গায়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল ৬০টি ইঁদুর, আঁচড়ে-কামড়ে একাকার: রুক্মিণী
রণিতা গোস্বামী
রণিতা গোস্বামী
বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে মাত্র ২ বছর কাজ করছেন। আর আগামী ২ অক্টোবর রুক্মিণী মৈত্র-র ৫ নম্বর ছবিটা মুক্তি পেতে চলেছে। তবে আপাতত রুক্মিণী রয়েছেন সাইবার দুনিয়ার কড়া নজরদারিতে। তবে এই নজরদারি থেকে বাঁচতে কতটা শক্তপোক্ত 'পাসওয়ার্ড' ব্যাবহার করছেন রুক্মিণী মৈত্র? এসবই নানান কথা নিয়ে Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালের সঙ্গে আড্ডা দিলেন নিশা। থুরি, রুক্মিণী মৈত্র। তবে 'পাসওয়ার্ড'এ রুক্মিণী ধরা দেবেন নিশার ভূমিকাতেই।
You Are Being Watched। এটাই তো 'পাসওয়ার্ড'-এর ট্যাগ লাইন? তুমি এটার কীভাবে ব্য়াখ্যা করবে?
রুক্মিণী- দেখো, যে সময়টাতে আমরা দাঁড়িয়ে রয়েছি, সেখানে প্রযুক্তি এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে তাতে আমরা সবসময়ই নজরদারিতে রয়েছি। রাস্তায় বের হলে সিসিটিভি ক্যামেরা, বাড়িতেও অনেকে আজকাল সিসিটিভি ক্যামেরা বসাচ্ছেন। আমরা যখন মোবাইলে কোনও কিছু সেভ করি, সেটা মোবাইল কোম্পানির কাছে চলে যায়। ইমেলে কিছু রাখলে, কোনও তথ্যের আদান-প্রদান হলে, সেটাও ইমেল ডোমেনে চলে যাচ্ছে। অনলাইনে কিছু কেনাকাটা করলে সেই সমস্ত তথ্যও ওই নির্দিষ্ট সাইটের কাছে থাকে। আমি কী কিনছি, কত টাকার কিনছি, কোন ডেবিট কার্ড ব্যবহার করছি, সবকিছু। শুধু কি তাই, আমি গুগলে কিংবা অন্য কোনও সার্চ ইঞ্জিনে কিছু সার্চ করলে তার সব ডেটাও পেয়ে যায়। যে কেউ দেখলে জানতে পারবেন, আমি গুগল থেকে কী পড়ি, কোন ভিডিয়ো দেখি। যদি দর্শকের ভূমিকা থেকে আমরা দেখি, তাহলেই বুঝতে পারব প্রতি মুহূর্তে সাইবার দুনিয়া আমাদের উপর নজরদারি চালাচ্ছে। সেটাই আমারা 'পাসওয়ার্ড' এর মাধ্যমে বলতে চেয়েছি যে, 'YOU ARE BEING WATCHED'।
আচ্ছা, এই যে আমি তোমার সঙ্গে কথা বলছি, সেটাও কি তুমি বলবে আমরা নজরদারিতে রয়েছি?
রুক্মিণী- হ্যাঁ, নিশ্চয়। এই যে আমি তোমাকে একটু আগে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করেছিলাম, তুমি কী বললে? রুক্মিণী, আমি ইন্টারভিউটা রেকর্ড করব, তাতে সুবিধা হবে। রেকর্ডিংটা তুমি কী ভাবছো তোমার একার জন্য? তুমি দিনে যতগুলো কল করো, সেটা যে কোম্পানি ফোন তৈরি করেছে তাঁদের কাছে থেকে যাচ্ছে। তুমি যে নেটওয়ার্ক কোম্পানির সিম ব্যবহার করছো, তাঁদের কাছেও রেকর্ড থাকছে। তোমার-আমার কোনও কথাই ব্যক্তিগত থাকছে না। কারোর না কারোর কাছে রেকর্ড থাকছে। তোমার অজান্তেই তুমি নজরদারিতে রয়েছ।
এর সমাধান কী?
