ভূত পিসিমার গল্পো
সেই কোন ছোটবেলা থেকে অভিনয় করছেন। প্রায় আশির ওপর ছবিতে অভিনয় করে ফেলেছেন। তবে ভূতের চরিত্রে অভিনয় এই প্রথম। তাও আবার হাবি জাবি পেত্নী নয়। এই ভূত চোখ বাগিয়ে নায়িকার কাঁধে চেপে ঘাড় তো মটকাতে আসেই না, বরং সারা ছবি জুড়েই তাঁকে সুবুদ্ধি দিয়ে চালনা করে।
সেই কোন ছোটবেলা থেকে অভিনয় করছেন। প্রায় আশির ওপর ছবিতে অভিনয় করে ফেলেছেন। তবে ভূতের চরিত্রে অভিনয় এই প্রথম। তাও আবার হাবি জাবি পেত্নী নয়। এই ভূত চোখ বাগিয়ে নায়িকার কাঁধে চেপে ঘাড় তো মটকাতে আসেই না, বরং সারা ছবি জুড়েই তাঁকে সুবুদ্ধি দিয়ে চালনা করে। ঠিক সময়ে আবার দুর্জনের হাত থেকে ঠিক বাঁচিয়েও দেয়। এহেন `ভাল ভূতে`র চরিত্রে অভিনয় করতে পেরে বেজায় খুশি মৌসুমি চ্যাটার্জি।
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের গল্পো অবলম্বনে অপর্না সেনের ছবি `গয়নার বাক্স`র জন্য জীবনে প্রথম টানা ২ রাত জেগে শুটিং করেছেন ভূত পিসিমা(মৌসুমি)। শুটিংয়ের ফাঁকে বললেন, "আমি সবসময়ই ছবির সেটে প্রচুর বায়না করি। রিনাদি(অপর্না সেন) তাও জাপানিজ ওয়াইফের পরও সাহস করে আমাকে ওর ছবিতে নিয়েছেন। আমি বালিকা বধূ হয়েছি, ওগো বধূ সুন্দরী করেছি, আর এবার আমি ভূত বধূ সুন্দরী"।
তবে সবকিছুর থেকে বেশি মৌসুমিকে টেনে রেখেছে `বাপের বাড়ি` কলকাতায় শুটিং। ভূতের গল্পোর মাঝেই কঙ্কনার ভূয়সী প্রশংসাও শোনা গেল মৌসুমির মুখে। কঙ্কনা একজন স্বতস্ফূর্ত অভিনেত্রী। ওর চরিত্র সোমলতাই একমাত্র ভূত পিসিমাকে দেখতে পায়। পরে ওর মেয়েও (শ্রাবন্তী) আমাকে স্বপ্নে দেখবে। তবে দেখতে না পেলেও মৌসুমির প্রশংসা করতে ভোলেননি ছবিতে কঙ্কনার স্বামী শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ও। বললেন, "মৌসুমিদি সত্যিই দারুণ একজন অভিনেত্রী। ওনার সঙ্গে কাজ করার মজাই আলাদা"।