জীবন তাঁর কাছে ছিল উদযাপন

জমিদার বাড়ির ছেলে। চেহারাতেও জমিদারি চাকচিক্য। ফারুকের ছেলেবেলা কেটেছে আভিজাত্য আর রাজকীয়তায়। সিনেমা জগতে পা রাখার আগে বাবার মতোই আইন নিয়ে কাজের জীবন শুরু করেন ফারুক। কিন্তু অল্প দিনেই তিনি বুঝতে পারেন কাঠগড়ায় বাদি-বিবাদীদের হয়ে সওয়াল করা তাঁর কম্ম নয়। বন্ধু রমেশ তলোয়ারের সূত্রে পরিচয় এম এস সথেয়ুর সঙ্গে। সুযোগ পান `গরম হাওয়া` ছবিতে অভিনয়ের। সথেয়ুই তাঁকে বলিউডে ফার্স্ট ব্রেক দেন। অনেকের জানা নেই, ৬৫ বছরের অভিনেতা তাঁর অভিনয় জীবনের প্রথম ছবিতে কাজ করেছিলেন বিনা পারিশ্রমিকে।

Updated By: Dec 28, 2013, 05:08 PM IST

জমিদার বাড়ির ছেলে। চেহারাতেও জমিদারি চাকচিক্য। ফারুকের ছেলেবেলা কেটেছে আভিজাত্য আর রাজকীয়তায়। সিনেমা জগতে পা রাখার আগে বাবার মতোই আইন নিয়ে কাজের জীবন শুরু করেন ফারুক। কিন্তু অল্প দিনেই তিনি বুঝতে পারেন কাঠগড়ায় বাদি-বিবাদীদের হয়ে সওয়াল করা তাঁর কম্ম নয়। বন্ধু রমেশ তলোয়ারের সূত্রে পরিচয় এম এস সথেয়ুর সঙ্গে। সুযোগ পান `গরম হাওয়া` ছবিতে অভিনয়ের। সথেয়ুই তাঁকে বলিউডে ফার্স্ট ব্রেক দেন। অনেকের জানা নেই, ৬৫ বছরের অভিনেতা তাঁর অভিনয় জীবনের প্রথম ছবিতে কাজ করেছিলেন বিনা পারিশ্রমিকে।

`গরম হাওয়া` পরিচিতি দিল তাঁকে। ফ্লিম ইন্ডাস্ট্রি চিনল ফারুক শেখকে। সদা হাস্য অভিনেতা এর পর একের পর এক ছবিতে অভিনয় করেছেন। মন কেড়েছেন দর্শকের। সুযোগ মিলেছিল পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের ছবিতে কাজ করারও। `শতরঞ্জ কা খিলারি`। সত্যজিৎ বাবুর সঙ্গে কাজ করেছিলোন ফারুক। এছাড়াও `নুরী`, `চশমে বদ্দুর`, কিসিসে না কহেনা` ও `ওমরাহ্‌ জানের` মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন ফারুক শেখ।

মুম্বইয়ের মায়ানগরীর নায়িকা দীপ্তি নাভালের সঙ্গে জীবনের স্বপ্ন দেখেন ফারুখ। সব সময় জীবনের স্বপ্ন দেখা মানুষটির ছবি গুলিও ছিল স্বপ্নের মতো। `সাস বহু অওর সেনসেক্স` ও `লাহোর` ছবিতেও অভিনয় করেন তিনি। ২০১০ সালে পান জাতীয় পুরস্কার। শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি।

বড় পর্দার পাশাপাশি ছোট পর্দার বেশ কিছু অনুষ্ঠনে সঞ্চালকের ভূমিকায় দেখা যায় শেখ সাহাবকে। অভিনয়ের চমক দেখিয়েছেন বেশকিছু ধারাবাহিকেও। `চমৎকার`, `জি মন্ত্রীজী` `শ্রীকান্ত` ছিল তাঁর ছোট পর্দার অনুষ্ঠান। সব সময় জীবনকে উৎসবের মেজাজে কাটিয়েছেন ফারুক। কুর্তা আর পাজামা। নিজস্ব মেজাজ ফারুকের। টেলিভিশনের অনুষ্ঠান `জিনা ইসি কা নাম হ্যায়` এখনও দর্শকের মনে আছে।

পরিচিত মহলে ফারুক বলেতেন, আমার ইচ্ছা, মানুষ আমাকে মৃত্যুর পর সবচেয়ে বেশি মনে রাখবে। রঙ্গমঞ্চ আর সিনেমা জগতের এই রঙিন জাদুকরককে সত্যিই অনেকদিন মানুষ মনে রাখবে। ফারুক শেখের প্রয়াণে ২৪ ঘণ্টার শ্রদ্ধার্ঘ।

.