রুক্মিণী- দেখো, আমি মাধ্যমিক বোর্ডে পড়াশোনা করেছি। আমাদের সিলেবাসে ছিল বিজ্ঞান আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ? আজ, বুঝতে পারছি কথাটা কতবড় সত্যি। 'পাসওয়ার্ড' ছবিটা করতে গিয়ে এটা আরও বেশি করে উপলব্ধি করেছি। কিন্তু এটা থেকে বাঁচা সত্যিই মুশকিল। বলে না, সবকিছুরই একটা ভালো দিক এবং খারাপ দিক আছে। প্রযুক্তির ভালো দিক হল, এটা আমাদের সকলের হাতে হাত ধরিয়ে দিয়েছে। আবার খারাপ দিকটা হল, তুমি আমার সঙ্গে ফোনে কী কথা বলছো সেটা ১০ জন জেনে যাচ্ছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করলে এই মূল্যটা তো আমাদের চোকাতেই হচ্ছে।
তবে সমাধানের কথা যদি বলো, তাহলে বলব আমাদের আরও সচেতন হতে হবে। চোখের সামনে কেউ কিছু চুরি করলে চোরকে আমরা দেখতে পাই, কিন্তু ভার্চুয়াল দুনিয়ায় হ্যাকাররাও তো চোর। এদেরকে হয়ত চোখে দেখতে পাই না। আমার মনে হয় মোবাইল থেকে ইমেল সবকিছুর পাসওয়ার্ডই মাঝে মধ্যে বদলানো উচিত। এমন কোনও পাসওয়ার্ড দেওয়া উচিত যেটা চট করে ধরা যায় না। তাছাড়া ফোনে কোনও ব্যক্তিগত ছবি বা তথ্য কখনওই রাখা উচিত নয়। নিরাপদ নয়, এমন কোনও ওয়াইফাই ব্যবহারও করা উচিত নয়। এগুলো অনুসরণ করলে কিছুটা হয়ত বাঁচা যায়।
'পাসওয়ার্ড' এর মতো একটা ইউনিক আইডিয়া কার মস্তিস্ক প্রসূত?
রুক্মিণী- পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের। উনি এই বিষয়টা নিয়ে গত দেড় বছর ধরে গবেষণা করেছেন। সেই 'ককপিট'-এর পর থেকে। এই ছবিটার জন্য প্রায় ২৫-৩০ বার চিত্রনাট্যে বদল হয়েছে। আর দেখো, প্রতি মুহূর্তে প্রযুক্তি বদলাচ্ছে। এই ছবিটা নিয়ে উনি ভাবতে শুরু করেছিলেন ২০১৭তে, আর এটা ২০১৯। এই দু'বছরে প্রযুক্তির অনেক বদল হয়েছে। আবার, সিনেমাটা করতে ৮ মাস সময় লেগেছে, এর মধ্যেও প্রযুক্তি বদলেছে। এভাবেই অনেক পরিশ্রম করে সিনেমাটা তৈরি করেছেন উনি।
তুমি তো কমলেশ্বর মুখোপাধ্য়ায়ের সঙ্গেও কাজ করেছ আবার অন্যান্য পরিচালকের সঙ্গেও কাজ করেছ। কার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন?
রুক্মিণী- দেখো, আমি সবার থেকেই কিছু না কিছু শিখেছি। রাজদার কাছ থেকেও শিখেছি, উনি গাইড করেন। আবার রাজা চন্দের সঙ্গেও শেষবার কিডন্যাপ করলাম, ওখানেও শিখেছি। আবার অনিকেত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যখন 'কবীর' করলাম, তখন গলার স্বর নিয়ে নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা শিখেছি। তবে কমলদার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাটা এক্কেবারেই আলাদা। কারণ, কমলদা অভিনেতাদের নিজের মতো করে কাজ করার সুযোগ দেন।
তবে এই পরিচালকদের যদি একটা নির্দিষ্ট সারিতে পরপর সাজাতে বলি, তাহলে কাকে আগে পড়ে বসাবে?
