আপোসহীন বরুণবাবু

বাংলা ছবির বাঙালিয়ানা ফিরল। কনটেন্ট ও ফর্ম নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পথ পেরিয়ে বাংলার মাটির ফর্ম ফিরিয়ে দিলেন পরিচালক অনীক দত্ত। ছবি 'বরুণবাবুর বন্ধু'।

Edited By: সুদীপ দে | Updated By: Feb 29, 2020, 12:44 PM IST
আপোসহীন বরুণবাবু

শর্মিষ্ঠা গোস্বামী চট্টোপাধ্যায়: বাংলা ছবির বাঙালিয়ানা ফিরল। কনটেন্ট ও ফর্ম নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পথ পেরিয়ে বাংলার মাটির ফর্ম ফিরিয়ে দিলেন পরিচালক অনীক দত্ত। ছবি 'বরুণবাবুর বন্ধু'।

আমাদের চারপাশে সবথেকে দ্রুত বদলায় সম্পর্ক। কারণ, মূল্যবোধের বদল হয়, বদলে যায়  বিচারবুদ্ধি, যুক্তিশাসন। আর এই ক্রমপরিবর্তনের সঙ্গে এক শ্রেণীর  মানুষ মিলিয়ে নিতে পারেন না, তাঁরা পড়ে থাকেন তাঁদের নিজেদের চৌহদ্দিতে। এই আঁকড়ে থাকা মূল্যবোধের গল্পেরই কান্ডারী বরুণবাবু। ৮০ বছরের অন্মদিনের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে হঠাৎই জানতে পারেন বাড়িতে আসছেন এক বিশেষ অতিথি। ছোটবেলার বন্ধু। এখন তাঁর দেশজোড়া নাম। সেই বন্ধুর নামের উচ্চারণেই পরিচালক অনীক অনায়াসে তাঁর রাজনৈতিক বক্তব্য ছড়িয়ে দেন, তবে তা উচ্চকিত নয়।

Borun Babur Bondhu

এ ছবির মূল সম্পদ তার চিত্রনাট্য। পরিচালকের সঙ্গে চিত্রনাট্য লিখেছেন উৎসব মুখোপাধ্যায়। বাঙালির হারিয়ে যাওয়া বাংলা ভাষা ফিরে এসেছে এই ছবির হাত ধরে। তিন প্রজন্মের গল্পে সব জেনারেশনের সমস্যাই তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু মন কাড়বে দাদু-নাতি সম্পর্কের সমীকরণ। আর সেখানেই এই গল্পের উত্তরণ।

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সেরা পাঁচে থাকবে এই ছবিতে তাঁর অভিনয়। তাঁর ও পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুগলবন্দি মনে থেকে যাবে। বাকিদের মধ্যে ঋত্বিক চক্রবর্তীর সঙ্গে সৌমিত্রর অভিনয় দাগ কেটে গেল। দুই জা রাকা (বিদীপ্তা চক্রবর্তী) ও মৌসুমি(অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়) ও বেশ ভাল। মনের আরাম বিদীপ্তার গান।  বাকিরাও মানানাসই।

Borun Babur Bondhu

তবে এ ছবির গুরুত্ব তার ন্যারেটিভে। আমাদের হারিয়ে যেতে বসা সংস্কতি পুনরুদ্ধারে 'বরুণবাবুর বন্ধু' রাস্তা দেখাবে, এমন আশা করতে মন চাইছে।

ধন্যবাদ অনীক। এ ছবিতেও আপনি আপোস করেননি। আপনার বরুণবাবু বোধকরি আপনারই এক্সটেনশন।

.