বলিউডের গ্রেট স্যরেরা

অ- এ অজগর আসছে তেড়ে থেকে ক্যালকুলাসের শক্ত সব প্রশ্ন, সব কিছুই শেখানোর পিছনে থাকে তাঁরাই। এঁদের ছাড়া জীবনের রাস্তা চলাই দায়। কখনও তাঁরা ইস্পাতের মত কঠিন, কখনও আবার ঠিক যেন বন্ধুর মত। সেই ফ্রেন্ড, ফিলোজফার, গাইড স্যরেরা বলিউডের পর্দায় বিভিন্নভাবে উঠে এসেছেন। ছবি দেখার পর অনেকেই ভাবতে বসতে বাধ্য হন "ইস! যদি আমাদেরও এরকম একজন স্যর থাকত!"

Updated By: Sep 5, 2012, 07:29 PM IST

অ- এ অজগর আসছে তেড়ে থেকে ক্যালকুলাসের শক্ত সব প্রশ্ন, সব কিছুই শেখানোর পিছনে থাকে তাঁরাই। এঁদের ছাড়া জীবনের রাস্তা চলাই দায়। কখনও তাঁরা ইস্পাতের মত কঠিন, কখনও আবার ঠিক যেন বন্ধুর মত। সেই ফ্রেন্ড, ফিলোজফার, গাইড স্যরেরা বলিউডের পর্দায় বিভিন্নভাবে উঠে এসেছেন। ছবি দেখার পর অনেকেই ভাবতে বসতে বাধ্য হন "ইস! যদি আমাদেরও এরকম একজন স্যর থাকত!" শিক্ষক দিবসে বলিউডের সেইসব চিরস্মরণীয় স্যরদের নিয়েই এই প্রতিবেদন।
নাসিরউদ্দিন শাহ (ইকবাল, স্যার): ২০০৬-এ নাগেশ কুকনুর পরিচালিত `ইকবাল` সিনেমায় নাসিরউদ্দিন শাহের চরিত্রটার কথা মনে আছে? মুক ও বধির গ্রামের ছেলে ইকবালের জাতীয় দলে খেলার স্বপ্নের পিছনে ছিলেন মোহিত (নাসিরউদ্দিন শাহ)। ছবিতে নাসিরউদ্দিনের অভিনয় সবাইকে মুগ্ধ করেছিল।
অমিতাভ বচ্চন (ব্ল্যাক): ২০০৫-এ সঞ্জয় লীলা বানশালির `ব্ল্যাক` ছবিতে অন্ধ ও বধির ছোট্ট মেয়ের `কঠিন` স্যর দেবরাজ সাহাই (অমিতাভ বচ্চন) কীভাবে তাঁর ছাত্রীকে জীবনের আলো দেখিয়েছিলেন তা দেখানো হয় এই সিনেমায়। স্যর দেবরাজ সাহাইয়ের চরিত্রে অমিতাভ বচ্চন বলিউডে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

শাহরুখ খান (মহব্বতে): সিনেমায় দেশের এক নম্বর স্কুল গুরুকুল। যেখানে আবেগ নয়, শৃঙ্খলাই শেষ কথা। সেই স্কুলেই ছাত্রদের মধ্যে আবেগ আর প্রেমের চারা পুঁতে ছিলেন মিউজিক টিচার রাজ আরিয়ান (শাহরুখ খান)। বাবার শৃঙ্খলার বেড়াজালে আটকে প্রেমিকার আত্মহত্যার এক অন্য ধরনের প্রতিশোধ নিতে গুরুকুলে মিউজিক টিচার হিসাবে আসেন রাজ। এরপর ছাত্রদের মধ্যে প্রেম ছড়িয়ে দিতে থাকেন রাজ স্যর।

আমির খান (তারে জামিন পর): প্রত্যাশার চাপে জর্জরিত ছিল ডিসলেক্সিয়া আক্রান্ত ছোট্ট ইশান্ত অবস্তির শৈশব। নিজের জগতের সঙ্গে দুনিয়াটাকে মেলানোর হাজার চেষ্টা করেও বারবার নিজের জগতেই হারিয়ে যেত ইশান। বাবা-মাও যখন হাল ছেড়ে দিয়েছে সেইসময়ই গডফাদারের মতো তাঁর জীবনে আসেন রাম শঙ্কর নিকুম্ভ (আমির খান)। ইশানের প্রতি তাঁর বিশ্বাস আর সহমর্মিতার ডানায় ভর করে নতুন জীবন পায় ইশান।
বোমান ইরানি (থ্রি ইডিয়টস): শিক্ষকরাই যে সবসময় জীবনের দিশা দেখান না, কখনও কখনও ছাত্ররাও মানসিক প্রতিবন্ধকতা থেকে তাঁদের উদ্ধার করে ভাবনার নতুন খোলা জানলা দেখাতে পারে, তা দেখিয়েছিল `থ্রি ইডিয়ডস`। ভীরু সহস্রবুদ্ধে আকা ভাইরাস বুঢঢের (বোমান ইরনি) দৃঢ়বিশ্বাস `লাইফ ইজ আ রেস` মিথ ভেঙে তাঁকে বের করে এনেছিলেন তাঁর সবথেকে `ইডিয়ড` ছাত্রটি।
সুস্মিতা সেন (ম্যায় হু না): অল্পবয়সী সুন্দরী ম্যামদের প্রেমে বোধহয় সকলেই একবার করে পড়েন। আর তাই `ম্যায় হু না` ছবির শিফন আঁচল ওড়ানো লাস্যময়ী কেমেস্ট্রি ম্যাম (সুস্মিতা সেন)কে দেখে নস্টালজিক হয়ে পড়েছিলেন অনেকেই।

.