তনুশ্রীর আক্রমণের পাল্টা জবাব অজয় দেবগণের
এধরনে খ্য়তনামা বলি অভিনেতারা আসলে মানুষের আবেগে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে চাঁটি মারছেন। এদের আসলে মেরুদণ্ড নেই, এরা ভণ্ড।
নিজস্ব প্রতিবেদন : যৌন হেনস্থার অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন অলোক নাথের মতো অভিনেতার সঙ্গে কাজ করছেন অজয় দেবগণ? প্রশ্ন তুলে সিংঘম তারকা অজয়কে আক্রমণে করেছেন প্রাক্তন বলিউড অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত। অজয়কে আক্রমণ করে তনুশ্রী বলেন তনুশ্রীর অভিযোগ, যদি অলোকনাথের সঙ্গে ছবির শ্যুটিং আগেই হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলেও ছবির নির্মাতাদের উচিত ছিল অলোকনাথের অংশটা ফেলে দিয়ে নতুন কাউকে দিয়ে ওই অংশটি ফের শ্যুট করা। অজয়কে আক্রমণ করে তিনি বলেন, '' এই ঘটনাই প্রমাণ করে বলিউড হিরোরা আদপে জিরো। এধরনে খ্য়তনামা বলি অভিনেতারা আসলে মানুষের আবেগে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে চাঁটি মারছেন। এদের আসলে মেরুদণ্ড নেই, এরা ভণ্ড। ''
আরও পড়ুন-ভোটপ্রচারে গিয়ে ছেলেবেলায় ফিরলেন বসিরহাটের তৃণমূল প্রার্থী নুসরত
আরও পড়ুন-শুক্রবারই বিয়ে, এখানেই হচ্ছে শ্রাবন্তীর অনুষ্ঠান!
এবার তনুশ্রীর এই আক্রমণের জবাব দিয়েছেন অজয়। খোলা চিঠিতে অজয় লিখেছেন, '' যখন বলিউডে #MeToo মুভমেন্টে যৌন হেনস্থা নিয়ে বলিউডের একাধিক তারকা অভিযোগ আনছিলেন, তখন আমি তাদের সঙ্গেই ছিলাম। আমি সবসময়ই কর্মক্ষেত্রে প্রত্যেক মহিলাকে সম্মান দিয়েছি। আমি মেয়েদের বিরুদ্ধে কখনওই কোনও অনৈতিক কাজের সমর্থন করিনি। এবং এখনও আমার সেই চিন্তাভাবনার কোনও পরিবর্তন হয়নি। আর আজ যখন দে দে প্যায়ার দে ছবির পরিপ্রেক্ষিতেও যখন প্রশ্ন উঠছে তখন জানিয়ে রাখি, এই ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ২০১৮-র অক্টেবরে। ছবির শ্যুটিং শেষ হয়ে গিয়েছিল সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই। আর অলোক নাথজী ছবির শ্যুটিং করছিলেন অগস্ট মাসে মানালিতে। এছাড়াও ছবিটি ৪০ দিনের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় শ্যুট হয়েছে। মোট ১০ জন অভিনেতা এই ছবিতে কাজ করেছেন। আর অলোক নাথের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ হয়ে ২০১৮-র অক্টোবরে। তখন ইতিমধ্যেই ছবির বিভন্ন অভিনেতারা অন্যান্য কাজে ব্যস্ত হয়ে গিয়েছেন। আবার সেসময় সমস্ত অভিনেতাদের একত্রিত করে অলোক নাথের জায়গায় অন্য কাউকে নিয়ে শ্যুটিং করা কখনওই সম্ভব ছিল না। তাছড়া এক্ষেত্রে প্রযোজকের অর্থিক ক্ষতিরও সম্ভবনা রয়েছে। আর সকলেই জানেন, একটা সিনেমা তৈরির পিছনে বহু লোকের হাত থাকে। এখানে শুধু অলোক নাথ একা যুক্ত নন। এক্ষেত্র গোটা টিমের সিদ্ধান্তই আমায় মেনে চলতে হবে। এক্ষেত্রে নতুন করে আগের শ্যুট বাতিল করে আবারও সব অভিনেতাকে নিয়ে আবারও ৪০ দিন ধরে শ্যুটিং করা কখনওই সম্ভব নয়। তাতে এই সিনেমা বানাতে দ্বিগুণ আর্থিক ক্ষতি হবে। তাই এক্ষেত্রে পুরো পরিস্থিতিটাই অন্যরকম ছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তাই নতুন করে কাজ করা সম্ভব ছিল না।
#MeToo মুভমেন্ট নিয়ে আমি যথেষ্ঠ সচেতন। তবে এক্ষেত্রে পরিস্থিতি আলাদা ছিল। আমি জানি না এক্ষেত্রে শুধু আমাকে কেন আক্রমণ করা হচ্ছে। তবে যেটা বলা হচ্ছে সেটা সত্যি নয়।''
আরও পড়ুন-যৌন হেনস্থায় অভিযুক্তের সঙ্গে কেন কাজ করলেন অজয়? ক্ষোভ তনুশ্রীর
প্রসঙ্গত বিটাউনে তনুশ্রীই প্রথম কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্থা প্রসঙ্গে অভিনেতা নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন। যে অভিযোগের ভিত্তিতে উত্তাল হয় গোটা বলিউড। তারপর একের পর এক অভিযোগে যৌন হেনস্থার ঘটনায় নাম জড়ায় বহু তারকার। তারপর আমির, অক্ষয়, সইফ সহ বহু অভিনেতাই অভিযুক্তদের সঙ্গে কাজ না করার সিদ্ধান্ত নেন।
আরও পড়ুন- শাহরুখ বেজিং বিমানবন্দরে নামতেই এমনটাই করলেন চিনা নাগরিকরা