Anindya Chatterjee Divorce: খেলা ভাঙার খেলা! 'চন্দ্রবিন্দু'র অনিন্দ্যর সঙ্গে বিচ্ছেদ স্ত্রী মধুজার, জেগে থাকল 'বন্ধুতা'...
Anindya Chatterjee | Chandrabindoo: এক মর্মান্তিক ঘটনায় যখন উত্তাল গোটা রাজ্য, মনখারাপ সকলেরই। তখনই প্রকাশ্যে এল এক সংসার ভাঙার খবর। ১৪ বছরের দাম্পত্যে ইতি টানলেন অনিন্দ্য ও মধুজা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সাম্প্রতিক সময়ে যীশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনা শর্মার বিবাহ বিচ্ছেদের খবরে মনখারাপ হয়েছিল গোটা টলিউডের। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের সংসার ভাঙনের খবর। ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানছেন চন্দ্রবিন্দু ব্যান্ডের গায়ক ও পরিচালক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। রবিবার এক পোস্টে বিচ্ছেদের কথা জানালেন তাঁর স্ত্রী মধুজা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরা দুজনেই শিল্পী। একজন গায়ক, পরিচালক তো আরেকজন ছবি আঁকেন, লেখালিখি করেন। কেন আলাদা পথে হাঁটছেন তাঁরা?
আরও পড়ুন- Kaushik Ganguly: রবিবারেই মাতৃহারা কৌশিক, শেষকৃত্য করেই আরজি কর-কান্ডের প্রতিবাদ মিছিলে পরিচালক...
মধুজা লিখেছেন, “অনিন্দ্যর খুব ইচ্ছে ছিল ওর লেখা আর আমার ছবি দিয়ে জুজুর জন্য একটা ছোটোদের বই বের করবে। বিয়ের আগে থেকেই অনিন্দ্য আমার ছবি আঁকা পছন্দ করত। আমি লিখতেও খুব ভালোবাসতাম। চেয়েছিলাম লেখক বা শিল্পী হতে। কিন্তু ঘরে-বাইরে সমান তালে দীর্ঘ চোদ্দ বছর লড়ে দেখলাম ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছি। একা হয়ে যাচ্ছি। তাই নিজেকে নিজের মতো গুছিয়ে নিতে ২০১৯ সালে জুজুকে নিয়ে মুম্বই এলাম। আমার সঙ্গে কোভিডও এল। কোভিড ভয় দিল, দুঃখ দিল, হতাশা, অপমান দিল কিন্তু ফিরিয়ে দিল ছবি আঁকা। লেখালেখি। ফিরিয়ে দিল নিজের কথা বলার সাহস। ”
আরও পড়ুন- R G Kar Incident: যুবভারতীতে পুলিসের লাঠিচার্জ, বাংলাজুড়ে প্রতিবাদ মিছিলে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান...
মধুজা আরও লেখেন, “এক সময় বুঝতে পারলাম- বিয়ে মানে ফুল, আলো , যদিদং হৃদয়ং- কিন্তু সর্বোপরি এক আইনি বন্ধন। তাই আইনি পথেই বিচ্ছেদ কাম্য। জানি অনিন্দ্য খুব কষ্ট পেয়েছে। পেয়েছি আমিও। আবার সত্যটা মেনে নিয়ে কোথাও একটা নির্ভারও হয়েছি। অনিন্দ্য আর আমি তাই আইনি পথে বিচ্ছেদে পা বাড়িয়েছি। আর কী আশ্চর্য- প্রায় ভাঙ্গার বেলায় আজ ‘রোববারের’ পাতায় ওর লেখা আর আমার আঁকা বেরল। বিচ্ছেদ বিয়ের হয়েছে! জুজুর বাবা-মায়ের হয়নি। দাম্পত্যের হয়েছে- বন্ধুত্বের হয়তো না। তাই এক শিল্পী আজ অন্য শিল্পীকে জায়গা দিয়েছেন- আমি সম্মানিত! আজ সত্যিই তাই খেলা ভাঙার খেলা!” লেখার শেষে ফিরে গেলেন রবি ঠাকুরেই- “মিলনমালার আজ বাঁধন তো টুটবে/ ফাগুন দিনের আজ স্বপন তো ছুটবে/ উধাও মনের আহা/ উধাও মনের পাখা মেলবি আয়…” যদিও এই বিষয়ে নীরবই রয়েছেন অনিন্দ্য।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)