NABC Controversy: আমেরিকার বঙ্গ সম্মেলনে চূড়ান্ত অপমানের প্রতিবাদে চিঠি শিল্পীদের, লাইভের পরেই হ্যাক জয়তী চক্রবর্তীর প্রোফাইল...
NABC Controversy: আমেরিকায় বঙ্গ সম্মেলনে চরম হেনস্থার মুখে পড়ে লাইভে এসে ক্ষোভ উগরে দেন সংগীতশিল্পী জয়তী চক্রবর্তী। লাইভের পরেই আচমকাই তাঁর ফেসবুক প্রোফাইল হ্যাক হয়ে যায়। আচমকাই দেখা যায় জয়তীর প্রোফাইলে এক পুরুষের ছবি। উধাও লাইভের সেই ভিডিয়োও।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রতিবারই আমেরিকার কোনও এক শহরে বসে নর্থ আমেরিকা বেঙ্গল কনফারেন্সের(NABC) আসর। এবছর সেই কনফারেন্সে হাজির হয়েছিলেন পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী(Pt Ajay Chakraborty), পণ্ডিত অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, রাঘব চট্টোপাধ্যায়(Raghav Chatterjee), জয়তী চক্রবর্তী (Jayati Chakraborty) সহ আরও অনেকে। সেই কনফারেন্সেই দুর্ব্যবহার ও অব্যবস্থার মুখে পড়েন তাঁরা। অভিযোগের তীর এই সংস্থার এক আয়োজক অভীক দাশগুপ্তের দিকে।
পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী ও জয়তী চক্রবর্তী জানান যে শিল্পীদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা ছিল না, হোটেলের সঠিক বুকিং ছিল না, অনুষ্ঠানের সময়সীমা কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ঠিক সময়ে পেমেন্ট পাননি তারা, পাশাপাশি চূড়ান্ত অপমান করা হয় তাঁদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর একটি মেইল যেখানে তিনি তুলে ধরেছেন কোন খারাপ পরিস্থিতির মুখে পড়েছিলেন তাঁরা। পাশাপাশি লাইভে এসে ক্ষোভ উগরে দেন সংগীতশিল্পী জয়তী চক্রবর্তী। লাইভের পরেই আচমকাই তাঁর ফেসবুক প্রোফাইল হ্যাক হয়ে যায়। আচমকাই দেখা যায় জয়তীর প্রোফাইলে এক পুরুষের ছবি। উধাও লাইভের সেই ভিডিয়োও। এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে শুরু হয় প্রতিবাদ। অবশেষে পেজটি ফেরত পান সংগীতশিল্পী। তবে ফিরে আসেনি সেই ভিডিয়ো।
পাশাপাশি জয়তী চক্রবর্তী ও পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে তার প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন কলকাতার শিল্পীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি পোস্ট। সেই পোস্টে লেখা, ‘উত্তর আমেরিকা বঙ্গ সম্মেলন’২৩, আটলান্টিক সিটিতে ঘটে যাওয়া কিছু অনভিপ্রেত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রতিবাদপত্র।পশ্চিমবঙ্গের শিল্পী,বিদ্বজ্জনের লাগাতার হেনস্থা এখন বঙ্গ সম্মেলনের অন্যতম আকর্ষণীয় এক অনুষ্ঠান।পূর্বের সম্মেলনগুলিতেও এমন উদাহরণ অসংখ্য।তবে এবারের সম্মেলন বোধহয় আগের সবকিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে। অব্যবস্থা,অসৌজন্য, অমার্জিত ব্যবহার , অসহযোগিতা শিল্পীদের আত্মসম্মানবোধে আঘাত করে চলেছে ক্রমাগত, ভদ্রতাবোধকে দুর্বলতা ভেবে একের পর এক অপমানসূচক ঘটনা সম্মেলন কর্তারা ঘটিয়েই চলেছেন।অতিথি শব্দটার সঙ্গে যে বিশ্বজনীন আতিথ্যের সংযোগ, তা তারা ভুলতে বসেছেন।এই পরিস্থিতিতে, বাংলার সব শিল্পী আজ সিএবি’র যে কোনও অনুষ্ঠান নিয়ে চূড়ান্ত আতঙ্কিত,অপমানিত।তাই একজোট হয়ে আজ তীব্র প্রতিবাদ জানাই সিএবি’র স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন- Mithun Chakraborty: মাতৃহারা মিঠুন! শুক্রবার প্রয়াত শান্তিরানি চক্রবর্তী...
সেই প্রতিবাদ বার্তায় লেখা, ‘অপমানের আকস্মিকতায় আমরা মূক ও স্তম্ভিত।ভবিষ্যতের কর্মপন্থা কী হবে, তা অচিরেই প্রকাশ করব আমরা।ধিক্কার জানাই সংগঠকদের যারা এই রুচিহীন সম্মেলনের আয়োজন করেছেন।বঙ্গ সম্মেলনের জনপ্রিয়তা বিশিষ্ট, স্বনামধন্য শিল্পীদের জন্য, অপদার্থ সংগঠকদের জন্য নয়,এ কথা যেন তারা বিস্মৃত না হন।সংস্কৃতি মঞ্চ আমাদের কাছে পবিত্র এক জানলা, তাকে নোংরা করার অধিকার আপনাদের কেউ দেয়নি।আমাদের শিল্পীজীবন আমাদের নিজস্ব, সেই আত্মসম্মানের জায়গায় কেউ হাত দিলে, সাবধান, গর্জে উঠবে বাংলার সব শিল্পীদল’। এই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন পন্ডিত অজয় চক্রবর্তী, পন্ডিত তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার, পন্ডিত বিক্রম ঘোষ, পন্ডিত অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, পন্ডিত স্বপন চৌধুরী,অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, লোপামুদ্রা মিত্র, অঞ্জন দত্ত , ইমন চক্রবর্তী, রূপম ইসলাম, রূপসা দাসগুপ্ত, দেবজ্যোতি মিশ্র, শ্রীজাত, সুবোধ সরকার, বিনায়ক বন্দোপাধ্যায় ,কুমার মুখোপাধ্যায়, ইন্দ্রদীপ দাসগুপ্ত ,শুভমিতা ব্যানার্জী ,অনুপম রায়, রানা সিংহ রায়, শ্রীকান্ত আচার্য্য,জয়তী চক্রবর্তী ,উপল সেনগুপ্ত, বিদীপ্তা চক্রবর্তী, সোহিনী সরকার, উর্মিমালা বসু সহ আরও অনেকে।