Bangladeshi Singer Nobel: রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য, নোবেলকে আইনি নোটিস বাংলাদেশে
রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে প্রথম পোস্টের পর থেকেই এনিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে যায় বাংলাদেশে। পরের পোস্টটিতে আরও এনিয়ে জলঘোলা শুরু হয়ে যায়। এরপরই আইনি নোটিস দেওয়া হয়েছে নোবেলকে
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল: গাঁজা থেকে পরকীয়া। একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় গায়ক মাইনুল আহসান নোবেল। এবার খোদ রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে বিতর্কিত পোস্ট। তবে এবার রেহাই নয়। তাঁকে আইনি নোটিস পাঠালেন চট্টোগ্রামের এক আইনজীবী। সাত দিন সময় দেওয়া হয়েছে। ক্ষমা চাইতে হবে। নয়তো তাঁর বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে কড়া ব্যবস্থা। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতাকে অপমান করায় তাঁকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন মিঠুন বিশ্বাস নামে ওই আইনজীবী। কী লিখেছিলেন নোবেল? তাঁর ফেসবুক পেজ নোবেল ম্যান থেকে দুটি পোস্ট করা হয়েছে, রবীন্দ্রনাথের চর্চা এদেশে হয় এটাই রবীন্দ্রনাথের পক্ষে অনেক। তাছাড়া বাংলাদেশের সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথের আবেদন নিতান্তই কম। প্রায় নেই বললেই চলে। তাই তাঁর গান এদেশে যদি কেউ প্যারোডি করে গায় তাহলে তা রবীন্দ্রনাথের জন্যই মঙ্গলজনক।
আরও পড়ুন-কেষ্টকে কেন গ্রেফতার? বেহালায় বিস্ফোরক মমতা
ওই পোস্টেই থেমে থাকেননি নোবেল। বুধবার ফের একটি পোস্ট করে নোবেল লেখেন, বাংলাদেশে রবীন্দ্র চর্চা বয়কট করা উচিত। আমাদের জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম। উনি যখন আমাদের অধিকার রক্ষার জন্য কনডেম সেলে অত্যাচারের শিকার হচ্ছিলেন তখন ব্রিটিশদের চাটুকারিতা করে বিশ্বকবি বিন্দাস আমাদের রক্ত চুষে খাচ্ছিলেন।
রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে প্রথম পোস্টের পর থেকেই এনিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে যায় বাংলাদেশে। পরের পোস্টটিতে আরও এনিয়ে জলঘোলা শুরু হয়ে যায়। এরপরই আইনি নোটিস দেওয়া হয়েছে নোবেলকে।
উল্লেখ্য, গত বছর আগস্টে গাঁজার কলকে হাতে নিয়ে ছবি তুলে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন নোবেল। বাংলাদেশের পর্যটন কেন্দ্র বান্দরবনে তাঁর এক বান্ধবীকে নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন নোবেল। সেখানে বান্ধবীকে পাশে নিয়ে কলকে হাতে নিয়ে একটি ছবি তোলেন। তাঁর ওই পর্যটন কেন্দ্রে যাওয়ার সময় থেকেই বাসেও মত্ত ছিলেন জনপ্রিয় এই শিল্পী। এছাড়াও বান্দরবনে গিয়ে হোটেলের এক আবাসিকের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে তাকে মারধর করেন। হেটেল কর্তৃপক্ষ শেষপর্যন্ত পুলিস ডাকতে বাধ্য হন।