Hero Alom: নির্বাচনের প্রচারে বেধড়ক মার খেলেন হিরো আলম, অভিযুক্ত শেখ হাসিনার দল...
Hero Alom: হিরো আলমের দাবি, দফায় দফায় তাঁর উপর হামলা হয়েছে। প্রথমে কিছু মহিলার দল ও পরে আরও কিছু ব্যক্তির হাতে মার খেলেন অভিনেতা। সেখান থেকে পালিয়ে এক জায়গায় আশ্রয় নিয়েই নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। তাঁর দাবি, আওয়ামী লীগের কর্মীরাই তাঁকে হামলা করেছেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ফের একবার নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশের অভিনেতা হিরো আলম(Hero Alom)। ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসাবে নিজের মনোময়ন জমা দিয়েছেন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। আপাতত নির্বাচনের প্রচারে ব্যস্ত তিনি। রাজধানীর মহাখালীর সাততলা বস্তিতে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন হিরো আলম।
আরও পড়ুন- Jeetu-Nabanita Divorce: ‘নবনীতাকে বিয়ের আগে মনে হয়েছিল, ভুল করছি না তো?’ ভাইরাল জীতুর ভিডিয়ো...
হিরো আলমের দাবি, দফায় দফায় তাঁর উপর হামলা হয়েছে। বুধবার ৫ জুলাই, দুপুর ১২টায় মহাখালীর রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইসিডিডিআরবি) গেট সংলগ্ন সড়ক দিয়ে সাততলা বস্তিতে নির্বাচনী প্রচারে যাচ্ছিলেন হিরো আলম। সেখানেই প্রবেশের সময় ২০-২৫ জন নারী সদস্যের একটি দল তাঁর পথ আটকায়। বাধা এড়িয়ে বস্তিতে প্রবেশের চেষ্টা করলে তার উপর ফের হামলা করা হয়। এই সময় বস্তির বাসিন্দা পরিচয়ে কয়েকজন কিশোর এবং একাধিক ব্যক্তি হিরো আলমের উপর হামলা চালায়। তাদের হামলার হাত থেকে বাঁচতে একপর্যায়ে আইসিডিডিআর বি কমপ্লেক্সে আশ্রয় নেন তিনি আর সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই হামলার কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন-Rahul Arunoday Banerjee: 'ডেবিউয়ের ৬ মাসের মাথায় রাজ আমার ক্ষতি করেছে', বিস্ফোরক অভিযোগ রাহুলের
হিরো আলমের দাবি, হামলাকারীরা স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। অভিনেতা বলেন, “সাততলা বস্তি এলাকায় জনসংযোগের সময় আমার ওপর নারী বাহিনী দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। তারা সবাই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। এই হামলা প্রমাণ করেছে নির্বাচন কোনোভাবেই সুষ্ঠু হবে না।” অন্যদিকে সাততলা বস্তির কয়েকজন মহিলা বাসিন্দার দাবি, হিরো আলম তাদের উপর আগে হামলা করে, সেই হামলা রুখতেই তাঁরা হিরো আলমকে হামলা করেছে। হিরো আলমকে দেখে ‘টিকটকার’ বলে চিৎকার করতে থাকেন। পাশাপাশি তাঁরা বলেন, হিরো আলম এমপি ইলেকশনের কী বোঝেন? তাঁর কী যোগ্যতা আছে এমপি ইলেকশন করার?
আরও পড়ুন- Dev-Srijit: 'দশম অবতার' ফেরালেন রুক্মিনী! নেপথ্যে দেব-সৃজিত 'ব্যোমকেশ' দ্বৈরথ?
কিছুদিন আগেই নির্বাচনে দাঁড়িয়ে হেরেছিলেন হিরো আলম। সেই ফলাফলের পর অভিনেতা বলেন, ‘বগুড়া-৪ আসনে ভোট সুষ্ঠু হয়েছে। তবে ফলাফলে এসে গন্ডগোল করেছে। নির্বাচন কমিশন আমার বিজয় ছিনতাই করে মশালের প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করেছে।শিক্ষিত সমাজের কিছু লোক আছেন, যাঁরা আমাকে মেনে নিতে চান না। তাঁরা মনে করেন, আমি পাস করলে বাংলাদেশের সম্মান যাবে, তাঁদের সম্মান যাবে। আমরা এত শিক্ষিত, হিরো আলমের মতো মূর্খকে স্যর বলে ডাকতে হবে। এ জন্য তাঁরা আমাকে মানতে চান না।’