Jacqueline Fernandez: ‘সুকেশ আমার জীবনটা নরক করে দিয়েছিল’, বিস্ফোরক জ্যাকুলিন
Jacqueline Fernandez: জ্যাকুলিন বলেন, ‘সুকেশ ও পিঙ্কি ইরানি একসঙ্গে আমাকে ঠকিয়েছে। শেখর আমাকে দিনের পর দিন ঠকিয়েছে। পরে জানতে পারি যে, শেখরের আসল নাম সুকেশ। তখনই জানতে পারি ওর ক্রিমিনাল ব্যাকগ্রাউন্ডের কথা। পিঙ্কি এই সব কিছুই জানত। কিন্তু কখনই আমাকে বলেনি।'
![Jacqueline Fernandez: ‘সুকেশ আমার জীবনটা নরক করে দিয়েছিল’, বিস্ফোরক জ্যাকুলিন Jacqueline Fernandez: ‘সুকেশ আমার জীবনটা নরক করে দিয়েছিল’, বিস্ফোরক জ্যাকুলিন](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2023/01/18/404472-jacqueline.png)
Jacqueline Fernandez, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ‘সুকেশ চন্দ্রশেখর আমার জীবনটা নরক বানিয়ে দিয়েছিল। আমার ইমোশন নিয়ে খেলছিল’, ২০০ কোটি আর্থিক তছরুপের মামলায় এবার বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন জ্যাকুলিন ফার্ণান্ডেজ। দিল্লি পাতিয়ালা হাউজ কোর্টে বুধবার মুখ খুললেন অভিনেত্রী। তিনি আরও বলেন, ‘সুকেশ আমাকে ভুল পথে চালিত করেছে, আমার কেরিয়ার শেষ করে দিয়েছি, আমার জীবন বিপর্যস্ত করে দিয়েছে।’
আরও পড়ুন- Gossip: ‘ডিটেক্টিভ’ পরিচালকের আবিষ্কার, এখন বল্টুর প্রেমে
জ্যাকুলিনের দাবি যে, অভিনেত্রীর কাছে চন্দ্রশেখর নিজেকে সরকারি অফিসিয়াল হিসাবে পরিচয় দেন। অভিনেত্রীর মনে হয় যে, কেউ তাঁর গতিবিধির উপরে নজর রাখছে। তিনি জানান যে, তাঁদের দুজনের মধ্যে কথা শুরু হয়েছিল পিঙ্কি ইরানি নামক এক মহিলার মাধ্যমে। সেই মহিলা জ্যাকুলিনের মেকআপ আর্টিস্ট শান মুথাথিলের মাধ্যমে অভিনেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং জ্যাকুলিনকে জানানো হয় যে, সুকেশ চন্দ্রশেখর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একজন গুরুত্বপূর্ণ অফিসিয়াল।
জ্যাকুলিন বলেন, ‘সুকেশ নিজের পরিচয়ে বলেন যে, সে সান টিভির মালিক ও জয়ললিতা ওঁর আন্টি। চন্দ্রশেখর বলেছিল যে, ও আমার বড় ফ্যান। আমার দক্ষিণ ভারতেও সিনেমা করা উচিত। সান টিভির মালিক হিসাবে ও বলে যে, ওদের অনেক কাজ শিডিউল করা আছে। সেখানে একসঙ্গে কাজ করা যাবে।’ জ্যাকুলিন বলেন যে, দিনে তিনবার তাঁরা ফোনে ও ভিডিয়ো কলে কথা বলতেন। অভিনেত্রীর দাবি, সুকেশ কখনই তাঁকে বলেননি যে, সে জেলে রয়েছে। একটা কর্ণার থেকেই ভিডিয়ো কল করত। সেখানে একটা সোফা রাখা ছিল আর পিছনে ছিল পর্দা। এমনকী সুকেশের কথা অনুযায়ী দিল্লির এক লেখকের থেকে চিত্রনাট্য শুনে কাজ করতেও এগিয়েছিলেন জ্যাকুলিন। ২০২১ সালের ৮ অগস্টের পর আর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেনি সুকেশ। তারপরেই অভিনেত্রী জানতে পারেন যে, নিজেকে সরকারী অফিসার হিসাবে পরিচয় দেওয়ার কারণেই গ্রেফতার হয় সুকেশ।
আরও পড়ুন- Srabanti: ফের বিয়েতে বিপত্তি! ছোট্ট ভুলেই কটাক্ষের মুখে শ্রাবন্তী...
জ্যাকুলিন বলেন, ‘সুকেশ ও পিঙ্কি ইরানি একসঙ্গে আমাকে ঠকিয়েছে। শেখর আমাকে দিনের পর দিন ঠকিয়েছে। পরে জানতে পারি যে, শেখরের আসল নাম সুকেশ। তখনই জানতে পারি ওর ক্রিমিনাল ব্যাকগ্রাউন্ডের কথা। পিঙ্কি এই সব কিছুই জানত। কিন্তু কখনই আমাকে বলেনি। যখনই আমি কেরালা যেতাম, তখনই প্রাইভেট জেটে যেতাম। ওই হেলিকপ্টার দিত আমায়। প্রাইভেট জেটে আমি দুবার চেন্নাই যাই, সুকেশের সঙ্গে দেখা হয়।’