজের পক্ষে ক্ষতিকারক বলে উল্লেখ করেন বর্ষীয়ান অভিনেতা নাসিরুদ্দীন শাহ। তাঁর মতে এই সব ছবির কারণেই যাঁরা এই সময়ের গল্প বলতে চাইছেন তাঁরাও দর্শকের নজর এড়িয়ে যাচ্ছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বক্স অফিসে জোরকদমে চলছে সানি দেওলের(Sunny Deol) ছবি গদর ২(Gadar 2)। দীর্ঘ ২২ বছর পর মুক্তি পেয়েছে সুপারহিট ছবি ‘গদর’-এর সিক্যুয়েল। প্রথম ছবির থেকেও সিক্যুয়েলটি বেশি হিট, এক কথায় ব্লকবাস্টার। তবে এই ছবিকেই এবার ‘উগ্র দেশপ্রেম’ ও ‘পিছিয়ে পড়া সংস্কৃতি’ বলে কটাক্ষ করেন বর্ষীয়ান অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ(Naseeruddin Shah)। গত ১১ অগস্ট মুক্তি পায় এই ছবি। এযাবৎ এই ছবির টোটাল বক্স অফিস কালেকশন ৫১৫ কোটি।
আরও পড়ুন- Ranojoy Bishnu: গাইডের ভুল সিদ্ধান্তের শিকার! ট্রেকিংয়ে গিয়ে মৃত্যুর মুখে রণজয়...
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে নাসিরুদ্দীন শাহ উষ্মা প্রকাশ করে বলেন যে এখন ছবি জনপ্রিয় করার জন্য, হিট করানোর জন্য সিনেমার গল্পে উগ্র জাতীয়তাবাদের ব্যবহার করা হচ্ছে যা সত্যিই খুবই ক্ষতিকারক। অভিনেতা বলেন, ‘এটা কখনও দেশকে ভালোবাসার মাপকাঠি নয়। বরং দেশপ্রেমের ঢাক পেটানো আর সেই কারণেই কাল্পনিক শত্রু তৈরি করা। যেটা এই লোকেরা বুঝতে পারছে না যে তাঁরা যেটা করছেন সেটা খুবই ক্ষতিকারক। এমনকী কেরালা স্টোরি, গদর ২-এর মতো ছবিও ক্ষতিকারক। যদিও আমি এই সিনেমাগুলো দেখিনি তবে আমি জানি যে কি বিষয়ে এই সিনেমাগুলো।’
বর্ষীয়ান অভিনেতা তাঁর হতাশা প্রকাশ করে বলেছেন যে এই ছবিগুলোর কারণে যে যে ছবিগুলো এই সময়ের গল্প সত্যি করে বলতে চাইছে, সেই ছবিগুলো কেউ দেখতে চাইছে না। নাসিরুদ্দীন শাহ বলেন, ‘এটা খুবই বিরক্তিকর যে কাশ্মীর ফাইলসের মতো ছবি এত জনপ্রিয়তা পেয়েছে যে সুধীর মিশ্র, হনসল মেহেতা, অনুভব সিনহার বানানো ছবিগুলো যে ছবিগুলোতে এই সময়ের গল্প উঠে আসছে, সেগুলো আর দর্শকের নজরে পড়ছে না। তবে ভালো দিক হল এই ছবিগুলোর চাপেও এই সব পরিচালকেরা চুপচাপ বসে নেই।’
আরও পড়ুন- Jawan: ‘জওয়ান’-এ গোরক্ষপুর শিশুমৃত্যুর ছায়া! শাহরুখকে ধন্যবাদ ডা: কাফিল খানের...
অভিনেতা আরও বলেন, ‘একশো বছর পরেও মানুষ ভীড় ছবিটা দেখবে। গদর ২ দেখবে না। মনে রাখতে হবে যে কোনটা আসলে এই সময়ের কথা বলছে কারণ সিনেমাই একমাত্র মিডিয়াম যে একটা সময় ধরে রাখতে পারে। বিমূর্ততা অবলম্বন করা এবং জীবনকে যেমন আছে তেমন ফ্রেমবন্দি করা কঠিন। তাই যা ঘটছে সেটাকে পিছিয়ে পড়া বললেও কম বলা হয়’।