#MeToo ঝড়, ইন্ডিয়ান আইডল ১০ এর বিচারকের পদ থেকে সরানো হচ্ছে অনু মালিককে
অনু মালিকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন শিল্পী সোনা মহাপাত্র ও শ্বেতা পণ্ডিত। অনু মালিকের কর্মকাণ্ড ফাঁস করেছেন আরও দুই মহিলা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজনীতিতে এম জে আকবরের পর বিনোদন জগতে এবার অনু মালিক। যৌন হেনস্থার একের পর এক অভিযোগের চাপে সরতে হয়েছে কেন্ত্রীয় বিদেশমন্ত্রীকে। এবার ইন্ডিয়ান আইডল-১০ এর বিচারকের আসন থেকে সরতে হচ্ছে অনুকে।
বলিউডে নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনে ঝড় তুলে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত। তার পরেই অনু মালিকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন শিল্পী সোনা মহাপাত্র ও শ্বেতা পণ্ডিত। সেই অভিযোগের বিস্তারিত প্রকাশ্যে আসেনি। তবে অনু মালিকের কর্মকাণ্ড ফাঁস করেছেন অন্য দুই মহিলা।
আরও পড়ুন-মোবাইল-প্রেমের গেরো, কিশোরে কপালে জুটল মায়ের থেকেও বয়সে বড় বউ
অনু মালিকের বিরুদ্ধে মুখ খুলে এক মহিলা মিড ডে-কে জানিয়েছেন তাঁর সঙ্গে অনুর দেখা হয় ১৯৯০ সালে মুম্বইয়ের মেহবুব স্টুডিওতে। সেখানেই অনু তাঁকে চেপে ধরেন। পরে ক্ষমা চেয়ে নেন। এখানেই শেষ নয়। অনু মালিকের সঙ্গে তাঁর একটি হয়রানির ঘটনা ঘটে সুরকারের নিজের বাড়িতে। ওই মহিলার দাবি, ‘নিজের বাড়িতে তাঁর পাশেই সোফাতে বসেছিলেন অনু। বুঝতে পারছিলাম ফাঁদে পড়েছি। কারণ ওইদিন অনুর বাড়ির কেউ ছিলেন না। উনি আমার স্কার্ট নামিয়ে দেন। ওকে ঠেলে সরানোর চেষ্টা করছি এমন সময় দরজার বেল বেজে উঠল। ওই ঘটনার পর এনিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে নিষেধ করেন অনু।‘
ওই ধরনের যৌন হয়রানির ঘটনা আরও ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ওই মহিলা। তিনি জানিয়েছেন, ‘একবার সন্ধ্যে সাড়ে আটটা নাগাদ অনু মালিক তাঁকে নিয়ে একটি ফাঁকা মাঠের মধ্যে গাড়ি থামিয়ে দেন। ভয়ে জিজ্ঞাসা করলাম কোথায় এসেছি। সেসব কথায় কান না দিয়ে উনি প্যান্টের জিপ খুলে ফেলেন। আমি গাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে উনি আমার চুল ধরে ওর কোলের ওপর আমার মাথা চেপে ধরেন।‘
আরও পড়ুন-ভর দুপুরে চলল গুলি, বীরভূমে গুলিবিদ্ধ তৃণমূলের ব্লক সভাপতি
একের পর এক অভিযোগ আসায় ইন্ডিয়ান আইডল-এর পরিচালন কর্তৃপক্ষ বিচারকের পদ থেকে অনুকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খবর পিঙ্কভিলা সূত্রে। শোনা যাচ্ছে ইন্ডিয়ান আইডল কর্তৃপক্ষ অনুর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। অভিযোগ ওঠার পরই এনিয়ে আলোচনা চলছে। শেষপর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে অনুর বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অনুকে বিচারকের পদে নেওয়া হবে না।