Bappi Lahiri Passed Away: সময় পেলেই শিলিগুড়ি ছুটে যেতেন বাপ্পি, কিসের টানে!
শেষবার ২০১৭ সালে শিলিগুড়ি গিয়েছিলেন বাপ্পি লাহিড়ি
নিজস্ব প্রতিবেদন: কয়েক দশক ধরে ভারতীয় সিনেমার সংগীত জগতে রাজ করেছেন বর্ষীয়ান সংগীত পরিচালক বাপ্পি লাহিড়ি(Bappi Lahiri)। বলিউডকে(Bollywood) নতুন ধারার সংগীত উপহার দিয়েছেন তিনি। আজও তাঁর গানের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। ১৯৫২ সালের ২৭ নভেম্বর কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন সকলের পছন্দের বাপ্পিদা। বাবা অপরেশ লাহিড়ি ও মা বাঁশরী লাহিড়ি দুজনেই ছিলেন সংগীত জগতের মানুষ। তাঁর আসল অলোকেশ লাহিড়ি। তাঁর ছোটবেলার বেশ কিছু সময় কেটেছে শিলিগুড়িতে, বুধবার তাঁর মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পরই নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্কে জীবনের বেশ কিছু সেরা সময় কাটিয়েছেন বাপ্পি লাহিড়ি। সেই বাড়িতে এখন থাকেন সংগীতশিল্পীর মাসতুতো দাদা ভবতোষ চৌধুরী। সাম্প্রতিক সময়েও যতবার উত্তরবঙ্গে গেছেন তিনি, তখনই হোটেলে না থেকে এই বাড়িতেই থাকতেন বাপ্পিদা। সেখান থেকেই বিভিন্ন শোয়ে যেতেন। বুধবার সকালে ছোট ভাইয়ের মৃত্য সংবাদ পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন দাদা। জি ২৪ ঘণ্টাকে তিনি জানান, ''ও আমার ছোট ভাই। খুবই দুঃখের সঙ্গে বলছি ওঁর চলে যাওয়া মেনে নেওয়া অসম্ভব। আমার পরেই ও ছিল। আমরা একসঙ্গে বড় হয়েছি, এই বাড়িতে অনেক হইচই করেছি। প্রতিবছর পুরো পরিবার নিয়ে আসত। সবসময় আগলে রাখত। যেকোনও জায়গায় অনুষ্ঠান থাকলেই বলত 'চল চল'।''
বাপ্পি লাহিড়ি শিলিগুড়ি এলেই তাঁকে নিয়ে ঘুরতে বেরোতেন ভাইপো ময়ুখ চৌধুরী। 'বাপ্পিকাকু আমার কাছে বাবার মতোই ছিলেন। কখনই আমাদের বাড়ি ছাড়া অন্য কোথাও থাকেনি আর কাকু আসা মানেই উৎসব। আমাদের যৌথ পরিবার। বাড়িশুদ্ধু সবাই মিলে ঘুরতে যেতাম, গরুমারা, মূর্তি, জলদাপাড়ায় লাটাগুড়ি নানা জায়গায় আমরা ঘুরতাম। উত্তরবঙ্গের প্রতি একটা অদ্ভুত টান ছিল কাকুর। ওঁ বলতেন জীবনে দুটো বাড়িতেই উনি থেকেছেন, এক নিজের বাড়ি আরেক চৌধুরী বাড়ি। এমনকি নিজের শ্বশুড়বাড়িতেও কোনওদিন থাকেনি। আমিও মুম্বইয়ে অনেকদিন ছিলাম কাকুর বাড়িতে। ভাবতেই পারছি না কাকু নেই। যে চেয়ারে বসে কাকু সাক্ষাৎকার এখন সেখানে বসেই।' কান্না ধরে রাখতে পারলেন না তাঁর ভাইপো। ২০১৭ সালে শেষবার তাঁর ভাইপোর ছেলে অর্থাৎ নাতির উপনয়ন অনুষ্ঠানে শিলিগুড়ির চৌধুরী বাড়িতে এসেছিলেন বাপ্পি লাহিড়ি।।
আরও পড়ুন: Bappi Lahiri Passed Away: 'চিরদিনই তুমি যে আমার যুগে যুগে আমি তোমারই, ভালো থেকো বাপ্পিদা', প্রসেনজিৎ