Aindrila Sharma: ঐন্দ্রিলার গন্ধ নেই কম্বলে, ছিঁড়ে ফেলল তোজো-বোজো
Aindrila Sharma: এখনও কমবয়সি কোনও মহিলা বাড়িতে এলে পাগলের মতো অবস্থা হয় ওদের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতীয় জীবন বিমা কর্মীদের এক প্রতিনিধি জানান, ‘খুব করুণ চোখে জুলজুল করে তাকিয়ে ছিল দুই পোষ্য, যখন ওর বাড়ি গেলাম।’
Aindrila Sharma, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ঐন্দ্রিলার কম্বল গায়ে দিয়ে ঘুমোত দুই পোষ্য, তোজো ও বোজো। সেটা কেচে দেওয়ায় মায়ের গন্ধ আর নেই। তাই একেবারে কুটিকুটি করে ফেলে তারা। তারপর অবস্থা বেগতিক দেখে ঐন্দ্রিলার একটি পরা জামা, তাদের দিলে, শান্ত হয় ওরা। এখনও কমবয়সি কোনও মহিলা বাড়িতে এলে পাগলের মতো অবস্থা হয় ওদের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতীয় জীবন বিমা কর্মীদের এক প্রতিনিধি জানান, ‘খুব করুণ চোখে জুলজুল করে তাকিয়ে ছিল দুই পোষ্য, যখন ওর বাড়ি গেলাম।’ ঐন্দ্রিলার মা বললেন, ‘ওরা ভেবেছে ওদের মা বাড়ি এল বোধ হয়’, দু’সপ্তাহ পেরিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় আর পোস্ট নেই হ্যাশট্যাগ ঐন্দ্রিলাডেথ নামে। তবে সব ভুলে যেতে চাইছেন না অনেকেই। ঠিক যেমন ‘ঐন্দ্রিলাইফ’।
আরও পড়ুন- Aindrila Sharma: চিকিৎসায় গাফিলতি! ‘ইগোর কারণে ডিপ কোমায় ঠেলে দিল’, বিস্ফোরক ঐন্দ্রিলার মা
তাঁর নাম রেখেই, জাতীয় বিমা কর্মীরা এইডস আক্রান্ত শিশুদের পাশে দাঁড়ালেন। নিল ওষুধ পথ্যের ভার। সেই অনুষ্ঠানের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ঐন্দ্রিলার মা। কিন্তু কীভাবে যোগাযোগ করবেন তাঁরা ঐন্দ্রিলার পরিবারের সঙ্গে ভেবে পাচ্ছিলেন না উদ্যোক্তারা। ফোন বেজে যাচ্ছিল সব্যসাচীর। হোয়াটসঅ্যাপ করে রাখা হয় অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য উল্লেখ করে। উত্তর আসে। সমর্থন জানান প্রণাম ইমোজিতে। বোঝা যায়, ভালো কাজে সবসময় ছিলেন আছেন থাকবেন তাঁরা। জাতীয় জীবন বিমা কর্মচারী সমিতির (পূর্বাঞ্চল) সাধারণ সম্পাদক, সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, ‘অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করছিলেন। আমরা ঠিক করি সরাসরি বাড়িতে পৌঁছে মা-বাবার সঙ্গে কথা বলব। সে কারণেই আমাদের বিশেষ প্রতিনিধিকে পাঠানো হয়েছিল।’
আরও পড়ুন- Srabanti-Roshan Singh: শ্রাবন্তীর বিরুদ্ধে মিথ্যে বয়ানের অভিযোগ, নয়া মামলা রোশনের
২১ নভেম্বর না ফেরার দেশে চলে গেলেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। তাঁর এই অকালমৃত্যু মেনে নিতে পারেননি পরিবার থেকে শুরু করে অনুরাগীরা। সম্প্রতি এক জীবন বিমা কর্মচারী কমিটির পক্ষ থেকে ঐন্দ্রিলা শর্মার একটি স্মরণসভার আয়োজন করেছিল। সেখানেই উপস্থিত হয়ে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এক বিস্ফোরক অভিযোগ করেন ঐন্দ্রিলার মা শিখা শর্মা। তাঁর অভিযোগ, এক চিকিৎসকের ইগোর কারণেই ঐন্দ্রিলা ডিপ কোমায় চলে যান।