রুক্মিণী- বাপরে, (হাসি) এটা খুব কঠিন প্রশ্ন। বিশ্বাস করো, আমি খুব কৃতজ্ঞ যে এই পরিচালকরা আমাকে বেছেছেন তাঁদের ছবির জন্য। আমার এদের পছন্দ করা, না করার কোনও যোগ্যতাই নেই। (হাসি) হ্যাঁ, একদম সত্যি বলছি। যদি আজ থেকে ৫-১০ বছর বাদে কিছু করতে পারি, তাহলে পছন্দ-অপচ্ছন্দ নিয়ে ভাববো। এখন সে যোগ্যতা আমার নেই। তবে কমলদার সঙ্গে ওয়েব লেন্থ মিলে যায়। আসলে উনি নতুন প্রজন্মকে বুঝতে চান। শুধু আমার সঙ্গে নয়, নিজের মেয়ের সঙ্গেও উনি বন্ধুর মতো ব্যবহার করেন। উনি পরিচালক হিসাবে সাহস দেখিয়েছেন বরাবর, অন্য কিছু করে দেখানোর।
রুক্মিণী মৈত্র চাইলেই তথাকথিত বানিজ্যিক ছবি করতে পারত। তবে বরাবরই তুমি অন্য ধরনের ছবি ও চরিত্র বেছে নিয়েছ। এটা কীভাবে করেছ?
রুক্মিণী- আমি এতকিছু ভেবে কিছুই করিনি। তবে আমার বরাবরই অন্যধরনের কিছু করতে ভালো লাগে। সেটা সাজগোজের ক্ষেত্রেই বলো আর সিনেমা। এক্ষেত্রে আমি বারবারই আমার পরিচালকদের ধন্যবাদ জানাবো। 'চ্যাম্প' করার প্রস্তাব আমায় দেব দিয়েছিল। তারপর প্রত্যেকটা ছবি আমাকে আমার পরিচালকরা দিয়েছে। আমি হ্যাঁ বলেছি, কারণ চরিত্রগুলো আমার পছন্দ ছিল। তবে আমি বানিজ্যিক ছবিও করেছি। যে চরিত্রটা একটা ছাপ রেখে যাবে, এমন কিছু করতে বরাবর ভালোবাসি। আমার কেরিয়ারের ৯ মাসের মাথায় খলনায়িকার চরিত্রে অভিনয় করলাম। তবে এক্ষেত্রে একটা ফরমুলা কাজ করে।
কী রকম?
আমি সবসময়ই নিজেকে প্রশ্ন করি, আমি কি এধরনের একটা চরিত্রে নিজেকে দেখতে চাই? আমি কি বিশ্বাস করতে চাই, হ্যাঁ এধরনের একটা মেয়ে আছে? আমার কি মনে হয় এইরকম একটা মেয়ের গল্পও উঠে আসা দরকার? যদি এই প্রশ্নগুলোর উত্তর হ্যাঁ হয়। তাহলে আমি সেটা করি। আবার ওই নির্দিষ্ট চরিত্রটা ছাড়াও যদি ছবিটা চলবে বলে মনে হয়, সেখানে আমি না করে দি।
পাসওয়ার্ডে অভিনয় করার জন্য শুনেছি তুমি গাড়ি চালানো শিখেছ? তো এইরকম ছবির প্রয়োজনে আর কী কী করতে হয়েছে?
রুক্মিণী- হ্যাঁ, আমি বাইক চালানো শিখেছি। যদিও সেটা খুব ভালো ভাবে নয়,তিন মাসে যতটা হয় আর কি। (হাসি) আমি তো সাইকেল চালাতেও জানতাম না (হাসতে হাসতেই)। আরও অনেক কিছুই করতে হয়েছে। যেমন 'কবীর'-এর জন্য আমায় কিছুটা ওজন বাড়াতে হয়েছিল। আর এখানে রোগা হতে হয়েছে। যদিও সাধারণত আমার ওজন বাড়তে চায় না (হাসি)
একটু থামাচ্ছি, ওজন বাড়ে না?
