বাংলায় এবার মোদীপাড়া! ফের 'অলক্ষ্মী' বিদায়ের স্লোগান তুললেন Hiran
''গত ৪৪ বছর ধরে বাংলায় অলক্ষ্মী বসবাস করছে। সেই অলক্ষ্মী বিদায় করে লক্ষ্মী ফিরিয়ে আনতে হবে।'' ফের সোচ্চার হলেন সদ্য বিজেপিতে যোগদানকারী অভিনেতা হিরণ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ''গত ৪৪ বছর ধরে বাংলায় অলক্ষ্মী বসবাস করছে। সেই অলক্ষ্মী বিদায় করে লক্ষ্মী ফিরিয়ে আনতে হবে।'' রবিবার, ফের একবার এই স্লোগানই সোচ্চার হলেন সদ্য বিজেপিতে যোগদানকারী অভিনেতা হিরণ। বিজেপির হয়ে প্রচারে নেমে বাংলায় কর্মসংস্থানের কথা বললেন তিনি। হিরণের কথায় ''বাংলায় অলক্ষ্মী বিদায় করতে আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। বাংলার যে ছেলেমেয়েরা কাজের জন্য বাইরে গিয়েছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনতে হবে। আমরা চাই তাঁরা নিজেদের পরিবারের কাছে ফিরে আসুক। সবার কর্মসংস্থান হোক।''
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে জোর কদমে প্রচার চালাচ্ছে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি। বাদ নেই বিজেপিও। রবিবার শ্যামবাজারের পাঁচমাথার মোড় থেকে স্বামীজির সিমলা স্ট্রিটের বাড়ি পর্যন্ত বিজেপির তরফে পদাত্রার আয়োজন করা হয়। যার নাম দেওয়া হয় 'রান ফর মোদী'। যেখানে রাজ্য বিজেপির সদস্যরা ছাড়াও এসেছিল দিল্লি থেকে আসা ভারতীয় জনতা পার্টির একটি দলও অংশ নিয়েছিল। স্লোগান ছিল 'ভোট ফর' তাঁদের সবার গায়ে ছিল গেরুয়া পোশাক, যাতে লেখা 'মোদী পাড়া'।
আরও পড়ুন-Amit Shah-র নামখানার সভায় BJPতে যোগ দিলেন Hiran
আরও পড়ুন-বামেদের গানে নাম নিয়ে টানাটানি, বিষম খাচ্ছেন 'টুম্পা' Sudipta
প্রসঙ্গত, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি নামখানায় অমিত শাহের সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দেন হিরণ। ওইদিন তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়েছিলেন রাজ্যের BJP সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেদিন তাঁর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে জানিয়েছিলেন, ''আমি সাধারণ ঘরের ছেলে। সাধারণের দুঃখ কষ্ট বুঝি। আর রাজনীতি সমাজ এবং সিস্টেম পরিবর্তনের বিরাট বড় হাতিয়ার। হাতে ক্ষমতা না থাকলে ক্ষমতার অপপ্রয়োগ আটকানো যাবে না।'' তিনি আরও বলেন ''২০১৪-তে সেই স্বপ্ন নিয়েই একটা দলে যোগ দিয়েছিলাম, ভেবেছিলাম অনেক কিছু হবে। বাংলার পরিবর্তন হবে, কিন্তু রাস্তায় শুধু নীল-সাদা রং ছাড়া আর কিছুই হয়নি। হতাশ হয়েছি, এরপর নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দেশ জুড়ে যে কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে তাতেই যোগ দিতে যাচ্ছি। উন্নয়নের জন্য সর্বভারতীয় দলকেই ক্ষমতায় চাই।'' পাশাপাশি ভোটে লড়ার ইচ্ছা প্রকাশও করেছিলেন তিনি। তবে সব সিদ্ধান্ত বিজেপি নেতৃত্বের উপরই ছেড়ে দিয়েছিলেন।