Angelina Jolie on Israel-Palestine Conflict: বিধ্বস্ত প্যালেস্টাইনের পাশে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি! আর্তি ‘যুদ্ধ বন্ধ হোক’...
Angelina Jolie on Israel-Palestine Conflict: রবিবার পর্যন্ত প্যালেস্টাইনে মারা গিয়েছেন ৮০০৫ জন, আহত ২০ হাজারেরও বেশি। এখনও ধ্বংসস্তূপের নীচে পড়ে রয়েছে প্রায় হাজার দেহ! মাত্র ৩ সপ্তাহে গাজায় শিশুমৃত্যু প্রায় ৪০০০, ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা আরও ১০০০। এবার যুদ্ধ বিরতির আর্তি জানালেন অস্কারজয়ী অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। বিধ্বস্ত প্যালেস্টাইনের পাশে দাঁড়ালেন অভিনেত্রী।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ইজরায়েল আর হামাসের মধ্যে চলছে যুদ্ধ(Israel-Palestine Conflict)। ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছিল হামাস। পাল্টা জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় টানা হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। এই আক্রমণের ফলে রবিবার পর্যন্ত প্যালেস্টাইনে মারা গিয়েছেন ৮০০৫ জন, আহত ২০ হাজারেরও বেশি। এখনও ধ্বংসস্তূপের নীচে পড়ে রয়েছে প্রায় হাজার দেহ! গাজার ওয়েস্ট ব্যাংকেও হামলা চালিয়েছিল ইজরায়েল। সেখানেও নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে শতাধিক! ওদিকে, হামাসের হামলায় ইজরায়েলে এখনও পর্যন্ত নিহত প্রায় ১৫০০ জন। এঁদের মধ্যে ৩৩১ জন সেনা। এবার প্যালেস্টাইনিদের পাশে দাঁড়ালেন হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি(Angelina Jolie)। তিনি গাজা উপত্যকায় ইজরায়েলের হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। একই সাথে গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য সাহায্যের আহ্বান জানিয়েছেন জোলি।
আরও পড়ুন- Deepika Padukone: একাধিক পুরুষ সঙ্গের জেরে ট্রোলড দীপিকা, পাশে দাঁড়ালেন কংগ্রেস নেত্রী...
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের সময়েও সরব হয়েছিলেন জোলি। অভিনয়ের পাশাপাশি সারা বিশ্বে সমাজসেবা করতে দেখা যায় অস্কার জয়ী এই অভিনেত্রীকে। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে অভিনেত্রী বলেন ইজরায়েলে যা ঘটেছে তা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। কিন্তু এ কারণে গাজার বেসামরিক জনসংখ্যার ওপর বোমাবর্ষণ ন্যায্যতা পায় না। গাজায় খাবার জল অবধি নেই। যুদ্ধ বাড়লেও তাদের সরিয়ে নেওয়ার কোনও সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। সেখানে মৌলিক মানবাধিকারও নেই। আশ্রয় নেওয়ার জন্য সীমান্ত পার হতে হবে, সেটাও সম্ভব হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, ‘শিশুদের হত্যা করা হয়েছে এবং অনেক শিশু হারিয়ে গেছে, আটকও হয়েছে। অবিলম্বে তাদের মুক্তি দেওয়া প্রয়োজন। প্রিয়জন হারানোর অকল্পনীয় যন্ত্রণা বয়ে চলা পরিবারগুলোর জন্য প্রার্থনা করছি। তাদের সাহায্য করার চেষ্টা করছি। ইজরায়েলে যা ঘটেছে তা সন্ত্রাসীর কাজ। কিন্তু এর বিপরীতে গাজায় বোমাবর্ষণে বেসামরিক নিরীহ প্রাণ নেওয়ার কোনও যৌক্তিকতা নেই। তাদের (গাজাবাসী) কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই, খাবার বা পানীয় নেই, সরিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা নেই। এমনকি, আশ্রয় নেওয়ার জন্য সীমান্ত অতিক্রম করার মৌলিক মানবাধিকারও নেই।’
তিনি বলেন, ‘গাজায় কয়েকটি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় ভগ্নাংশ মাত্র। খাদ্য, জ্বালানি পানীয় বন্ধ করে দিয়ে তাদের জাতিগতভাবে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি দাবি করছি। প্যালেস্টাইনি এবং ইজরায়েলিদের জীবন ও বিশ্বব্যাপী সকল মানুষের জীবন সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ’।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)