রুক্মিণী- হ্যাঁ, (হাসি)। তবে আমার মনে হয় নজর লেগে লেগে এবার ওজনটা বেড়েই যাবে।
পাসওয়ার্ডের জন্য আমাকে অনেকটা ওজন কমাতে বলেছিলেন পরিচালক। যেহেতু, এটা হলিউড স্টাইলের একটা ছবি। শুধু ভাষাটাই যা বাংলা। বলা হয়েছিল যেন চোয়াল দেখা যায়। একটা মেয়ে যে বন্দুক চালায় তার জন্য যেন হাতের শিরা যেন দেখা যায়। তো সেটা আমাকে করতে হয়েছিল। এর জন্য আমি প্রশংসাও পেয়েছি। এটুকু না করলে চরিত্রের বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি হয় না।
একটা কথা বলি তাহলে, শ্যুটিংয়ের সময় একটা জায়গায় বাইক চালাচ্ছি। কমলদা আমায় হঠাৎ বলল, চালাতে চালাতে উঠে দাঁড়িয়ে বন্দুক চালাও। আমি তো ঘাবড়ে গেলাম, কী বলছো! তো কমলদা বললো এটা তো করতেই হবে। তুমি হলিউড স্টাইলের চরিত্রে কাজ করছো, এটা করবে না।
শুনেছি, তোমার গায়ে নাকি শ্যুটিংয়ের সময় ইঁদুর ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল? এটা সত্যি?
রুক্মিণী- হ্যাঁ (একটু জোর গলায়)। এই দৃশ্যটা যদিও সিনেমায় রাখতে পারছি না। কারণ, অ্যানিম্যাল রাইটস এর সার্টিফিকেট পেতে যত দিন লাগবে ততদিন ছবিটি মুক্তি পেয়ে যাবে। তবে কোনওদিন এই দৃশ্যটা 'বিহাইন্ড দ্যা সিন' হিসাবে আমি নিশ্চয় আপলোড করব। চিত্রনাট্যে ছিল আমার গায়ে ইঁদুর ছাড়া হবে। তো আমি ভেবেছিলাম এটা হয়ত গ্রাফিক্সে হবে। কিন্তু আমি সেটে গেলাম, হঠাৎ দেখি কমলদা আমায় দুটো ইনজেকশন দিল। আমি প্রশ্ন করলাম, এটা কী হচ্ছে? বলল অ্যান্টি র্যাবিট ইনজেকশন। বললাম, মানে? তারপর দেখি ৬০টা সাদা ইঁদুর আমার গায়ে ছেড়ে দেওয়া হল। আমি তো চেঁচাচ্ছি। ওরা শট নিয়ে যাচ্ছে। সে তো ইঁদুরের কামড় নিয়ে, রক্ত নিয়ে বাড়ি গেছি। মা তো চেঁচাচ্ছে। বলছে, আর ছবি করার দরকার নেই। এসব কী হচ্ছে? (হাসি)
শুধু এটুকুই নয়, ২০ দিন ধরে স্টান্ট সিকোয়েন্সের শ্যুটিং চলছিল, তো সারা গায়ে কালসিটে। 'ট্রিপি লাগে' গানটা যেদিন শ্যুট হল আমি ছোট জামা পড়েছিলাম, তখন আমার সারা পায়ে কালসিটে ছিল। আগেরদিন রাতেই স্টান্ট সিকোয়েন্সের শ্যুট হয়েছে। আর পরদিন ভোর চারটে গান। কালসিটে ঢাকতে সারা পায়ে বেশি করে মেকআপ করলাম।
শ্যুটিং ফ্লোরে দেব-রুক্মিণী ছাড়াও আরও অনেক তারকা ছিল। পরমব্রত, পাওলি, আদৃত, অভিজ্ঞতা কেমন?
রুক্মিণী- খুবই ভালো। কারোর কোনও ইগো নেই। পরম, পাওলি এতভালো অভিনেতা-অভিনেত্রী, দেব এত বড় সুপারস্টার। এমনকি আদৃতও ভালো অভিনেতা। তবে আমরা সবাই খুব খুশি হয়ে কাজটা করেছি। সকলেই ভীষণ সহযোগিতা করেছে।
দেব ছাড়া আর কোনও নায়কের সঙ্গে কি অভিনয় করবে না?
রুক্মিণী- এই তো 'ট্রিপি লাগে' গানে আমি আদৃতের নায়িকা (হাসি)। এরপর হয়ত আরও করব। গত বছরও জিতের প্রযোজনা সংস্থা থেকে দুটো ছবির প্রস্তাব ছিল। তবে সেটা আমি করতে পারিনি ডেট নিয়ে সমস্যা থাকায়। কারণ, দেব এন্টারটেইনমেন্ট ভেঞ্চার্স ও সুরিন্দর ফিল্মসের দুটো ছবির সঙ্গে আমি চুক্তিবদ্ধ ছিলাম। তাই সময় দিতে পারিনি। তবে আশাকরি ভবিষ্যতে করব। আর আমার সবে দুবছর হল কাজ করছি, দাঁড়াও একটু সময় দাও। (মজা করে)
পাসওয়ার্ড নিয়ে এমন কোনও অভিজ্ঞতা বলো, যেটা এখনও কেউ জানে না?
রুক্মিণী- শোনো তাহলে, টানা ১৬ দিন ধরে 'পাসওয়ার্ড'-এর শ্যুটিং চলছিল। খুব ক্লান্ত ছিলাম। এক স্টান্ট সিকোয়েন্স, তারপরদিনই আবার গানের শ্যুট। আমি ভেবেছিলাম যে এবার হয়ত একদিন আমায় ছুটি দেওয়া হবে। আমি ৩টের সময় ছাড়া পেলাম, বাড়ি পৌঁছলাম সাড়ে ৪টে। রাস্তায় যেতে যেতেই ফোন, পরদিন ভোর ৬ টায় কলটাইম। কোনওরকমে স্নান সেরে সেটে চলে আসতে হয়। গিয়ে শুনলাম, আবারও একটা স্টান্ট সিকোয়েন্সের শ্যুটিং হবে। আর শরীর দিচ্ছিল না। হঠাৎ ভ্যাঁ, ভ্যাঁ করে করে কেঁদে ফেললাম। যদিও বললাম, আমি করব। তারপর শট দিতে দিতে সিঁড়ি দিয়ে পড়ে যাই। উঠে আবার শট দি। কারণ আমি জানতাম, আমি একবার ছেড়ে দিলে বাকিদের সমস্যা হবে। সকলের পরিশ্রম বৃথা যাবে। পরে দেখি গোড়ালি ফুলে গেছে।
কথায় বলে, সব সফল পুরুষদের পিছনেই একজন মহিলার ভূমিকা থাকে। তো দেবের সাফল্যের পিছনেও কি রুক্মিণী?
রুক্মিণী- না, না দেব আগে থেকেই তো সুপারস্টার। বলে না, মানুষ নিজের ভাগ্য নিয়েই জন্মায়। তবে সব মানুষেরই একটা ইমোশনাল সাপোর্ট সিস্টেমের প্রয়োজন। সেটা পুরুষ, নারী সকলের জন্যই। বন্ধুরা যদি পাশে থাকে, পরিবারের লোকজন যদি পাশে থাকে। তাহলে কাজ করতে সুবিধা হয় বৈকি। দেব যদি আমার মতো বন্ধু পেয়ে ভাগ্যবান হয়,তাহলে আমিও একইভাবে ভাগ্যবতী। শুধু আমি নয়, দেবের সব বন্ধুরাই ওর সফলতার পিছনে রয়েছে।
আরও পড়ুন-সবকিছুই ডিজিটাল হচ্ছে, বিপদও বাড়ছে, 'পাসওয়ার্ড'-এর ঝুঁকি নিয়ে মুখ খুললেন দেব